পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ ১ AA MMAAA AAAA SAAA SAAAAAS AAAAAS AAAAAS S AAAAAA खाजिब्रां९ &3 SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAS SSAS হঠাৎ কথাটা যেন মাথায় পাক দিয়া ঘুরিতে লাগিল— ‘বাপের মেয়ের লেখা...বাপের মেয়ের লেখা...’ চপল আস্তে আস্তে কলনটা রাখিয়া দিম| জানালার বাহিরে চাহিয়া দাতে নপ খুঁটিতে লাগিল। দৃষ্টি স্থির, ভ্র-ছুটি কুঞ্চিত হইয়৷ পক্ষেরের টিপটির কাছে একসঙ্গে মিলিয়া গিয়াছে।... ক্রমে তাহার বুকের ঢিপঢিপানিট বাড়িয়া গেল, সমস্ত মুখটা উজ্জল হুইয়া উঠিল এবং ঠোঁটের কোণে নিতান্ত অল্প একটু হাসির আভাস ফুটিয়া উঠিল ।...“বাপের মেয়ের লেখা” -- আর যদি ওটুকু তফাৎও মিটাঈয় ফেলা যায় ! মাথার মধ্যে একটি মতলব জাকিয় উঠতেছে, চপল একমনে সেটিকে বেশ ভাল করিয়া পরিস্ফুট করিয়া তুলিল । একবার উঠিয়া একটু ঘুরিয়া আসিল শাশুড়ীর অকাতরে সুমাইতেছেন ; শ্বশুরের ঘড়িতে মোটে একটা বাজিয়াছে। স্বামীর কলেজ বোধ হয় কাজ চারটে পৰ্য্যস্ত এখনও ঢের সময় ৷ - ঘরে আসিয়া পোষ্টকার্ডটি সামনে - বইয়ের তাড়ার গায়ে হুেলান দিয়া রাখিল, তাহার পর কতকগুলা কাগজ লইয়া ইস্তক "শ্ৰীশ্ৰীদুৰ্গ সহায়” থেকে "শ্ৰীঅগিলচন্দ্র দেবশৰ্ম্মণ” পৰ্য্যন্ত সমস্তথানি নকল করিতে লাগিম৷ গেল । দুষ্টট বাজিম গেল—-আড়াইট - তিনট। কপালের ঘাম মুছিয়া মুছিয়া আঁচলখানি ভিজিয়া গিয়াছে। তা যাক্ ; ওদিকে প্রত্যেক অক্ষরের বাক, কোণকাণ, মাত্রা একেবারে বাবার লেখার মত হইয় দাড়াইয়াছে,—মেয়ে লিথিয়াছে বলিয়া চিমুক দেখি কে চিনিবে ! তাহার পর আসল কাজ, যার জন্যে এত মেহনং । বাপের চিঠি থেকে অক্ষর বাছিয়া বাছিয়া একটা আলাদ কাগজে সন্তপণে লিখিল- “পুনশ্চ। আর বৈবাহিক মহাশয়, আপনার বেহান কয়দিন থেকে একেবারে শয্যাধর । একবার টপুকে দেখিবার জন্য বড়ই ব্যাকুল হইয়াছেন । শ্ৰীমান অজিত বাবাজীবনের সহিত অতি সত্বর পাঠাইয় দেন তে৷ ভাল হয়। ইতি শ্ৰীঅথিলচন্দ্র দেবশৰ্ম্মণ:” কাগজখানি পোষ্টকার্ডের পাশে একেবারে শাটিয়া ধরিল। অবিকল বাবার লেখা ! চপল লেখাটুকু আরও আট দশবার ভাল করিয়া মক্স করিয়া লইল, তাহার পর সর্বসিদ্ধিদাতৃ দুর্গাকে স্মরণ করিয়া সমস্তটুকু বাবার পোষ্টকার্ডে, ঠিকানা লেখার দিকে পালি জামুগাটুকুতে সাবধানে লিখিয়া ফেলিল । লিথিয়াই তাহার মুখটা শুকাইয়া গেল ; কলমটা রাপিয়৷ দিয়া বলিল "ঐ য৷ ” ঠিকানার কালির সঙ্গে এ কালি মোটেষ্ট মিস্ খায় না ! উলটাইয়া-পালটাইয়। দুষ্ট পিঠ তুলনা করিতে লাগিল। না, এ স্পষ্ট বোঝা যাইতেছে আজকের সদ্য লেপা। এ-চিঠি দিলেই তে সৰ্ব্বনাশ ; না-দেওয়াও বিপজ্জনক, এখন উপায় ?... ভাবিতে ভাবিতে সে নিতান্তই বিচলিত হুইয়া উঠিল এবং তাহার কাজটা ক্রমে একট। অপরাধের আকারেক্ট তাহার মনে প্রতীয়মান হষ্টয়া উঠিতে লাগিল। ব্যাকুল হইয়া বলিল- “এ কি করলে ম-দুর্গ ? -- তাহলে লেপাতে গেলে কেন ?” ● চপলার এখন পৰ্য্যস্ত বিশ্বাস ম-দুর্গ নিজের অন্যায়টুকু বুঝিতে পারিয়া হঠাৎ তাহার মাথায় আর একটু বুদ্ধি আনিয় দিলেন।...সে ভাড়াতাড়ি নিজের ঘরে গিয়া বাক্স খুলিয়৷ একটি চিঠি বাহির করিল, কাল দুপুরে বসিয়া সইকে খানিকট লিগিয়াছিল, এপলও শেষ হয় নাই । কম্পিত বক্ষে চিঠিটার ভাজ খুলিয়৷ পোষ্টকার্ডে বাবার লেখার পাশে ধরিল,— একেবারে এককালি ! আশ্বস্ত হইয়া নিজের মনে বলিল “ম যে বলেন-ভাল কাজে বিঘ্নি অনেক, তা মিছে নয়। যা, কেটে গেল।” বিকালে আসিয়া শ্বশুর অভ্যাসমত জিজ্ঞাসা করিলেন—— “আজ কোন চিঠি-ফিটি এসেছিল গ শাস্ত-মা ?” চপল একটুও দ্বিধা না করিয়৷ উত্তর দিল - “কষ্ট, না তে বাব৷ ” দু-রকম কালির গরমিল মিটাইয়া চিঠিটা আসিল তাহার পরদিন ; উঠানের একপাশেই পড়িয়া ছিল, শাশুড়ী তোলেন। শ্বশুর বালিসের নীচে তাপিসের চাবি রাপিতে গিম্ন আপনিই পাইলেন ; চপল সেদিন বাড়িতে ছিল না তপন । পাশের বাড়ি হইতে বেড়াইয়| আসিয়া নিজের ঘরে ঢুকিয় পড়িল । কেমন যেন শ্বশুরের সামনে আসিতে পা উঠিতেছে না, বুকটা ধড়াস্ ধড়াস্ করিতেছে। ডাক পড়িল- “কই গো, চঞ্চলী-মাকে আজ দেখতে পাচ্ছি না কেন ?”