পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'\so Rপ্রবাসী; 4. ఎ383 করিতেছে। সে পাধিতে উঠয় তাহার দিকে একবার ফিরিয়া তাকান দূরে থাকুক, মুহূর্বে পান্ধির দরঞ্জ। দুটি টানিয়া বন্ধ করিয়া দিল। ব্যাপারটা সে বুঝিতে পাধিল । বাঙ্গীরের বউ বিবাহের পর পাঁচ বছর কেন পাঁচ দিনেট এসমগু জিনিষ শিপিয়া নেয়। কিন্তু থাক সে কথা – পান্ধি এবীর পাড়ার পথ ছাড়িয়া পথে নামিল । জু-পাশে ধানের ক্ষেত। ধান অবগু অনেক দিন কটিয়া লওয়া হইয়া গিয়াছে। শুকৃনে মাঠথানি বিধবাব সীমস্ত-লেখার মত শুষ্ঠতার হা হা করিতেছে। গেীতের আলের উপর দিয়া তাহীর চলিতেছিল। সালের পাশে যেখানে একটু-আধটু স্থান আছে সেখানেই রাশি রাশি ঘেটুকুল ফুটিয়া আছে । মাসটা ফন্ধন । আরও কিছুক্ষণ চলিবার পর দূরে উচু রাস্তার উপর ছখানি গরুর গাড়ী দেখা গেল। তাহা হইগে গাড়ী - এর মধ্যেই আসিয়া গিয়াছে ৷ বাহক তাড়াতাড়ি চলিতে লাগিল । সুরেন একটু পিছাইয় পড়িয়ছিল । প্রায় সন্ধ হইয়া আলিয়াছে ! পাঙ্গি গরুর গাড়ীর নিকটে আসিয়া দ্বাড়াইল। প্রথম গাড়ীটির ছইয়ের তিতর একটি বংকে দেখা গেল। হুইয়ের ভিতর বিচালি বিছাই৷ তাহার উপর সতরঞ্চি পাতিয়া বন্ধটি বসিয়াছিল। কমলাকে পোটলা-পুটলি সমেত এই গাড়ীটিতেই উঠিতে হইল । সুরেন আসিয়া পিছনের গাড়ীটির ছুইয়ের ভিতর ঢুকিল । এটির ভিতর গুটিকতক পুরুষ-মানুষ বসিয়া জটলা করিতেছিল –এইবার গাড়ী ছাড়িয়া দিল । সন্ধ্যার অন্ধকার গাছপাতার কাকে এর মধ্যেই বেশ ঘন হইয়া উঠিয়াছে। রাস্তার পাশে বাদীদের ছেলেরা মাটি কোপাইতেছিল। সন্ধার ধুসর আকাশের দিকে তাকাইরা তাহার কোদাল ছাড়িয়া উঠিয়া পড়িল। শকট দুটি ধনায়মান অন্ধকারে ক্যাচ-কাচ করিতে করিতে চলিতেছিল। বিলের ধারগুলি জলহীন । মেছুনীরা আর পাক ঘাটাব’ট করিয়া মাছের সন্ধানে ফিরিতেছে লা “কাহারা ডোঙা ঘাঁড়ে করিয়া চুকাকলিকা হাতে লইয়া ফিরিতেছিল। তাহারা শকটচালকের সহিত দু-একটা কথাবাৰ্ত্ত বলিয়া চলিয়া গেল। পথের পাশে কটিকারীর বীকে দলে দলে মশা কুগুলী পাকাইয়া উঠিতেছে। - কমলা এই সমস্ত দেপিতে দেখিতে শকটে চড়িয়া চলিতেছিল। তাহীর মনে পড়িল কালই তো সে এই সময় গৃহকৰ্ম্ম সাবিয়া সন্ধান্ত্ৰীপ জালিতেছিল না ? ই৷ কালই তো । আর আজ সন্ধ্যায় সে সেপান হইতে কতদূরে চলিয়া অসিপ্পাছে ! এখন হয়ত তাহীর শাশুড়ী তাহীর কথা মনে করিতে করিতে তাহার কাজগুলি করিতেছেন। কমলার চোথে দুই ফোটা অশ্র জমিয়া উঠিল । বীপের বাড়ি যাইতেছে—আনন্দের কথা, কিন্তু কি জানি, তবুও তাহাব শ্বশুরবাড়ির কণা সনে পড়িয়া মনটা বিয়া হইয়৷ উঠিল।-- এইবার তাহায় পাশ্ব হইতে তাহার যাত্রা-সহচরী তাহাকে fজ্ঞাসা করিল—ই; বউ, তোমরা কোথায় যাবে ? কমলার এইবার আত্মনিবিষ্ট ভাব কটিয়া গেল। সে তাহার দিকে বেশ করিয়া তাকাইয় দেখিল । । দেখিল তাঁহারই যত একটি বন্ধু—কিন্তু বয়স হইয়াছে ! বোধ হয় বছর-পত্রিশেক। লম্ব। সিথিটিতে সিমূরের রেখা জল-জল করিতেছে। চোখ দুটিতে অপরিসীম ক্লান্তি । ছইয়ের ভিতর যতটুকু স্থান ছিল তাহীর মধ্যেই প। বিছাইয়া ক্লাস্ত চোথে বন্ধটি তাহার দিকে তাকাইয়া আছে। বন্ধটি আবার তাহীকে জিজ্ঞাসা করিল—তোমরা যাবে কদূৰ্ব ? কমলা বলিল—বলুহাটি । বন্ধটি একবার আপন মনে বলিল—’বলুহাটি —তাহার পর চুপ করিয়া গেল । বলিবার মত আর কিছু ছিল না হয়ত । আবার গাড়ীর চাকার কাচ-কাচ, শব্দ তাহার কানে বাজিতে লাগিল। কমলা আবার ছুইয়ের ফাক দিয়া বাহিরের দিকে তাকাইর রছিল। চারি দিক বেশ ঘুটঘুটে অন্ধকার—নিস্তন্ধ । পিছনের গাড়ী হইতে পুরুষদের কথাবাৰ্ত্তার একটু আধটু হাওয়ায় ভাসিয়া আসিতেছিল। বাহিয়ের দিকে তাকাইয়া, চাকার নিরস্তর ক্যাচৰ্কাচ, র্কোর্কে ধ্বনি শুনিতে শুনিতে তাঁহার চোথে একটু তন্ত্রী নামিয়াছিল বুঝি t কিন্তু তাঁহা কতক্ষণের জন্ত ? বট আবার নিস্তব্ধত ভঙ্গ করিয়া বলিল—বীপের বাড়ি যাচ্চ থালাস হতে বুঝি ?