পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ जॉलिब्रां९ فهذه করিয়া ধনোপার্জনের পথ সুগম করিতে পারে। কিন্তু আমি তাহার উত্তরে বলি, বৰ্ত্তমান শিক্ষ-প্রণালী যেখানে প্রচলিত সেইখানেই এই বিষ অনুপ্রবিষ্ট । মৌলবী আবদুল করিম শিক্ষাবিভাগের একজন বিচক্ষণ অভিজ্ঞ উচ্চশ্রেণীর স্কুলপরিদর্শক ছিলেন। তিনি অবসরপ্রাপ্ত হইয়াও অনেক স্থচিন্তাপূর্ণ বক্তৃতা ও প্রবন্ধ রচনা করিয়াছেন, তাহা হইতে সামান্য অনুবাদ করিয়া দিতেছি । "এক সময় বাখরগঞ্জ জেলা পরিভ্রমণ কালে আমি দেখিলাম যে, একটি প্রাইমারী স্কুল অর্থাভাবে শোচনীয় অবস্থায় পতিত হইয়াছে. বিদ্যালয়টির পরিদর্শন হইয় গেলে আমি সেখানকার কতকগুলি লোককে বলিলাম যে, বিদ্যালয়টি যাহাতে বেশ ভাল ভাবে চলে তাহার ব্যবস্থা তোমাদের করা উচিত। আমার কথা শুনিম্ন তাহদের মধ্যে একজন আস্তে আস্তে বলিল, "যেদিন স্কুল উঠিয়া যাইবে সেইদিন হরির লুট দিব । পরিশেষে যখন আমি সেখানকার পুলিস ইমস্পেক্টরকে ইহার কারণ জিজ্ঞাস করিলাম, তখন জানিতে পারিলাম যে, ছেলেপিলে সামান্য কিছু লেখাপড় শিথিয়াই তাহদের পৈতৃক ব্যবসাকে ঘৃণার চক্ষে দেখে। তাহার নিজেদের দোকানে বসিয়া বেচা-কেন। করিতে লজ্জা বোধ করে ।” ১৩৩৯ সালের মাঘ মাসের ‘বন্ধমতী’তে আমার ষে প্রবন্ধ প্রকাশিত হইয়াছে এবং যাহা চৈত্র মাসের প্রবাসীতে উদ্ধৃত হইয়াছে তাহার এক স্থলে আছে যে, এখন জার হিন্দু ছুতার প্রায়ই দেখা যায় না, ইহার কারণ কি ? মিষ্টার কমিং বহু পূৰ্ব্বে স্বক্ষ দৃষ্টির সাহায্যে যাহা দেখিয়াছিলেন তাহা এখন সকলেই বুঝিতে পারিতেছেন। পঞ্চাশ-ঘাট বৎসর পূৰ্ব্বে কলিকাতায় এমন সব হিন্দু রজক ছিল যাহার মাসে একশ-দেড়শ টাকা রোজগার করিত। বড় বড় জাহাজ গঙ্গার ঘাটে পৌছিলে রাশি রাশি মলিন বস্ত্র এই-সব রজকের নিকট ধৌত, করিবার জন্য বিলি হইত। কিন্তু যখন এই সব রঞ্জকের সন্তানগণ একবার মাত্র ইংরেজী স্কুলে প্রবেশ লাভ করিয়া কোন রকমে দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণী পৰ্য্যন্ত পড়িল অমনি তাহাদের মাথা বিগড়াঈয় গেল। বাঙালী দিন দিন যে শুধু কঠোর প্রতিযোগিতায় পরাজিত হইতেছে তাহা নহে, এই রকম মিথ্যা ময্যাদাও তাহাদের সৰ্ব্বনাশের কারণ হইয়। سنٹےتاخیحیتیجتا۔ জালিয়াৎ শ্ৰীবিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় X হায়, পল্লীর জুলারী,—সে আজ কলিকাতার বধূ বোধ হয় ভাবে--- হায় রে রাজধানী পাষাণ কায়া ! ব্যাকুল বালিকারে, নাহিকো মায়া ! প্রাণ তাহার কাদে– কোথা সে খোলা মাঠ উদার পথঘাট, পাখীর গান কই, বনের ছায়া ! কিন্তু ঐ পর্যন্ত ; ইহার বেশী আর কবিবরের মানসী প্রতিমার সঙ্গে এই মেয়েটির কিছু মেলে না। তাহার কারণ বোধ হয় এই যে, প্রত্যেক ব্যাপারেই ইহার নিজস্ব মতামত খুব দৃঢ় এবং সুস্পষ্ট। যাহা ভাল লাগে তাহ চাই-ই, যাহা লাগে ন৷ ভাল তাহ চাই না। সিঁদুরে আমের লোভে যেদিন গাছের মগডালে উঠিয়া জীবন সঙ্কটাপন্ন করিয়াছিল সেদিনও ছিল এই কথা আর আজ, ভাল না লাগার দরুণ, কলিকাতা ছাড়া চাই বলিয়৷ যে-সব ফন্দি-ফিকির মনে মনে আঁটিতেছে, তাহারও মূলে সেই একই কথা। মেয়েটির নাম চপলা। যখন রাখা হইয়াছিল সে-সময় সকলের দৃষ্টি ছিল ওর মা'র কাচা সোনার মত রংটির দিকে, এবং কাহারও আর সন্দেহ ছিল না যে এমন মা’র মেয়ের দেহলতাটির মধ্যে একদিন বিদ্যুতের চপলদীপ্তি শান্তইতে