পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] তারা স্বাধীন হয় না। তারা কৰ্ম্মের মধ্যাহকালকেও সুপ্তির নিশীথ রাত্রি বানিয়ে তোলে । এই জন্তেই তাদের “ঠিক দুপ-প’র বেলা ভূতে মারে ঢেলা ৷” মালাবারের রাজা একদা নিজে রাজার মুখোস মাত্র পরে অবুদ্ধিকে রাজাসন ছেড়ে দিয়েছিলেন। সেই অবুদ্ধি মালাবারের হিন্দু-সিংহাসনে এখনো রাজা আছে। তাই হিন্দু এখনো মার খায় আর উপরের দিকে তাকিয়ে বলে ভগবান আছেন । সমস্ত ভারতবর্ষ জুড়ে আমরা অবুদ্ধিকে রাজা করে দিয়ে তার কাছে হাত জোড় করে’ আছি। সেই অবুদ্ধির রাজত্বকে, সেই বিধাতার বিধিবিরুদ্ধ ভয়ঙ্কর ফাকটাকে কখনো পাঠান কখনো মোগল কখনো ইংরেজ এসে পূর্ণ করে বস্চে। বাইরের থেকে এদের মারটাকেই দেথতে পাচ্চি, কিন্তু এরা হল উপলক্ষ্য। এর এক একটা ঢেলা মাত্র, এর ভূত নয় —আমরা মধ্যাহ্নকালের আলোতেও বুদ্ধির চোখ বুজিয়ে দিয়ে অবুদ্ধির ভূতকে ডেকে এনেছি, সমস্ত তারই কৰ্ম্ম । তাই ঠিক দুপ পর বেলায় যখন জাগ্রত বিশ্বসংসার চিন্তা করচে, কাজ করচে, তখন পিছন দিক থেকে কেবল আমাদেরই পিঠের উপর গেয়ে-গীত AMAMMMMMMMM MMMMMMMM MMMMMMMMSSMMMMSMMMMMSMMMMMSMMMMJJJJJJJJ ۔-- . ہمسر ،نہصے بع سے ঠিক দুপপ’র বেলা. ভূতে মারে ঢেলা ৷ আমাদের লড়াই ভূতের সঙ্গে, আমাদের লড়াই অবুদ্ধির সঙ্গে, আমাদের লড়াই অবাস্তবের সঙ্গে । সেই আমাদের চারিদিকে ভেদ এনেছে, সেই আমাদের কাধের উপর পরবশতাকে চড়িয়ে দিয়েচে– সেই অামাদের এতদূর অন্ধ করে দিয়েচে যে যখন চীৎকার-শবো ঢেলাকে গাল পেড়ে গলা ভাঙচি তখন সেই ভূতটাকে পরমাত্মীয় পরমারাধ্য বলে, তাকেই আমাদের সমস্ত বাস্তুভিটে দেবত্র করে ছেড়ে দিয়েছি । ঢেলার দিকে তাকালে আমাদের পরিত্রাণের আশা থাকে না, কেননা জগতে ঢেলা অসংখ্য, ঢেল পথে ঘাটে, ঢেল একটা ফুরোলে হাজারটা আসে, কিন্তু ভূত একটা । সেই ভূতটাকে ঝেড়ে ফেলতে পারলে ঢেলাগুলো পায়ে পড়ে থাকে, গায়ে পড়ে না । ভারতবর্যের সেই পুরাতন প্রার্থনাকে আজ আবার সমস্ত প্ৰাণমন দিয়ে উচ্চারণ করবার সময় এসেছে, শুধু কণ্ঠ দিয়ে নয়, চিন্তা দিয়ে কৰ্ম্ম দিয়ে, শ্রদ্ধা দিয়ে, পরস্পরের প্রতি ব্যবহার দিয়ে ;–“ধ একঃ অবর্ণঃ” যিনি এক এবং সকল বর্ণভেদের অতীত, “স নো বুদ্ধ্যা শুভয়া সংযুনত্ত, তিনিই আমাদের শুভবুদ্ধি দিয়ে পরস্পর সংযুক্ত করুন ॥ শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গেয়ো-গীত ( হিন্দুস্থানী ) বাবল-গাছের আড়াল দিয়ে উঠল চাদা রে, ওই আলোর ঝালর ঝুলিয়ে দিল ডাইনে বা ধারে ; সই লো সই কোথায় গেলি তুই !— হলুদ-বরণ চাদার রং, মরি কিবা রূপের ঢং, স্বরগ-পুরে ফুটুল যেন সোনার গাদা রে, তার আলোর-পরাগ ঋবুঝর ঐ ঝরছে আঁধারে ; সই লো সই কোথায় গেলি তুই – ঝুরুঝুরু পুবের বায় o শালের বনে কি গান গায় । ঝিল্লীগুলো তান ধরেছে সুদাড়পাদাড়ে,— অশথ-গাছে থামূল এবার পেচার কাদা রে ; সই লো সই কোথায় গেলি তুই – কেটে গেল বাদল অভ্যাজ, উজল হ’ল আঁধার সর্ণঝ, ভিমি ডিমি মাদল বাজায় দাওয়ায় দfদণ রে,— ওই বাব লা-গাছের আড়াল দিয়ে উঠল চাদা রে । সই লো সই কোথায় গেলি তুই – শ্ৰী সুনিৰ্ম্মল বস্ত্র