পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

לצd ASAeMAMMAAASAASAASAAMSAMMSAAAAAAS AAAAAS AAAAAS MSMSAMMSAeMAMAS AeSAeAMS স্বরেশ্বর মৃদু হাসিয়া বলিল, "চরকা দেওয়া ত শক্ত নয়, পাঠিয়ে দেওয়াই শক্ত ! কয়েক দিনই ত ভাবছি, কিন্তু কোনো উপায়ই ঠাওরাতে পারছি নে ৷” মাধবী ক্ষণকাল চিস্তা করিয়া কহিল, "এক কাজ করলে হয় না ? একখানা চিঠি লিখে কানাইকে দিয়ে .একটা চরক; যদি পাঠিয়ে দাও ?” মাধবীর কথা শুনিয়া হাসিয়া উঠিয়া স্বরেশ্বর কহিল, “তা হলেই হয়েছে ! গিল্পীর চোখে যদি পড়ে তাহলে কানাই যাবে পুলিশে আর চরকা যাবে উনোনে ! গিল্পীকে টপকে একেবারে সুমিত্রার হাতে পৌছে দিতে হবে। একবার সুমিত্রার হাতে পৌছলে তখন নিশ্চিন্তি । স্বমিত্রাকে গিল্পী সহজে পেরে উঠবেন না, সে গিল্পীর চেয়ে অনেক শক্ত ।” সুরেশ্বরের কথা শুনিয়া চিণ্ডিত মনে মাধবী পুনরায় চরকা কাটিতে আরম্ভ করিল ; তাহার পর অকস্মাৎ একটা কথা খেয়াল হওয়ায় চরকা বন্ধ করিয়া আগ্রহ সহকারে বলিল, “একটা উপায় আছে, দাদা ?”

  • “কি ?” সহাস্য-মুখে মাধবী বলিল, “তুমি যদি অনুমতি দাও আমি নিজে গিয়ে সুমিত্রাকে চরকা দিয়ে আসতে পারি। আমি যেন চরকা বিক্রী করে বেড়াই সেই পরিচয়ে গিয়ে স্বমিত্রাকে একটা চরকা দিয়ে আস্ব । তারা বড় লোক, দাম যদি দ্যায় দাম নেবো ; আর দাম যদি দিতে না পারে তখন অগত্যা তোমার পরিচয় দিয়ে বিনা-মূল্যেই চরকা দিয়ে আসব।”

বিস্মিত-ম্মিতমুখে স্বরেশ্বর কহিল, “বলিস কি রে, স্বমিত্র ? তুই নিজে সেই অপরিচিত বাড়ীতে গিয়ে চরকা দিয়ে আসতে পারবি ?” মাধবী সহাস্য-মুখে বলিল, “নিশ্চয়ই পারব ! তোমাদের স্বরাজ লাভের চেষ্টায় এটুকু আর পারব না ?” বলিয়া হাসিতে লাগিল । “আমার বোন বলে’ তোকেও যদি অপমান করে ? যদি স্পাই বলে ?” মাধবী হাসিতে হাসিতে বলিল, “তুমিত্রার মার কাছে তোমার বোন বলে’ আমি পরিচয় দেবো না । এক প্রবাসী—মাখ, ১৩৩• ബു [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড A*.*.*--z*--- ബ് ബം ബു ബു -്. ു.-് খানা বন্ধ-গাড়ীতে দু-তিনটে চরকা নিয়ে কানাইয়ের সঙ্গে স্থমিত্রীদের বাড়ীতে উপস্থিত হব । প্রথমে এমনি গিয়ে স্বমিত্রার সঙ্গে দেখা করব , তার পর চরকার কথা বলে’ তাকে রাজি করে একটা চরকা গাড়ী থেকে আনিয়ে নেবে। ” “যেমন অবলীলাক্রমে বলে গেলি, ব্যাপারটা ঠিক তেমন সহজ নয় মাধবী !” মাধবী গাম্ভীৰ্য্য অবলম্বন করিয়া কহিল, “কিন্তু খুব শক্ত বলেও ত আমার মনে হচ্ছে না । একজন ভদ্রলোকের বাড়ী গিয়ে একটি মেয়েকে একখানি চরকা দিয়ে আসা। সে মেয়েটি আবার নিজেই চরকা পাবার জন্যে উৎসুক হয়ে রয়েছে।” কথাটা প্রথমে কৌতুক-পরিহাসের আকারেই উঠিয়াছিল, কিন্তু ক্রমশঃ কথায় কথায় বাস্তব হইয়া উঠিবার উপক্রম করিল। মাধবীর কথাটা একেবারে উপেক্ষণীয় বলিয়া স্বরেশ্বরের আর মনে হইল না । এমন কি ইহা ভিন্ন উপায়ান্তরও আর নাই বলিয়াই তাহার মনে হইতে লাগিল । অপর পক্ষে মাধবী এই কৌতুকপ্রদ কাৰ্য্য সম্পাদন করিবার উৎসাহ ও উদ্বেগ ভোগ করিবার জন্য ক্রমশঃ প্রলুব্ধ হইয় উঠিল । ব্যাপারটায় এমন একটু রঙ্গ ও সাহসিকতার কথা ছিল যে তাহার উত্তেজনা মাধবীকে প্রবলভাবে প্ররোচিত করিতে লাগিল । তাহা ছাড়া, যে বিচিত্র পদার্থটি তাহার দাদাকে এমন গভীর ভাবে আলোড়িত করিয়াছে তাহাকে দেখিয়া আসিবার একটা কৌতুহলও ছিল । - সুরেশ্বর একটু চিন্তা করিয়া বলিল, “সহজভাবে যদি কাজটা করে আসতে পারিস তা হলে না হয় তাই কর । যাস্ ত হবে যাবি ? আজই ?” মাধবী উৎফুল্ল হইয়া বলিল, “এখনই। তুমি রামদীন কোচ মানের একখানা গাড়ী আনিয়ে দাও, আর আমার সঙ্গে কানাই চলুক। আমি ততক্ষণ মা’র মতট নিয়ে আসি ৷” “ম যদি স্বমিত্রাদের বাড়ী তোর একুল যাওয়াং আপত্তি করেন ?”