পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ፋ8

  • ക്ഷ്

লিখিয়াছেন । তাহদের মতে ভারতবর্ষে আরও ইনস্থলীন আমদানী করিবার পূৰ্ব্বে দেখা দরকার— ১ । তাজ ইনস্থলীন কি ভাবে পুরাতন ইন্‌স্থলীন অপেক্ষ উৎকৃষ্ট । ২ । বিশেষ করিয়া শীতল ভাবে রক্ষিত অবস্থায় আমদানী করিলে কি লাভ হয় । ৩। তাহার পর কত দিন অবধি শীতল রক্ষণ (Cold Storage ) করিলে ইহার গুণ বজায় থাকে । ৪ । কি প্রকার অবস্থায় রক্ষিত হইলে উঠা উৎকৃষ্ট থাকে, কিসে নিকৃষ্ট হইয়া যায় । এই-সকল প্রশ্নের মীমাংস ও ইনস্থলীন বিক্রয়ের স্ববন্দোবস্ত না হইলে, এইরূপ চিকিৎসার প্রসার ও আদর এদেশে সম্ভব হইবে না । অ স্বরাজ্য-চুক্তি ও মুসলমান সম্প্রদায় মুসলমানদিগের সভাসমিতিগুলি স্বরাজ্যচুক্তির সমর্থন করিতেছেন, এবং বলিতেছেন, যে, মুসলমানদিগকে যে অংশ দিবার কথা হইয়াছে, তাহার এক কণা কমও তাহারা লইবেন না । অধিকন্তু তাহারা হিন্দুদিগকে ও র্তাহীদের মুখপত্রসমূহকে সাবধান করিতেছেন ও শাসাইতেছেন, যে, যেন তাহার। এই চুক্তির বিরুদ্ধে জীন্দোলন না করেন । ইহাতে বিস্মিত হইবাব কোন কারণ নাই । স্বরাজ্য দলের সভ্যেরা দেশের লোকের নিকট হইতে এরূপ চুক্তি করিবার কোন ক্ষমতা পান নাই । তাহার দেশের লোকের সহিত পরামর্শ না করিয়াই এই অবিবেচনার কাজটি করিয়া ফেলিয়াছেন। এখন কংগ্রেস ও হিন্দুসমাজ কর্তৃক উহা গৃহীত না হওয়ায়, চুক্তিটিকে লোকমতংগ্ৰহাৰ্থ খসড়া মাত্র বলিলে চলিবে না। বাস্তবিক উহ। খসড়া নহে ; খসড়া হইলে উহা বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস্ কমিটি দ্বারা মঞ্জুর করাইয় কংগ্রেসের মঞ্জুরীর জন্য উপস্থিত করা হইত না । এখন মুসলমানরা স্বভাবতই মনে করিবেন, যে, তাহীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হইতেছে । কিন্তু এই বিশ্বাসঘাতকতা হিন্দুসমাজ কবিতেছেন না, উহাতে প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩০ SS MMM SAMAAA SAAAAASA SAAAAS SAAAAAS M JS MMAMAMA AMAMASYAMMAMAMAAAS AAAASS [ २७° छां*, २भ थG কারণ র্তাহারা কখনও এই চুক্তিতে মত দেন নাই, চুক্তি করিবার ক্ষমতা কাহাকেও দেন নাই, খবরের কাগজে ছাপা হইবার আগে চুক্তির কথা তাহার জানিতেন না । বেকুবী ও বিশ্বাসঘাতকতা যদি কেহ করিয়া থাকে, ত, তাহী স্বরাজ্যদলের ব্যবস্থাপক সভার সভ্যেরা । পৃথিবীর সব জাতিই স্বার্থপর, পরার্থপর জাতি কোথাও নাই । সেইরূপ পরার্থপর সম্প্রদায়, শ্রেণী, বা সমাজও কোথাও নাই । সবাই যে যতটা পারে আদায় করিয়া লয়। ইহা আধ্যাত্মিক আদর্শের বিরুদ্ধ বটে, কিন্তু ক্ষুদ্র ও বৃহৎ মানবসমষ্টি এখনও সম্মিলিতভাবে আধ্যাত্মিক আদর্শ অনুসারে চলিতে শিখে নাই । চাকরীব অংশ বিষয়ে আমরা আমাদের বক্তব্য বলিয়াছি । আমাদের বিবেচনায় এ-বিষয়ে ধীর ভাবে আলোচনাই বাঞ্ছনীয় । সেইজন্য, হিন্দুদিগকে বলি তাহারা মুসলমানদের উপর চটিবেন না, কারণ স্বরাজ্যসভেরাই ত এই অনর্থ ঘটাইয়াছেন । হিন্দুরা অনেক স্থলে হুজুকে মাতিয়া, খুব যোগ্য লোক থাকিতেও, যাহাকে চেনেন না এমন লোককেও ভোট দিয়া কেন্সিলে পাঠাইয়াছেন—এই আশায় যে র্তাহার গবর্ণমেণ্ট কে অচল ও চুরমার করিয়া দিবেন। এখন এই অবিবেচনার ফল র্তাহারা ভুগুন ; মুসলমানের উপর রাগ করিলে কি হইবে ? মুসলমানদিগকেও বলি, হিন্দুদের উপর রাগ করা ও তাহাদিগকে শাসান ন্যায়সঙ্গত হইতেছে না। কারণ, সমগ্র হিন্দু সমাজ এই চুক্তির জন্য বিন্দুমাত্রও দায়ী নহে। মুসলমানগণ ইহাও বিবেচনা করিবেন, যে, তাহাদের নিজের যে-যে পেশায় প্রাধান্ত আছে, হিন্দুরা তাহাতে বেশী করিয়া ভাগ বসাইতে চাহিলে তাহারাও ত উদ্বিগ্ন ও বিচলিত হইবেন ? মৃতরাং সরকারী কতকগুলা চাকরী হিন্দুদের হাতছাড়া হইলে মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেণীর হিন্দুরা স্বভাবতঃ উদ্বিগ্ন হইতে পারেন। হিন্দুমুসলমান উভয় সম্প্রদায়কে বলি, দেশে তাহারা ছাড়াও মাকুয আছে, ধৰ্ম্মসম্প্রদায় আছে । তাহারা (nation )