পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গে নারীহরণ গত ২১শে জুলাই বঙ্গের গবর্ণর ঢাকায় এক বক্তৃতায় বলেন যে, বঙ্গে নারীহরণাদি অপরাধের সংখ্যা বেশী দেখ যাইতেছে, কিন্তু সত্য সতাই ঐৰূপ অপরাধ বাড়িতেছে, নাকতকগুলি সমিতির ন্যায্য স্বচেষ্টাম আগেকার চেয়ে অধিকসংখ্যক অপরাধ পুলিসের ও সৰ্ব্বসাধারণের গোচর হইতেছে, তাহা বলা যায় না। ওরূপ অপরাধের সংখ্যা বাড়ক বা না বাড়ক, নারীহরণাদি অপরাধ যত ঘটতেছে, তাঙ্গ অত্যন্ত দুঃপকর, উদ্বেগজনক ও লজ্জার বিষয় । গবর্ণর আরও বলেন, বঙ্গে যে ওরূপ অপরাধ অন্য প্রত্যেক প্রদেশের চেয়ে বেশী হয়, ঠিক ক<িয় তাহা বলা যায় না। বঙ্গে সকল প্রদেশের চেয়ে ঐপ্রকার অপরাধ বেশী হউক বা না হউক, যাহা হয়, তাছাও বঙ্গীয় হিন্দু ও মুসলমানদের এবং ইংরেজ-রাজত্বের একট গুরুতর কলঙ্ক । সালের ৩০শে আগষ্ট বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় শ্ৰযুক্ত কিশোরীমোহন চৌধুরীর একটি প্রশ্নের উত্তরে রাড সাহেব বলেন, “হা, আমি মনে করি, আধুনিক কয়েক বৎসরে ঐক্কপ অপরাধ বাড়িয়াছে।” এবংসর কিন্তু ঐরুপ প্রশ্নের জবাবে ব্যবস্থাপক সভায় প্রেন্টিস্ সাহেব বলেন, “সংখ্যাগুলা বাড়ে কমে ; তাহা হইতে নিশ্চিত সিদ্ধান্ত কর যায় না, যে, ঐরূপ অপরাধ বাড়িতেছে।" নারীহরণ ভারতবর্ষের সব প্রদেশেই অল্পাধিক হয় ; বেশী হয় বাংলা, পঞ্জাব, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ এবং সিন্ধু দেশে। এই সব প্রদেশেরই অমুসলমানের ভীরু নহে, যদিও প্রত্যেকটিতেই তাহারা সংখ্যায় মুসলমানদের চেয়ে কম। নারীহরণাদি নিবারণের জন্ত গবন্মেন্ট কি করিতেছেন, তাহার উত্তরে গবর্ণর তাহার পূৰ্ব্বোক্ত বকৃতাম্ব বলেন যে, ১৯৩ সালে পুলিন-বিভাগের কর্মচারীদিগকে একটি চিঠি লিখিয়া, এইরূপ অপরাধ যাহার করে, তাহাদিগকে দণ্ডিত Evరి করিবার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিতে বলা হয়।" এই চিঠিতে যে কোন ফল হয় নাই ভাহা ১৯৩২ সালের ৩০শে আগষ্টে প্রদত্ত রীড সাহেবের জবাব হইতে বুঝা যায়। অথচ ঐ বৎসর ৩০শে সেপ্টেম্বর যখন কুমার মুনীন্দ্রদেব রাম মহাশয় ব্যবস্থাপক সভায় প্রশ্ন করেন, যে, গবন্মে টি এরূপ অপরাধ দমনার্থ কোন বিশেষ উপায় অবলম্বন করা সমীচীন মনে করেন কি-না, তখন রীড সাহেব কেবল পূৰ্ব্বোক্ত পুলিস-বিভাগীয় চিঠিটির উল্লেখ করেন । বর্তমান বংসর ২২শে আগষ্ট শ্ৰযুক্ত সতীশচন্দ্র রায় চৌধুরী, ঐরূপ প্রশ্ন করিম কোন উত্তর পান নাই । তিনি ঐ দিন আর একটি প্রশ্ন করেন “নিম্ন আদালতসমূহকে এই প্রকার সব অপরাধের জন্য কঠিন শান্তি দিতে উপদেশ দিবার নিমিত্ত গলন্মেটি হাইকোর্টকে অন্তরোধ করা পরামর্শসিদ্ধ কি-না বিবেচনা করিতেছেম কি ?’ উত্তরে প্রেটিস সাঙ্গেব বলেন, “ন " অথচ ঐ প্রেটিস সাহেবষ্ট ঐ দিন অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “গবন্মে টি অবগত হইয়াছেন, ঘে, ঐরূপ অপরাধগুলার জন্য আইনে সৰ্ব্বোচ্চ যে দগু আছে সাধারণতঃ তাহা অপেক্ষা কম শাস্তি দেওয়া হয় ।” ঐ রকম পৈশাচিক দৌরাত্ম্য খুব হইতেছে, গবষ্মেন্ট জানিয়ছেন তাহার জন্য আদালতসমূহ সাধারণতঃ আষ্টননির্দিষ্ট সর্বোচ্চ দণ্ড দেয় ন, অথচ গবষ্মে স্ট নৃদু কোন উপায় অবলম্বন করা দূরে থাক, হাইকোর্ট দ্বারা নিয় আদালতগুলিকে আইনাতুমোদিত কঠোরতর শাস্তি দিবার জষ্ঠ উপদেশও দেওয়াইতে চান না । পাঠকের অবগত আছেন, যে, প্রায় ৫০ বৎসর পূর্বে দলবদ্ধ হইয়া নারীহরণের জন্ত, অষ্ট্রেলিয়ার নজীর অনুসারে, বিচারপতি সৈয়দ আমীর আলী প্রাণদণ্ডের ব্যবস্থা করিবার জন্ত গবন্মেণ্টকে অনুরোধ করেন। গবয়েণ্ট তাহাতে রাজী না-হওয়ায় তিনি ও অন্ত কোন কোন জজ ঐ প্রকার