পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Beb পারে । ভারতীয় স্বদেশপ্রেমিক লোকেরা সকল ধৰ্ম্মসম্প্রদায় ও সকল দলের মধ্যে একতা স্থাপনের চেষ্টা অবশুই করিতে षोंकून । সম্পূর্ণ একতা স্থাপিত ন হইলেও, যে-পরিমাণে একতা স্থাপিত হইবে, সেই পরিমাণে স্বরাজলাভ সহজ হইবে এবং শীঘ্র সম্পান্ত হইবে। কিন্তু একতার অপেক্ষায় স্বরাজলাভ-চেষ্টা স্থগিত রাখা অনুচিত। একতার খাতিরে কোন সম্প্রদায়ের বা দলের স্বাজাতিকতা ও গণতান্ত্রিকতার বিরোধী কোন দাবি বা আবদার মানিয়া লওয়াও অনুচিত। মানিয়া লইলে দাবি ও আবদার বাড়িয়াই চলিবে, একত হইবে না, স্বরাজও পাওয়া যাইবে না। . হুভাষচন্দ্র বস্থ ও বিঠলভাই পটেলে স্বাস্থ্য ও কম্মিষ্ঠত ঐযুক্ত বিঠলভাই পটেল ও স্বভাষচন্দ্র বন্ধ এখনও আরোগ্য লাভ করিতে না-পারিলেও এতটা যে স্বস্থ হইয়াছেন, যে, ভারতবর্ধসম্বন্ধীয় ও আন্তজাতিক সভাসমিতির জন্য লিখিতে ও স্বযোগ পাইলে তৎসমুদ্ৰয়ের অধিবেশনে বক্তৃতা করিতে পারিতেছেন, ইহা আনন্দের বিষয়। উহারা সম্পূর্ণ স্নস্থ হইয়া উঠিলে তাহদের কম্মিষ্ঠত নিশ্চয়ই আরও বৃদ্ধি পাইবে। স্বভাষ বাবু ভিয়েন মিউনিসিপালিটির অভিজ্ঞতা হইতে কলিকাতার উন্নতির উপায় চিন্তা ও নির্দেশ করিতেছেন। বাঙালীদের মানসিক ও অন্যবিধ শক্তি বাঙালীরা স্বভাবতঃ ভারতবর্ষের অন্যান্য জাতির চেয়ে বুদ্ধিমান ও প্রতিভাশালী ইহা যেমন বলা চলে না, তাহাদের বুদ্ধি ও প্রতিভা কমিয়া গিয়াছে, ইহাও তেমনি বল চলে না | বাঙালী ও অন্ত ভারতীয়েরা যে সব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দেয় তাহাতে আজকাল বাঙালী ছাত্রেরা উচ্চ স্থান অধিকার করে না, নিৰ্ব্বাচিত ছাত্রদের মধ্যে কখন কখন এক জন বাঙালীরও নাম থাকে না। ইহা হইতে অনেকেই মনে করেন, বাঙালী ছেলেদের বুদ্ধি ও শ্রমশক্তি কমিয়া Pজ্ঞায়েন্টঃ - - 'SOBO গয়াছে। কিন্তু ইহা বাঙালী জাতির বুদ্ধি কমিয়া যাইবার একটা প্রমাণ মোটেই নহে। সকলেই জানেন, আজকাল অনেক ছেলে বড় চাকরি পাওয়াটাকেই একটা বড় উদ্দেশু মনে করে না। এই কারণে ইহা সম্ভব, যে, আগে যত খুব বুদ্ধিমান বাঙালী ছেলে চাকরির জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিত, এখন তত দেয় না । তারপর, আর একটা কথা বিবেচ্য । আগে আগে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া যত কঠিন ছিল, অনেক বৎসর হইতে তত কঠিন নাই । তার মানে, এখন আগেকার চেয়ে কম পরিশ্রমে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হওয়া যায় । ইহাতে ছাত্রদের শ্রমের অভ্যাস কমিয়া থাকিবে, এবং শ্রমের অভ্যাস কম হওয়ায় অপেক্ষাকৃত ভাল ছেলেরাও অন্যান্য প্রদেশের পরিশ্রমী ভাল ছেলেদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারিয়া উঠে না। কিন্তু ইহাতে প্রমাণ হয় না, যে, বাঙালীর বুদ্ধি কমিয়া গিয়াছে। বাংলা দেশে সংগৃহীত রাজস্ব গবন্মেণ্ট ভারতবর্ষের নানা প্রদেশে খরচ করেন। বাংলা ছাড়া আর সব বড় প্রদেশেই শিক্ষাপ্রণালীর উন্নতির চেষ্টা ও তজ্জন্য অর্থব্যয় বেশী হয় । এই কারণে বাংলা দেশে ছাত্রদের শিক্ষা আজকাল সম্ভবতঃ অন্য কোন কোন প্রদেশের চেয়ে নিকৃষ্ট রকমের হয়। কোন কোন প্রদেশে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পাল করাইবার জন্ত বিশেষ রকম শিক্ষা দেওয়া হয়। বাংলা দেশে সেরূপ কোন বন্দোবস্ত নাই। তাহার পর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রণালীর মধ্যেই দোষ থাকিতে পারে। ইংরেজরা ভারতীয়দের মধ্যে বাঙালীদিগকে যতটা কম ভাল বাসে, অন্য কাহাকেও ততটা নহে । এই জন্য, যে-সব পরীক্ষায় ইংরেজদের কর্তৃত্ব আছে, তাহাতে-- farasų figl castforç (oral Il viva voce *ler* )— অজ্ঞাতসারে বাঙালী পরীক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার হইতে পারে ;– জ্ঞাতসারে অবিচারও হইতে পারে, কিন্তু তাহা হুম, তাহার কোন প্রমাণ আমাদের নিকট নাই। ইংরেজ ছাড়া অন্য অবাঙালী পরীক্ষকেরা সকলেই যে বাঙালীদের প্রতি দ্যায়বিচার করিতে সৰ্ব্বদ সমুৎসুক, এরূপ মনে করিবার কারণ নাই । এইরূপ নানাবিধ কারণে বাঙালী ছাত্রেরা প্রতিযোগিতা