পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©38 & քt-ՊԱՀil ন। সরলা ও সরোজিনী দু-জনেই অল্প-স্বল্প লেখা-পড়া শিথিয়াছিল, কিন্তু স্বামীকে কেহ পন্ন লিখিত না। পত্রের শিরোনামায় কি স্বামীর নাম লেখা যায় –ছি । আর পত্র লিথিয়৷ ডাকে কেমন করিয়া দিবে, তাহা হইলে যে সকলে দেখিতে পাইবে। সরলা বলিল,- তুমি আমাদের কি বলচ, তুমি আমাদের কখন চিঠি লেথ ? এই অভিযোগ সত্য। বধূদের স্বামীকে পত্র লিখিতে যেমন সঙ্কোচ, স্বামীরাও স্ত্রীকে পত্র লিখিতে সেইরূপ লজ্জা অনুভব করিত। যোগেশ একটু ভাবিয়া বলিল, আচ্ছা, বড় বউ, এবার থেকে আমি তোমাকে চিঠি লিখব, তোমার চিঠির ভিতর ছোট বউকে চিঠি দেব। আর কতকগুল খামে আমার ঠিকানা লিখে দিয়ে যাব, তোমরা তাইতে চিঠি পূরে দিও। সরোজিনী মাথা নাড়িয়া মৃদুস্বরে বলিল,- আমি চিঠি লিখতে পারব না, কে কি বলবে । দিদি লিখলেই হবে। --কে আবার কি বলবে ? চিঠি লেখা কি একটা দুষ্কৰ্ম্ম না কি ? বড় বউর সঙ্গে তুমি চিঠি লিখবে তাতে আর দোষ কি ? সরলা বলিল, -এতকাল পরে বুঝি তোমার চিঠি লেখা মনে পড়ল? এইবার কলকেতায় ফিরে গিয়েই তুমি ত একজামিন দেবে. তারপর পাস হয়ে বাড়ি আসবে। --বাড়িতে কদিম থাকব ? আমাকে একটা কিছু করতে হবে ত। --বেশ ত, যখন কিছু করবে তোমার বউকে নিয়ে যেও। --ত হ’লে দাদা তোমাকে নিয়ে যায় না কেন ? --তিনি অল্প মাইনে পান, শহরে অনেক খরচ, তাই আমাকে নিয়ে যান না । কথাটার কোন নিম্পত্তি হইল না। এক সপ্তাহ পরে পরীক্ষা হইবে বলিয়া দিন-দুই পরে যোগেশ কলিকাতায় চলিয়া গেল । ૨ গ্রামে যেমন দিন কাটিত সেইরূপ কাটিতে লাগিল। cश***द्र था? मशनग्न प्रयन ऋबब्र नखबाब. बनिब धूब SనDBO পান করেন, গ্রামের চণ্ডীমণ্ডপে বসিয়া গল্পগুজব করেন, অপর গ্রামবৃদ্ধদিগের সহিত পাশা খেলেন। যোগেশের পিলিমা চরকায় স্থত কাটেন, মস্তকের স্খলিত কেশ সংগ্ৰহ করিয়া বধূদ্বষের চুলের দড়ি বিননী করেন। যোগেশের মাতা নিরামিষ পাক করেন, বধূরা আমিষ পাক করে। পুষ্করিণীতে পোন, চেলা, মৌরল, পুটি মাছ বিস্তর, জেলের ধরিয়া দিয়া যাইত। চালে লাউ-কুমড়া হইত, বাড়ির পিছনের জমিতে নটে শাক, বেগুন, টেড়স, সিম, ঝিঙে উৎপন্ন হইত। বাগানে কয়েকটা নারিকেল গাছ, একটা তেঁতুল ও একটা চালতে গাছ ছিল। কলাগাছে চাপা ও মৰ্ত্তমান কলা ফলিত । গ্রামে সপ্তাহে দুই দিন করিয়া হাট বসিত, হাটে আলু, পটল, পলতা, উচ্ছে, রাঙা আলু পাওয়া ঘাইত। বাড়িতে গরু ছিল। বধূরা পুষ্করিণীতে স্বান করিত, কাপড় কাচিত, বাসন মাজিত। মাসকাবারের সামগ্ৰী উমেশ বেণের দোকান হইতে লইয়া আসিতেন। কলিকাতায় পহুছিয়া যোগেশ উমেশকে দুই ছত্রের একখানি চিঠি দিয়াছিল। তাহার পর পরীক্ষার হাঙ্গামায় পড়িয়া আর কাহাকেও কিছু লিখিতে পারে নাই। পরীক্ষা কিছু দিন ধরিয়া নাগাড়ে চলিতে লাগিল-কতক লিখিয়া, কতক মুখে মুখে, কতক শবদেহ কাটাকাটি করিয়া। ধোগেশের নিঃশ্বাস ফেলিবার অবসর রহিল ন । কথায় কথায় সরলা এক দিন সরোজিনীকে বলিল,- কই, ঠাকুরপো আমাদের চিঠি দেবেন বলেছিলেন, চিঠি ত এল না। সরোজিনী কুষ্ঠিতভাবে কহিল,--তার পরীক্ষা হচ্চে কি না, তাই বোধ হয় সময় পান নি । –তাই হবে। যোগেশের পরীক্ষা প্রায় সমাপ্ত হইয়া আসিয়াছে এম সময় এক দিন বৈকাল বেলা সরোজিনী সরলাকে বলিল,—দিদি আমার মাথ! কেমন করচে ? মাথা ধরেচে, না ঘুরচে ? সরোজিনী কোন উত্তর দিল না, মাটিতে গুইয়া মূচ্ছি হইয়া পড়িল। সরল চীৎকার করিয়া উঠিল—ছে বউয়ের কি হল, দেখ ! যোগেশের মা ও পিলিমা ছুটিয়া জাগিলেন। যোগেশে মাৰলিলেন,—কি হয়েচে ?