বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। 8२b~ AS AM AAAAS AAAASS AAAA SS ASASASA AAA AAAA AAAAS AAAAAS AAASASASS বাধ্য হইতেছে, নিজেদের স্থযোগ নিজেরাই করিয়া লইতে পারিতেছে না ইশতাহাদের নিকৃষ্টতার অন্যতম প্রমাণ। আমরা বলিব ইংরেজরাই ত পৃথিবীর একমাত্র শ্রেষ্ঠ ও স্বাধীন জাতি নহে ; গত মহাযুদ্ধে আমেরিকান ফবাসী ইংরেজ ইতালীয় জাপানী সহযোগিতা করিয়! জয়লাভ করিয়াছে । জাপানীর শ্বেতকায় নহে ও এসিয়ার লোক, অতএব কোন না কোন রকমের নিকষ্টতা তাহাদের আছে। শ্বেতকায়দের এই অহঙ্কার মানিয়া লইলেও, শ্বেতকায় স্বাধীন শক্তিশালী জাতি কয়েকটি ত থাকে ? তাহদের মধ্য হইতে, আমরা যত টাকা দিতে পারি, সেই টাকায় যোগ্যতম লোক বাছিয়া লইতে দাও না কেন ? জাপানীরা প্রথম প্রথম এবং এখনও তাঁহাদের শিক্ষার ও কাজ চ'লাইবার সাহায্যের জন্য নিজেদের বিবেচনা- ও প্রয়োজ ন-মত আমেরিকান জাৰ্ম্মান ফ্রেঞ্চ ইংরেজ সব রকম লোক নিযুক্ত করিয়াছে ও করিতেছে । তাহাতে তাহারা সস্তায় ভাল লোক পাইয়াছে । আমাদিগকেও এই প্রকাবে ভাল লোক বাছিয়া লইতে দাও না কেন ? যেখানে ভারতীয়দের পূরা ক্ষমত, সেখানে ও ত তাহার প্রয়োজন-মত ইংরেজ ও অন্য শ্বেতকায় নিযুক্ত করে । ইংবেজ বা অন্ত শ্বেতকায়ের প্রতি বিদ্বেষ-বশতঃ আমরা বরং কাজ মাটি করিব তবু কোন শ্বেতকায়কে নিযুক্ত করিব না, এরূপ জেদ ও নিবুদ্ধিতা আমাদের নাই । আমাদের কথার উত্তর ইংরেজ দিবেন না ; কিন্তু যদি দেন, তাহা হইলে তাহারা বলিতে পাবেন, “আমরা তোমাদিগকে পরাজিত করিয়াছি, আমরা তোমাদের প্রভু ; অন্ত কোন শ্বেতজাতি তোমাদিগকে পরাজিত করে নাই ও তোমাদের প্রভু নহে। অতএব লুটের ভাগ তাহার কেন পাইবে ?” ইহার উত্তরে আমরা বলিব, “ঠিক, ঠিক, অতি ঠিক্‌ ! ! ! কিন্তু তাহ হইলে পৃথিবীতে স্বাধীনতা স্থাপন, সৰ্ব্বত্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি বুলি ছাড়িয়া দাও।” ভারতীয় চাকরী গুলার বেতন যেমন বাড়িয়ছে, প্রাদেশিকগুলারও বাড়িয়াছে। যে-সব শ্রেণীর দেশী লোক চাকরীজীবী বা চাকরীর প্রত্যাশা রাখে, তাহার এমন কোন ব্যবস্থা চায় না যাহা দ্বারা সাক্ষাং বা পরোক্ষ প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩১ [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড ভাবে তাহাদের পাওনায় বা পাওনার আশায় হাত পড়িতে পারে । আমরাও চাকরীজীবী ও চাকরীপ্রত্যাশী “ভদ্র” শ্রেণীর লোক। কিন্তু শ্রেণীগত স্বার্থ অপেক্ষ সকল শ্রেণীর স্বার্থ, দেশের স্বার্থ, বড়। সেইজন্য আমাদের সকলেরই উচিত দেশের অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা যাহাতে হয় সেই চেষ্টা করা । যুদ্ধের আগেও ভারতবর্ষে উচ্চ উচ্চতর ও উচ্চতম শ্রেণীর চাকরীগুলির বেতন দেশের অবস্থা হিসাবে ত্যন্ত বেশী ছিল । যুদ্ধের পবের বৰ্দ্ধিত বেতনগুলিও দেশের আয়ের অনুপাতে অত্যন্ত বেশী। সব স্থলে ধনী হংলণ্ডের সহিত তুলনা করিলে চলিবে না, যদিও অনেক শ্রেণীর চাকরীর বেতন ইংলণ্ড, অপেক্ষণ ভারতে বেশী । এসিয়ার জাপানের সহিত তুলনা করুন। জাপানীদের আয় ভারতীয়দের চেয়ে বেশী । জাপানে জীবন ধারণের ব্যয় ভারতবর্ষ অপেক্ষা বেশী । অথচ সেখানকার সৰ্ব্বোচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারী প্রধান মন্ত্রী মাসে দেড় হাজার টা tা বেতন পান, অন্যান্য মন্ত্রীরা পান এক হাজার করিয়া। প্ৰধান বিচারালয়ের প্রধান বিচারপতি তার চেয়েও কম বেতন পান । সুতরাং আমাদের দেশে কাহারও বেতন যে সাধারণতঃ এক হাজার টাকার বেশী হওয়া উচিত নয়, তাহা বলা বাহুল্য মাত্র । ধনী আমেরিকাতেও সাধারণতঃ উচ্চ চাকরীগুলির বেতন ভারতীয় সেই-সব শ্রেণীর চাকবীর বেতন অপেক্ষা কম। এ-সব কথা আমরা অনেকবার বলিয়াছি । দৈনিক “ হিন্দুস্থান " বিস্তৃততরভাবে পুন:পুন: বলিয়াছেন । - এখন যত বেতন দে ওয়া হয়, তার চেয়ে কম বেতন দিলেই হাকিমরা জজরা ঘুম লইবে, ইহা ভ্রান্ত ধারণা। তিন শত টাকার মুন্সেফ, ঘুস্ লয়েন না, কিন্তু ৫৪০০ টাকার কোন এক চাকর্যে ঘুখোর, একথা বাংলাদেশে রাষ্ট্র। অভাবে পড়িলে মানুষ দুষ্কৰ্ম্ম করে বটে, কিন্তু অভাব আপেক্ষিক শব্দ । চরিত্রই প্রধান জিনিষ। যে হেড কম্‌ষ্টেবল থাকিতে যুস্থ লইত, সে উচ্চতর কাজ পাইয়াও ঘুম লয়। - লী কমিশনের সমক্ষে সাক্ষ্য দিতে গিয়া সাক্ষার কেবল যে বেশী বেতনের দাবী কবিতোচ, অঙ্গ নয় ।