পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, ---ساج* ఎ98S কতবার লিথিয়াছে একবারটি তাছার কাছে আসিতে, কিন্তু জয়ন্তীর এক জবাব—না ভাই, ওক একল ফেলে যেতে পারব না ’ বাপের বাড়িও এত দিনের ভিতর মাত্র একবার গিয়াছিল । আজিকালকার সাহেবী চলে বিধবাও সধবার মত সাজসজ্জা করিয়া বেড়ায় বটে, কিন্তু তাই যদি হইবে তবে সে সৰ্ব্বদা ধুতি পাড়ের কাপড়ও পরে না কেন একখন ? সামান্ত ঠাট্টা-তামাসাতেও চটিয় অস্থির হয় কেন ? এ এক হেঁয়ালী । উম্মিল সকালবেলাই জয়ন্তীকে জিজ্ঞাসা করিল, “ছা ভাই, তোমার কাছে বডঠাকুরের ছবি নেই ?” বিস্মিত হইয়। বলিল—“থাকবে না। নিশ্চয়ই অাছে।” উৰ্ম্মিল বলিল—“কই দাও ল, দেধি একথান, বড় করে বধিয়ে আনব । তোমার ট।ষ্টিয়ে রাখবে এখন P জয়ন্তী কিছুক্ষণ ইতস্ততঃ করিয়; বলিল-“কি হবে আর ঘরে টাঙিয়ে, ওসব আমার ভাল লাগবে না।” উৰ্ম্মিল! এরকম উত্তর মে টেষ্ট আশা করে নাই, সে একেবারেই হতভম্ব হইয়। গেল । কোন কথা ন বলিয়। সেখান হইতে পলাইল । বুদ্ধিতে কুলাইতেছিল ন। জয়ন্তীর হইল কি ? গভীর রাত্রে নির্জন গুহে বাসক সজ্জার মত সাজসজ্জ আফার স্বামীর ছবির প্রতি এমন ঔদাসীষ্ঠ ! এই সবে দুই-তিন মাস বিধবা হইয়াছে, এখনও সিথির সি ছরের চিহ্ন, হাতের লোচার কলঙ্ক মিল।ইয়া যায় নাই বলিলেই চলে, ইহারই মৰো কি সে স্বামীকে এমন করিয়া ভুলিতে চাহে যে তাহার একটা ছবিও ঘরে রাখিবে না ? কি জানি ? মানু্য হয়ত মানুষকে কোনোদিনই চিনিবে না । বিধত প্রতি মানুষের মনের সম্মুথে যে পর্দ ঝুলাইয়' দিয়াছেন গভীর প্রীতির অস্তদৃষ্টি তাহা ছিড়িয় ফেলিতে পারে বলিয়। তাহার বিশ্বাস ছিল । কিন্তু দেখা গেল তাহাও মিথ্য। জয়ন্তীকে সে ভুল বুঝিয়াছে । এই সদাব্রহ্মচারিণীর মন চঞ্চল হইয়াছে ! কি জানি কবে সে আবার কি করিয়া বসিবে ? বেদনায় উন্সিলার বুকের ভিতরটা টন্‌ টন্‌ করিয়া উঠিল । জয়ন্তীকে সে অঞ্চল্য প্রাণ দিয়া ভালবাসিন্ধাছে, তাহাকে যদি জয়ন্তী কেন ? ঘরে তাহার কোনো। কলঙ্ক স্পর্শ করে তবে তাহ দেথিবীর অাগে উৰ্ম্মিলার মরণই মঙ্গল । উৰ্ম্মিল৷ ছেপেমানুষের মত মনে মনে মত জাগ্রত দেবতার নিকট মানসিক করিতে লাগিল, “ঠাকুর, ইহার শুভমতি দাও, আমি ষোড়শোপচারে তোমার পূজা দিব ।” জয়ন্তীকে চোখে চোথে রাখাই উৰ্ম্মিলার কাজ হইয়। উঠিল । তাতার চালচলনে বিশেধ যে কোনো পরিবর্তন ধরা যায় তাহ নয় । আগেরই মতন নি জেয় ও উৰ্ম্মিলাব ছেলেমেয়েদের সেবামৃত্বে তাহার দিন কাটিয়া যায় । বিকালে শমীন্দ্র আসিলে তাহাকে আদরবত্ব করিয়া খাওয়ানে!, তাহার সহিত হাসিগল্প কর, হগও তাহর নিত্য কৰ্ম্মপদ্ধতির ভিতর । এই বৈঠকে উৰ্ম্মিলাও প্রত্যহত লোগ দেয় । কিন্তু এক একদিন গল্প যপন খুব জমিয়া উঠিয়ছে, শমীন্দ্রের কথায় জয়ন্তী হাসিয় লুট হয় পড়িতেছে তপন উৰ্ম্মিল! অকস্মাৎ ভীষণ গম্ভীর হইয় উঠে । আনন্দ-সঙ্গীতের তাল কাটিয়া যায়, শমীন্দ্র অন্য কথ। পাড়িয়! আবার গল্প ফাদিতে চেষ্টা করে । উৰ্ম্মিলা রাগ করিয়া ব ল- “বুড়ে, BBB B BBBB BBS BB BBBB BBBB BBB BBS SS জয়ন্তী হয়ত বলে--“চল ভইউ ি আমরা বাগালের গাছে জল দিই গে।” বাগানের গাছে জল পড়ে বটে, কিন্তু দুই সর্থীর এক জনেরও মুখ ফোটে না । তাহ রা আগাগোড়াই নীরবে কাজ করিয়া আবার নীরবে আপন আপা ঘরে ফিরিয়া যায় । জয়ন্তী সাজি ভরিয়া ফুল তুলিয়। অন্ধেক উম্মিলকে দেয় অদ্ধেক নিজে রাখে । উৰ্ম্মিল হতে পাতিয় ফুল গ্রহণ করে বটে, কিন্তু আগের মত সে মিষ্ট হাসিব পুরস্কার দিতে পারে না । তাহদের দুই জনের মাঝধানে যে অফুরন্ত হাসি ও কথার স্রোত এতদিন বহিতেছিল, পরস্পরের চোপে চোখ পড়িতেই বিদ্যুৎপ্রবাহের মত যাহা গতিশীল হুইয়া উঠিত, আজ তাহার মাঝখানে প্রকাও একটা পাথরের মত বাধা আসিয় দাড়াইয়াছে, কিছুতেই তাহাকে দুই সর্থী অতিক্রম করিতে পারিতেছে না । জয়ন্তীও সেই রাত্রি হইতে উৰ্ম্মিলার মনের নূতন ধারা চিনিয়া লইয়াছে, কাজেই সে ও কোনো কথা পাড়িতে সাহস করে না ! গভীর রাত্রে উৰ্ম্মিলার ঘুম ভাঙিয়া যায়, কতদিন সে তন্ত্রালস চক্ষে বিছানায় উঠিয়া বসিয়া শুনিয়াছে জয়ন্তীর