পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रे@ ७ S AASAASAASAASAASAASAMA AAMAMAAAA —“হষ্টির সেই আদি দম্পতির মত !” রতন চমকে ফিরে দেখুলে, তাদের পিছনে এসে দাড়িয়েছে সুমিত্রা । —“সুমিত্রা ?” —“হঁ্যা । কেমন রতন-বাবু, আমার উপম। ত ঠিক হয়েছে ?” —“তুমি যে গাড়ী থেকে নেমে এলে বড় ?” —“কেন, আপনার নামৃতে পারেন, আমিও পারব না কেন ?" —“কিন্তু তোমার ঠাণ্ড লাগতে পারে।” —“ঠাণ্ড ত আমার একচেটে সম্পত্তি নয়, যে আমিই কেবল একলা ভোগ করব। তবে আপনার যদি আপত্তি থাকে ত বলুন, আমি না-হয় ফিরেই যাচ্ছি।” -—“ন, ন, আপত্তি আবার কিসের । তবে—” —“তবে আমার জন্যে আপনার কবিত্ব-শ্রেীতে ভাট পড়তে পারে,—কেমন, আপনি এই কথা বলতে চান ত ? ভয় নেই, আমি পিছনে পিছনে খালি শ্রোতাই হ’য়ে থাকুব, কোন বাধা দেব না।” রতন আর কিছু বললে না। পূর্ণিমা হেসে বললে, “স্বমিত্রা, তুমি এত কথা শিখলে কোথেকে ?” _) সুমিত্রা বললে, “জানি না । বোধ হয় গেল-জন্মে আমি তোতাপাখী ছিলুম। অন্ততঃ আমার বাবা তো প্রায়ই এ-কথা ব’লে থাকেন ।” তিনজনে পাশাপাশি চলতে লাগ ল—অনেকক্ষণ । রতন স্বমিত্রার উপরে সত্যসত্যই চ’টে গিয়েছিল—সেই *আদিদম্পতি’র অশোভন ইঙ্গিতের জন্যে। কাজেই কথাবার্তা আর বড় হ’ল ন! ...... পূর্ণিমা হঠাৎ বললে, “রতন-বাৰু, দেখুন—দেখুন, কী ও-গুলো ?” —“হরিণ " শুনেই স্বমিত্র তাদের দিকে ছুটে গেল। কিন্তু খানিক দূর যেতে না যেতেই হরিণের পাল একটা বালিয়াড়ির আড়ালে অদৃশ্ব হ’ল। স্থমিত্র ফিরে এসে ইাপাতে ইপিাতে বললে, “হরিণগুলো ভারি দুষ্ট, ” প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩e • [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড MMAAASAASAASAAASSS SAAAAAMAMAMAMAMSAASAASAASAASAAMAMAAAA আরো কিছুদূর এগিয়ে পূর্ণিমা বললে, “এইবার আমার পা ব্যথা করছে, গাড়ীতে ফিরে যাই ।” রতন বললে, “তুমিও যাও সুমিত্ৰা ।” সুমিত্র বললে, “আর আপনি ?” —“আমি এখন যাব না, আজকের এই রাত আমার বড় ভালো লাগছে।” —‘তবে আমারও সেই মত জানবেন, গাড়ীর গৰ্ত্তের মধ্যে এত শীঘ্র আমার ঢুকতে ইচ্ছে করছে না।’ পূৰ্ণিমা এক্লাই ফিরে গেল।...... আরো খানিকট এগিয়ে সুমিত্র পিছন ফিরে’ দেখলে, বালু-প্রাস্তরের মাঝখানে এক জায়গায় কতকগুলো তালগাছ-পাছে মরুভূমি ছিনিয়ে নেয় যেন এই ভয়েই—একসঙ্গে দল বেঁধে দাড়িয়ে আছে, আর তাদেরই পিছন থেকে দেখা যাচ্ছে চাদকে—ঠিক একখানি ছবির মত । সুমিত্র উৎসাহের সঙ্গে ব’লে উঠল, “দেখুন রতন-বাৰু!” রতন ফিরে দেখে বললে, “হু, চমৎকার!” —“কিন্তু এ দৃশ্য আরো চমৎকার হ’ত, পূর্ণিমা যদি এখানে থাকৃত । না রতন-বাৰু!” রতন রাগ ক’রে বললে, “স্থমিত্রা, তোমার বাচালতা আর আমার ভালো লাগছে না। তুমি ক্রমেই মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছ ।” স্থমিত্রা বললে, “আমাকে যে আপনার ভালো লাগে না, আমি ত তা জানিই । আমি আসবার আগে আপনি কত কথা কইছিলেন, কিন্তু আমি আসার সঙ্গেসঙ্গেই আপনি যেন মুখে তালা-চাবি দিয়ে আছেন।” —“হঁ্য, তার কারণ, তুমি এসেই এমন একটা অভদ্র ইঙ্গিত করেছিলে, যার পরে আর কথা কওয়া চলে না।" —“অভদ্র ইঙ্গিত ?” —“হঁ্য, অভদ্র ইঙ্গিত। পূর্ণিমা কি মনে করেছেন, তা, জানি না।" —“ভয় নেই, পূর্ণিমা রাগ করে ত আমার উপরেই করবে, আপনার উপরে নয়। পূর্ণিমার রাগকে আপনি ভয় করতে পারেন—আমি করি না।”