পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ छभिग्न अश्वेिकांद्भ «?8ግ পায় গ্রামে । আমাদের খুব একটা বড় সম্পদ ছিল সে হচ্ছে আত্মীয়ত।। এর চেয়ে বড় সম্পদ নাই। সমস্ত পশ্চিম মহাদেশে মানুষে মামুযে আীয়তা অত্যন্ত ভাসা ভাসা । আমাদের দেশের লোক চায়,-—পাণ্ডিত্য নয় ঐশ্বৰ্য্য নয় –চায় মানুষের আত্মার সম্পদ।” মানুষের বৃহত্তর মঙ্গলের দিকে লক্ষ্য রেখেই সামাজিক ব্যবস্থা প্রণয়ন করা উচিত। পৃথিবীর লোকসংখ্যা বৃদ্ধি-হেতু মানুষের জীবনসংগ্রাম ক্রমেই কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে । কলকারখানার বিস্তৃতি ও জনবিরল নূতন দেশ দখল ও আবাদ করে মানুষ খানিকট হাফ ছেড়ে বেঁচেছে । শুধু জমির প্রসাদে যেখানে মানুষের গ্রাসাচ্ছাদনের সঙ্কুলান হয় না, কলের বঁাশির ডাকে সেখানকার নরনারী কারখানায় ও শহরে সমবেত হয়েছে। কলের বেদীমূলে মানুষের যে ভিড় জমেছে, সেখানে তার সমাজ বাধে নি, মিলন ঘটে নি। প্রেম ও আত্মীয়তার সুত্রে মানুষ সেখানে গ্রথিত হওয়ার স্বযোগ সহজে পায় না বলে তা হ’তে মানবতা সেখানে পঙ্গু হয়ে আছে। এই রুত্রিম জীবন থেকে মানুষ মুক্তির অনাবিল আস্বাদ পায়, যখন পল্লীর কোলে সে অবসরকালে আবার ফিরে আসে । অল্পকালের জন্য হ’লেও তা মানুষের বাঞ্ছনীয়। পল্লীর সঙ্গে এ সকল মানুষের,- কারখানার কৰ্ম্মী, শহরবাসী চাকরে, ব্যবসায়ী ইত্যাদির মিলনরক্ষার সোনার গ্রন্থি হ’ল পল্লীর কোলে একখানি জমি, পুকুর ও বাগানঘেরা ভদ্রাসন। বাড়ি বলতে বাংলা দেশে আমরা তাই বুঝি। গৃহহীন, লক্ষ্মীহীন মানুষের সংখ্যাধিক্য সমাজের ও ব্যক্তির মহত্তর কল্যাণের অমুকুল নয়। তাই একশ্রেণীর অর্থনীতিবিদ, র্যারা কারখানার কাজের স্ববিধ হবে মনে করে কলের মজুর ও প্রবাসী কৰ্ম্মীদের জমির স্বত্ব থেকে বঞ্চিত করতে চান, তাদের মত সমর্থনযোগ্য কি-না বিবেচ্য। এদেশে কলকারখানার মজুরদের খবর যার রাখেন, তারা জানেন যে, সারা বছর মজুর-শ্রেণীকে কলের কাজের জন্য ধরে রাখা যায় না ;– জমি চাষ ও আবাদের সময় অনেক মজুর কারখানার কাজ থেকে ছুটি নিয়ে দেশে যায়। এই সমস্তার সমাধানের জন্য যার আন্দোলন করেন, তাদের মধ্যে অনেকের প্রস্তাব এই যে, ক্ষুত্র ক্ষুদ্র ভূভাগের স্বত্ববান এই লোকদিগকে জমির স্বত্ব থেকে বঞ্চিত করা হোক। তাতে একদিকে কৃষির ও অন্যদিকে কারখানার কাজের অনেক স্ববিধা হবে। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে, কথাটা ভালই মনে হয় । কিন্তু মানুষের মহত্তর কল্যাণের সমস্ত এতে জড়িত আছে বলে আরও গভীরভাবে বিষয়টা বিচার করে দেখা উচিত। বাংলা দেশে প্রজাস্বত্ব আইনের গত সংশোধনের সময় কর্তৃপক্ষ বিষয়টা এদিক থেকে ভেবে দেখেছেন কি-না বোঝা যায় না । আমাদের প্রথম এবং প্রধান কথ। এই খে— জমিতে সকল মানুষেরই যে-কোনরূপ অধিকার থাকা উচিত । মহাজনই হোক বা প্রবাসী চাকুরে, ব্যবসায়া মধ্যবিত্ত মজুর, ধে-ই হোক, আখের মূল্যে জমির স্বত্ব যে কিনবে, অথবা অধিকারের মূল্যে পতিত জমির স্বত্ব যে দখল করবে, তার যথার্থ আয় সে পাবেই । জমিকে অন্যান্ত সম্পত্তির মত চাষীর নিজস্ব সম্পত্তিরূপে গণ্য করা উচিত, যাতে তার বেচা-কেনার স্বাধন ও নিৰ্ব্বিরোধ অধিকার থাকবে। এখানে আর একটি প্রশ্ন এই উঠবে যে, উক্ত আদর্শসত্ত্বেও দেশে বহু সহস্র ভূমিহীন মজুর থাকবে, যারা বৰ্ত্তমানে বর্গাদার, আধিমার হয়ে, বা ফসল চাষ ও কাটার সময় এ জেলায় সে-জেলায় ঘুরে জমির মজুরী করে। তাদের ব্যবস্থা কি হবে ? এরূপ ভূমিহীন মজুরের সংখ্যা দেশে খুব বেশী মনে হওয়ায় ১৯২৮ সনের প্রজাস্বত্ব আইনে এই বর্গাদার ও ভূমিহীন মজুরদিগকে জমির স্বত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে,—অধস্তন-রায়ত ( under-raiyat ) হিসাবে তাদের মেনে নিয়ে । কিন্তু তা সত্ত্বেওঁ উক্ত শ্রেণীর মজুর এ-দেশে থাকবেই। মাঝে শুধু আর একটা মধ্যবিত্তশ্রেণীর স্বষ্টির সম্ভাবনা হ’ল । উৰ্দ্ধতন মধ্যবিত্তশ্রেণীকে জমি হতে ঠেলে সরিয়ে দেওয়া হ’ল । কিন্তু সমাজের কল্যাণ ও উন্নতির জন্য চিরন্তন গ্রামিক ও প্রবাসী গ্রামিকের মধ্যে অন্তত কিছুকাল একত্র বাস এবং তার ফলে ভাবের ও কর্মের বিনিময় হওয়া উচিত। এরূপ মিলন, আমাদের বর্তমান জীবনে, ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র—সকলের পক্ষেই মঙ্গলজনক হবে । ভূমিহীন ভূমি-মজুরের সমস্ত সমাজের অসাম্য ও আতঙ্কের বড় কারণ নয়। কারখানার সাধারণ শ্রেণীর মজুরের চেয়ে, অন্তত এই বাংলা দেশে, জমিহীন জমির মজুরদের আর্থিক, পারিবারিক ও সামাজিক অব্যস্থ অনেক বিষয়ে ভাল । কারখানার মজুরদের চেয়ে শ্রেম সামাজিক জীবন তারা যাপন করে । বাংলার পল্পীজীবনের সঙ্গে র্যারা পরিচিত, তারা