পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় ছায়া চলার পথে চপল মোর চিত্ত তারামহীন বিরাম-মুখে নিত্য মিলনমাঝে বিরহ-গীত গাহে, বিধূর হয়ে সুদূর পানে চাঙ্গে, দেখে না চেয়ে হৃদয় গেহে কি তা’র রহে বিত্ত । আঁখির পানে ছিল সে তাথি মেলিয়, তবুও তারে হেলার ভরে ফেলিয়া, চলিয়া পথে ছলিয়া দূরে সরি’ ভেবেছি কত আছে সে পিছে পড়ি’,-- দিবস-রতি সাথের সার্থী রহে সে পাশে হেলিয় । নীরব তা’র নয়ন নিম্পন্দ মরমে আনে মধুর মহানন্দ ; চপল মনে মায়াবী অঙ্গুলি বুলাল স্নেহে মুপ্তি-জাক তুলি, মুছিল সব তুষার গ্লানি, ঘুচিল সব দ্বন্দ্ব। আঁপির মাঝে আঁথিটি তা’র আঁকিয়৷ ঠোঁটের হাসি লইনু ঠোঁটে মাখিয় : ব্যাকুল বুকে তবুও সদা ভয় কায়াটি যদি মিলায় ছায়াময় ; নিশীথ হতে নীলিমাটুকু কেমনে ল’ব ছাকিয় ? দেবতা যথা লুকায় অহোরাত্র মন্থশেষ-মুখের স্বধাপাত্র, তেমনি আমি আগলি ভয়ে মুখে মেলিয়৷ বাহু জড়ামু তারে বুকে, বাধিস্থ বুঝি বায়ুর থর ছায়ার মায়। মাত্র । পূর্ণতার তৃপ্তি লয়ে হৃদয়ে ছামাটি মোর মিলালো আলে-উদয়ে ; অলহ মুখ সখিতে যেন নারে. ভাঙনে তাই ভাgিল আপনারে -- এখনে তা’র বিদায়-বাথ বাজিছে বুকে নিয়ে । জীবন-পথে মিলিল খেল-ভঙ্গে মরণ-পথে নিল না মোরে সঙ্গে ; চোখের পরে দিনের পর দিন তষ্ঠটি ক্ষীণ হ’ল যে আরো ক্ষীণ, সুরের রেশ মিলায় যেন দুরের উংসঙ্গে । শেষের দেথ। আঞ্জে সে আছে স্মরণে মুখটি তার মৌনমূক মরণে ; দাড়ান্ত তা’র শ্যাপাশে আসি, ক্ষণেক তরে চাহিল শুধু হাসি, অস্তশেষ পাংশু আলো মেঘের কালে সরণে । ছাইল হার্সি পাণ্ডু মুখপ্রাপ্ত মৃদুরতর-অশ্ৰভর-ক্লান্ত, নারবে মোরে প্রণমে আঁখি ফুটি, রহিবে ইহ-জনমে তাহ ফুটি',— বঁধিল কেন মায়ায় তা’রে যে ছিল পথে পান্থ ? কেন সে আসি ক্ষণেক ভরে ছলিল, আমার পথে চলার পথে চলিল ? ছায়ায় ছাওয়া করুণ জলধন্থ বরিল কেন তরুণ তার ভন্ডু ? নিভিবে যদি প্রদীপ তবে মিথ্যা কেন জলিল ? কখন আঁখি মুদিল মুদিতাক্ষী, পথের পাশে রহিন্ত শুধু সাক্ষী ; রছিল শুধু খামলছায়াময় আখরে লেখা পথের পরিচয়, প্রাণের নিকেতনের মাঝে কারুণ্য-কটাক্ষী।