পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३8० ধ্ৰুপ্রবাসী; SO8O হিসাবের পরিমাণ ১৪৯ টাকা কয়েক আনা মাত্র । ১৯২৯-৩০ সনে গড়পড়তা জনপ্রতি জমার পরিমাণ ছিল ১৬১ টাকা কয়েক আনা ; স্বতরাং সন অপেক্ষ ১৯০-৩১ সনে লোকের গড়ে উদ্ভূত অর্থ কমিয়া গিয়াছিল। সেভিং ব্যান্ধে গচ্ছিত অর্থ দরিত্রের উত্ত গচ্ছিত অর্থ মাত্র । এদেশে ১৮৮২-৮৩ সালে সৰ্ব্বপ্রথম পোষ্ট্যাল সেভিংস ব্যাঙ্কের স্বষ্টি হয় এবং প্রথম বৎসরে লেন-দেন করিয়া বৎসরের শেষে উদ্ধত জমা থাকে ২৭,৯৬,৭৯৬ টাকা ঃ ১৯৩৩ সালের ৩১শে মার্চ পঞ্চাশ বৎসর পূর্ণ হইয়াছে ; ইহার হিসাব এখনও পাওয়া যায় নাই, তবে ১৯৩০-৩১ সালের ৩১শে মার্চ তারিখে গচ্ছিতকারীদের হিসাবে জমার পরিমাণ ছিল ৩৭,৯২,৫৯,৮৭৪২ টাকা কিছু কম. পঞ্চাশ বৎসরের হিসাবট শিক্ষাপ্রদ ও ভাবিবার জিনিষ । সম্প্রতি প্রতি পাচ বৎসরের শেষে চারি পাচ কোটী টাকা বাকী জমা বৃদ্ধি পাইতেছে তাহাতে সন্দেহ নাই। গবর্ণমেণ্টের হিসাব হইতেই এ তথ্য অবগত হওয়া যায় । ১৯২০-২১ সনে মোট গচ্ছিত টাকার পরিমাণ ছিল ২২,৮৬,২১,৭১৬২ টাকা, ১৯৩১-৩১ সনে উহার পরিমাণ দাড়ায় ৩৭,৯২,৪৯,৮৭৪ টাকা ; স্বতরাং লোকের গচ্ছিত অর্থ যে বৃদ্ধি পাইয়াছিল তাহার সন্দেহ নাই । বাংলা ও বোম্বাই এই উভয় প্রদেশের সেভিংস্ ব্যাঙ্কের হিসাব হইতে দেখিতে পাই, সমগ্র বঙ্গদেশে মোট সেভিংস ব্যাঙ্কের সংখ্যা ৩,১৪১টি, তন্মধ্যে ৩৯টি বড় আপিস এবং ৩,১০২টি সাব অর্থাৎ শাখা আপিস বিশেষ। এই সকল ব্যাঙ্কে মোট ৬,১৫,৭৮৫ জন লোকের অর্থ গচ্ছিত ছিল । ১৯২৯-৩০ সনের জের টাকা জমা ছিল ৯,৩২,৭৯,৮৮৯২ টাকা, ১৯৩০-৩১ সনের মোট জমা হয় ৬,২১,১৪,৪৪০ টাকা, ১৯৩০-৩১ সনে স্বদবাবদ জমা মাত্র ২৫,৬৭,২৯৭ টাকা । মোট জমা টাকা ( বাংলায় ) ১৫,৭৮,৯১,৭২৭২ টাকা এবং বোম্বাই প্রদেশে ৯,৬৪,১৩,৩৮৩ টাকা, অথচ বোম্বাই প্রদেশের লোক বাংলা অপেক্ষা অধিক রোজগার করে এবং ধনী বলিয়া উক্ত প্রদেশের সবিশেষ খ্যাতি আছে। বাংলায় গড়পড়তা প্রতি ব্যাঙ্কের গচ্ছিতকারীর eتا-چ 23 د সংখ্যা ১৯৬ আর বোম্বাইয়ে ১৮৩ জন ; প্রতি ব্যাঙ্কে গড়পড়তা বাংলায় ২৮,৬৪৮ টাকা জমা আছে আর বোম্বাইয়ে আছে ৩১,০৮৩ টাকার কিছু উপর। প্রত্যেক বাঙালীর জনপ্রতি জমা ১৪৬ টাকা আর বোম্বাইয়ে জনপ্রতি ১৬৯ টাকার কিছু উপর। এই হিসাৰে বিভিন্ন প্রদেশের জনপ্রতি গচ্ছিতের পরিমাণ গড়পড়ত। দাড়াইয়াছে – পঞ্জাব निकू বোম্বাই উত্তর-পশ্চিম যুক্তপ্রদেশ মধ্যপ্রদেশ বিহার ও উড়িষ্ট বাংলা ও আসাম ব্ৰহ্মদেশ মাত্রাজ উপরিউক্ত হিসাব হইতে বিভিন্ন প্রদেশের দরিদ্রতর লোকদের উদৃত্ত অর্থের পরিমাণের আন্দাজ করা যায়। বাংলার শিক্ষিত যুবক অন্নাভাবে, চাকরি অভাবে আত্মহত্য অবধি করিতেছে অথচ বাংলা বিহার ও আসামের দরিদ্রতর লোকের প্রায় ১২ কোটী টাকা গবর্ণমেণ্টের নিকট মাত্র তিন টাকা স্বদে খাটিতেছে। ইহা অপেক্ষা অদৃষ্টের পরিহাস আর কি হইতে পারে ? পূৰ্ব্বে, অর্থাৎ সেভিংস ব্যাঙ্ক স্বষ্টির পূৰ্ব্বে, লোকের কি উৰুত অর্থ থাকিত না? আর, মাত্র তিন টাকা স্বদে সেই উদৃত্ত অর্থ খাটাইয়া কত অর্থ-বৃদ্ধি সম্ভবপর হয় ? এই অর্থ দেশের লোক পরস্পরকে বিশ্বাস করিয়া যদি ধনী মহাজন ও কারবারী দোকানদারগণের নিকট পূর্বের স্তায় গচ্ছিত রাখিতে আরম্ভ করে তাহা হইলে দেশের বেকার-সমস্ত কি দূর হয় না ? দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ও দোকানদারদের শ্ৰীবৃদ্ধি হয় না ? ইহা মাত্র পোষ্ট্রাপিস সেভিংস ব্যাঙ্কের হিসাব এখন প্রাইভেট ব্যাঙ্ক সমূহও এইরূপ ব্যাঙ্ক খুলিয়াছে, তাহাতে কত টাকা লেন-দেন হইতেছে তাহাতে জমা কত তাহা নির্ণয় করা দুরূহ। সেভিংস ব্যাঙ্কের টাকা যখনই গচ্ছিতকারী চাহিবে তখনই দিতে হইবে বলিয়া গৰণমেন্ট এ-টাকাটা নিশ্চয়ই עור. ששג Slot.st 3*a-ՊՊ רר.exצ לאיש.לצו צ >eա ԵՆ כיצ.86כ 388.*> . wh. చిరి