পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ለኒ፡” EEFū$ ";هي হইলে তাহার সঙ্গে বেণী করিয়া খাতির জমাইবার লোভে কাস্তি স্কুলে মৃদ্ধ যাইতে রাঙ্গী ছিল । বিনয় ছেলেটি ভাল, পড়াশুনায় মন আছে, কিন্তু স্বাস্থ্য তাহারও ভাল নয়। তবে গরিবের ঘরে তাহাকে অত নন্দলালী ঢঙে মানুষ করা সম্ভব নয়, কাজেই অন্য দশ জনে যাহ থায় পরে, সেও তাঁহাই খায় পরে। অম্লখ করিলেও স্কুলে যায়। সম্প্রতি সে ম্যাটিক পরীক্ষার জন্য প্রাণপণে থাটিয়া প্রস্তুত হইতেছে। তাই ইচ্ছা থাকিলেও কান্তি বেশী আডড দিতে পারে না । দিনগুলা যেন পাথায় ভর করিয়া হু হু করিয়া উড়িয়া চলিতেছে। শু্যামলতা সে-দিন শিশু ছিল, দেখিতে দেখিতে কিশোরী হইয়া উঠিল । পাড়ার ছেলেদের সম্বন্ধেও সে আজকাল সচেতন হইয় উঠতেছে, তবে তাঁহার ভিতর রোমান্সের ভাব বেশী কিছু নাই, প্ৰতিযোগিতার ভাবই প্রবল ৷ এক দিন কান্তিচন্দ্র রাত্রে একথান প্রশ্নপত্র হাতে করিয়া ঘরে ঢুকিয়া বলিল, “দেখেছিস এবারে ইংলিশের . কোশন কি রকম শক্ত ? তোদের বারে এই রকম হলেই চক্ষু স্থির। বিনয়টাও ভাল করে লিখতে পারেনি।” লম্বা কাগজখানা হাতে করিয়া বলিল, “ই:, ভারি ত, মাও আমাকে খাতা, আমি পটাপট সব লিখে দিচ্ছি, তোমার বিনয়কে দেখিও * সত্যই একখানা খাত টানিয়া লইয়া সে প্রশ্নের উত্তর লিথিতে বসিয়া গেল ! ঘণ্টা দুই থাটিয়া, সব ক’টা প্রশ্নের উত্তর লিখিয়া কাস্তির হাতে দিয়া বলিল, “যাও তোমার বন্ধুকে দেখাও গিয়ে ।” রাত্রেই না দেখাইলে কিছু চণ্ডী অশুদ্ধ হইয়া যাইত না । কিন্তু কাস্তি রাত্ৰেই চলিল, তাহার নম্বনতারাটিকে আর এক বার দেখিতে পাইবার লোড়ে । বিনম্ন খাতাখানা লইয়৷ উটাইম্বা পাল্টাইম অনেকগুলা পাতা পড়িয়া ফেলিল । তাহার পর সংক্ষেপে বলিল, “তোমার বোন ইউনিভার্সিটিতে নাম রাখবে ।” কাস্তিচক্রের কানে কথাটা গেল কি-না বুঝা গেল না, পাশের শ্বর হইতে কে মিষ্টি গলায় মিহি স্বরে গান করিতেছিল, সে তন্ময় হইয় তাহাই শুনিতেছিল । & লতারও পরীক্ষার বৎসর দেখিতে দেখিতে আসিয়া ఏఛి83 পড়িল । তাহার পরিচিত জগৎ-সংসারে এই কয় ৰৎসরের মধ্যে নান পরিবর্তন আসিয়া পড়িয়াছে । নীহারিক দারণ পক্ষাঘাত পীড়ায় একেবারে জীবন্মত হইয়া পড়িয়াছেন, কথা পৰ্য্যস্ত একরকম বন্ধ। অত্যন্তু অস্পষ্ট ভাবে জড়াইয়া জড়াইয়া যাহা বলেন, তাহা স্বামী পুত্র কন্যা ভিন্ন কেহ বোঝে না। শুামলতা ঘরের কাজও দেখে, পরীক্ষার পড়াও পড়ে। কাস্তিচন্দ্র এখনও তেমনি পাড়ার লোকের চোখে বিস্ময় জাগাইয়া গলিতে গলিতে ঘোরে । তাহার শরীর আরও খারাপ হইতেছে, সুতরাং নিশ্চমই সে পরীক্ষা দিবে না । মা অক্ষম হইয় পড়ার পর তাহার আর নিয়মমত খাওয়া-দাওয়া হয় না। লতা পোড়ারমুখী নিজের পড়ার জাক করিতেই ব্যস্ত। বাবা ত মানুষের মধ্যেই গণ্য নহেন। উমাদের বাড়িতেও বিপদ আপদের শেষ নাই । তাহার বাবা মারা গিয়াছেন, বিনয় আই-এ পাস করিয়া অর্থাভাবে পড়িতে পারে নাই, গোটা পাচ ছয় ট্যুশনি করিয়া কোনো মতে সংসার চালাইতেছে । উমা আর স্কুলে পড়ে না, তাহার মা তাহার বিবাহের জন্য ব্যস্ত । কিন্তু গরিব ঘরের পিতৃ হীন মেয়ে, কে তাহাকে বিবাহ করিবে ? লতার পরীক্ষ হইয় গেল । শেষের দিন বাড়ি ফিরিয়া সে নিজেই বলিল, “ফাষ্ট না হই, সেকেণ্ড ত নিশ্চয় হব ।” নীহারিকার রোগপাণ্ডুর মুখে হাসি দেখা দিল । রামহরি বলিলেন, “ত হবে বৈ কি মা ? শুধু কাস্তি মুখখানাকে অসম্ভব বঁাকা করিয়া ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল । বন্ধুবান্ধব সকলকে মনের দুঃখ জানাইম, দিন কয়েক বলিয়া বেড়াইল, বোনের ষোল বছর বয়স হুইয়া গেল, মা-বাবা বিবাহ দিবার নাম করেন না, ইহাতে কাস্তির মানসন্ত্রমের বড় হানি হইতেছে । তাই ত, এখন আর লতাকে দশ-এগার বৎসর বলিয়া চালাইয়া দেওয়া চলে না । তাহার মুস্থ সবল দেহটি হঠাৎ যেন বর্ষার নদীর মত ফুলে ফুলে ভরিয়া উঠিয়াছে, লম্বায়ও বেশ বাড়িয়া উঠিয়াছে। তাছাড়া মাটিক পরীক্ষা যে দিল, সে-ই ত বয়সের একটা স্থির নিদর্শন ? যোল বৎসর না পুরিলে কাহাকেও ত থাত্তির করিয়া পরীক্ষা দিতে দিবে না ? পাড়ার লোকে রামহরিকে এমন কি পীড়িত। নীহারিকাকেও বাড়ি বস্থিয়া অযাচিত উপদেশ দিয়া যাইতে