পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুনে যে চলতে হবে ; তখন যে দুঃখের ভিতর দিয়ে যেতে হবে বঁশির মুরের মোহনমস্ত্রে সেই দুঃথই যে গলার হার হয়ে উঠবে। কাটা পায়ে ফুটবে—কিন্তু তাই যদি সহ করতে না পারব তবে বাশির সুর হ্যায়ের মধ্যে প্রবেশ করলে কই ? আঞ্জ পর্য্যন্ত দুঃখের পথেই আনন্দের অভিসার হয়ে এসেচে, আর কোন পথ নেই । আরামের শষ্য থেকে আমাদের ষে ডাক দিচ্চে সে তো শমনের পিয়াদা নয়, সে বঁাশির মুর। তবে আর ভাবনা কিসের ? দুঃখ না-হয় পেলুম, যথাসৰ্ব্বস্ব না-হয় দিলুম কিন্তু পরিপূর্ণতার মোহন রূপ ষে অমৃত রূপ ঢেলে দিচ্চে সে তো কিছুমাত্র মান হয়নি। আকাশ ভরে যে বাশি বাজচ সেইটেকে জীবনে বাজিয়ে নেবার শক্তি জেগে উঠক— সেই শক্তিই প্রেম । সে কোনো বাধা-বিপত্তি মানে না, হোল্লাস্ট ‘S সে সব বইতে চায়, সব সইতে এগোয়-তাকে ঘরের কোণে বসিয়ে রাখে কার সাধ্য ! অলস্যে তাকে ঘুম পাড়ায় না, বিলাসে তাকে মদ খাওয়ায় না । সেই প্রেমের কৰ্ম্ম, সেই সৌন্দর্যের শক্তি, সেই দুঃখের আনন্দ পরিণামটি উপলব্ধি করবার জন্তেই মন ব্যাকুল হয়ে আছে । মৃত্যু থেকে অমৃতে নিয়ে যাও ! আমাদের কাজকন্ম সমস্তই ক্ষুধার দ্বারা মৃত্যুর দ্বারা আক্রান্ত—তাকে অমৃতের মধো উত্তীর্ণ ক’রে দাও--তার থেকে লোহার শিকলের ঝঙ্কার একেবারে ঘুচে যাক—বীণার তারই বাজ তে থাক । ৯ই আশ্বিন, ১৩১৯ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্ৰীযুক্ত সস্তোষচন্দ্র মজুমদারকে লিখিত বর-চুরি স্ত্রীসীতা দেবী সত্তর-আশী বৎসর আগের কথা । তথনকার দিনের কথা এখন উপকথার মত শোনায়, তবু ঘটনাটা উপকথা নয়, সত্যই। " -- ই জমিদার বংশ–গুহ এবং মিত্র। পরস্পরের প্রতি দ্বেষ এবং হিসাটা ইহার পুরুষানুক্রমে উত্তরাধিকারহুত্রে লাভ করিয়া আসিয়াছেন। কবে কি কারণে এই শক্রতা প্রথম ঘটিয়াছিল, দোষটা কোন পক্ষে ছিল, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মধ্যে এই শক্রতাটাকেও ধরিয়া লওয়া বৃদ্ধিমানের কাজ কি না,ইহা লইয়া কেহ মাথা ঘামাঞ্জল । বাড়ির কৰ্ত্ত হইতে নববিধাহিত ছোট বন্ধটির মনেও এই বৈরিতার ভাব সমান ৰন্ধমুল। * .

পাশাপাশি দুই জেলাতে ইহাঙ্গের জমিদারী, তরাং ৷ সংঘর্ষ হইবার অবকাশ ছিল প্রচুর এবং উত্তর পক্ষের কেহই কোন দিন এদিককার কোন ইঞ্জিকে তুচ্ছ লাঠিয়ালে লাঠিয়ালে মাথাফাটাফাটিটাও ঘটিত তাহার চেয়ে বেশী বই কম নয় । আধ হাত জমি লইয়া মামলা করিয়া লক্ষ টাকা খরচ করিয়া দেওয়া বা দশ-বিশটা মানুষের প্রাণ নষ্ট করার মধ্যে ইহার গৌরব বই অগৌরবের কারণ কিছু খুজিয়া পাইতেন না । দেখা-শুনা ইহাদের মধ্যে ছিলই না প্রায়, তবু সামাজিক বিবাহ শ্ৰাদ্ধাদি ব্যাপারে কোনো তৃতীয় ব্যক্তির গৃহে ‘ মধ্যে মধ্যে এই দুই কুলের প্রদীপদের সাক্ষাৎ হইয়াও যাইত। সেস্থলেও ভদ্রতীর বালাই অপেক্ষা শত্ৰুত্তীয় বাঙ্গাই বেশী হইয়া উঠিত এবং নিমন্ত্ৰণকৰ্ত্তকে শঙ্কাকুল করিয়া তুলির তাছার সাক্ষাৎ ও পরোক্ষ ভাৰে উভয়ে উভয়কে যত রকমে পায়েম অপদস্থ ও অপমানিত করিবার চেষ্টা করিতেন । প্রাণে অনেকখানি ভয়লা গা থাকিলে এই গুইট ৰঙ্গের ক্ষানুষকে একসঙ্গে দিমন্ত্রণ কী কথা - , ; ; ": ?