পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ প্রত্যাবর্তম @ዊ® অনুগ্রহ করে পনর মিনিট অপেক্ষা করি, এর মধ্যে কোনও খবর না পেলে তবে যেন রওয়ান হই। যা হয় হবে ভেবে স্নান জাহার করতে গেলাম। সৰে থাচ্ছি এমন সময় খবর এল গভর্ণর টেলিফোনে ডাকছেন। গিয়ে শুনলাম যে, কিরকুকের কর্মচারীদের দোষে এই গোলমাল হয়েছে, মোসলের মেয়র এখনি আসছেন সমস্ত ব্যবস্ত করতে এবং আমরা যদি প্রয়োজন মনে করি তাহলে গভর্ণর স্বয়ং আসবেন। তাকে জানালাম যে, তার আস্বার কোনই প্রয়োজন নেই এবং অসময়ে বিরক্ত করার জন্য আমরা দুঃখিত। তাতে তিনি বললেন, আমরা এ রকম করেছি এর জন্য তিনি ধন্যবাদ দিচ্ছেন, কেন না, তা না হ’লে তার অতিথির প্রতি অসম্মানের দোষ হত । ইপি ছেড়ে বাচলাম, কিরকুকের চালক ও সেপাইকে ছেড়ে দিলাম, তারাও বঁচিল—কিন্তু বখশিস্ কিছুতেই নিল না, আরব অতিথির কাছে বখশিশু কি নেবে এই বলে অমিয় বাবুর মুখও প্রসন্ন হ'ল। মেয়র মহাশয় এলেন। অল্পবয়স, কিন্তু আভিজাত্যের পূর্ণ লক্ষণযুক্ত, শুভ্রকাস্তি প্রিয়দর্শন ব্যক্তি। তার সঙ্গে বেরিমে পড়া গেল, হোটেলওয়ালার ছেলে চললেন সঙ্গে দোভাষী হিসাবে। প্রথমে মোসলের শহর দেখে, নর্দাপার হয়ে নিনেভার পাশি, পরে পোরশাবাদ, এষ্ট-সব দেখে অনেক রাত্রে হোটেলে ফিরে আসা গেল। পথে অনেক কথাষ্ট হয়েছিল যাতে বুঝলাম ইনি জগতের বিষয় অনেক খবরই রাখেন এবং সে সম্বন্ধে বিশেষ চিন্তাও ক'রে থাকেন।