পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাখতে চাও, তা হ’লে স'রে দাড়ানো ছাড়া আমার আর উপায় নেই ।” * * —“কিন্তু আমার দশ কি হবে তা হ’লে ?” —“সে ভাবনা তুমি ভেব। হয় আত্মহত্য, নয় ভিক্ষা —এই তোমার শেষ পরিণাম ।” —“আপনার পায়ে পড়ি, আমাকে আর কিছু দিন সাহায্য করুন।” ● —“অর্থাৎ, আমাকে আরো টাকা দিতে হবে— তোমার বিলাসী জীবনকে অন্ন-বস্ত্র দিয়ে বঁচিয়ে রাখবার জন্যে ! কেমন, তুমি এই বলতে চাও তো ? কিন্তু তার পর তুমি যদি বিফল হও, আমার টাকা কে দেবে ? একট। মাটির ভীড়ের যে দাম, তোমাকে বেচলেও তো সে দাম আদায় হবে না।” —"মিঃ চ্যাটো, আমি এত দিনে নিশ্চয় কৃতকাৰ্য্য হতুম, কিন্তু ঐ রতন ছোড়াই মাঝে থেকে আমার সাধে বাদ সাধচে।” মি: চ্যাটো অত্যন্ত বিস্মিত হয়ে বললেন, “সে কি ! এরা কি রতনের সঙ্গে স্থনীতির বিবাহ দিতে চায় ?” —“না, না, তা কেন ?” —"রতন কি তবে তোমার পেরেচে ?” —“না, তাও নয়। আসল কথা কি জানেন ? এখানে রতন ক্রমেই দেবতার মত হ’য়ে উঠচে, আর আমি ক্রমেই পিছনে স’রে যাচ্চি ।” —“তার মানে, তোমাকে ঠেলে’ ফেলে রতন তোমার শূন্ত আসনে উঠে বসবার চেষ্টা করচে ?” —“আমার তো সেই সন্দেহ হয় !" 3었 रेa --"এর দ্বারা প্রমাণ হচ্চে রতন তোমার চেয়ে -বুদ্ধিমান !" —“না, তা আমি মানি না । দৈব তার সহায় ।”— এই ব’লে কুমার-বাহাদুর বিশেষ ক’রে যে-ঘটনার জন্যে রতনের আদর বেড়ে উঠেছে, আঙ্ক্যোপাস্ত তা বর্ণনা করলেন। তার পর স্থনীতির কাছে কাল যে-ভাবে তিনি আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এই-সঙ্গে সেটাও মি: চ্যাটোকে জানিয়ে দিলেন । প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৬ জানতে . [ २8* छां★, २झें थ७ মি: চ্যাটাে সমস্ত শুনে চিন্তিতমুখে অনেকক্ষণ গম্ভীর হ’য়ে রইলেন । কুমার-বাহাদুরও কিছুক্ষণ নীরব থেকে বললেন, “আজ আবার মিঃ ঘোষ রতনের জন্তে এক সম্মান-ভোজের আয়োজন করেচেন, আমারও নিমন্ত্রণ আছে ।” মি: চ্যাটে বললেন, “তাই তো, পথ-থেকে-কুড়িয়েআন একটা কাঙালকে নিয়ে তো বড় মুস্কিলে পড়তে হ’ল দেখ চি !” কুমার-বাহাদুর হতাশভাবে বললেন, “ওর জন্তে আমি হয়ে মাছি রাহুগ্ৰস্ত চাদের মতন। ওকে না সরাতে পারলে আর উপায় নেই ।” মি: চ্যাটোর মুখ হঠাৎ উজ্জল হ’য়ে উঠল । তিনি বললেন, “ইতিমধ্যে কলকাতায় থাকতে রতনের এক গুপ্তকথা আমি আবিষ্কার করেচি । একদিন সুবিধে বুঝে সেইটেকেই কাজে লাগাতে হবে ।” কুমার-বাহাদুর সাগ্রহে ব’লে উঠলেন, “কি, কি গুপ্তকথা ?” মি: চ্যাটে বললেন, “যথাসময়ে শুনতে পাবে। আপাততঃ তোমার কৰ্ত্তব্য শোনো। রতনের সঙ্গে তুমি সন্ধি স্থাপন কর। সে যাতে তোমাকে বন্ধুভাবে নেয়, সেই চেষ্টায় থাক । তার মনের কথা যত জানতে পার ততই ভালো। কিন্তু সৰ্ব্বাগ্রে দরকার, তোমাকে স্থনীতি ভালোবাসে কি না সেইটে জানতে পারা ।” —“বোধ হয় বাসে ।” —“বোধ হয় বললে চলবে না—আগে এ-বিষয়ে নিশ্চিত হ’তে হবে। কারণ স্থনীতির মত থাকুলে তার বাপ-মায়েরও অমত হবে না, এ আমি ঠিক জানি । তুমি একবার যখন কথা তুলেচ, তখন দ্বিতীয়বার কথা তোলা বেশ সহজই হবে বলে মনে করি ? —“কিন্তু আমার পকেট যে একেবারে খালি ! হাতখরচও করতে পারচি না !” ---“আচ্ছা, আরো মাস-প্লুয়েক আমি তোমার খরচ চালাব--তার পর আর আমার ক্ষমতায় কুলোবে না, এট। কিন্তু সৰ্ব্বদাই মনে রেখে !" —“মিঃ ' চ্যাটে, এ-জগতে আপনিই আমার