পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Φb a স্থাপন, নূতন রাজধানী নিৰ্মাণ, প্রভৃতিতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়, তখন ত ভারতবর্য গরীব বিবেচিত হয় না ! যখন তর্ক উঠে, যে, ব্রিটিশ-শাসনে ভারতবর্ষ গরীব না ধনী হইতেছে, তখন ত বলা হয়, ভারতবর্ষ খুব ধনী হইতেছে ! এই সেদিন ও বোম্বাইয়ের গবর্ণর স্যার জর্জলইড, কাৰ্য্যভার ত্যাগের প্রাক্কালে বক্তৃতা করেন, যে, ভারতবর্ষ খুব ধনী হইতেছে, এবং বড় কৰ্ম্মচারীদিগকে আরও বেতন দিবার ক্ষমতা ভারতবর্ষের আছে! ইংরেজের পক্ষ হইতে এরূপ সাক্ষ্যও দেওয়া হইয়াছে, যে, ভারতবাসীরা, বিশেষতঃ হিন্দুর, বড় খাদ্যাখাদ্যের বিচার করে ; স্বতরাং তাহারা জাহাজের অফিসার বা সাধারণ কর্মী হইবার যোগ্য নহে! কিন্তু খাদ্যtখাদ্যের বিচার সত্ত্বেও ত বিস্তর ভারতীয় ইউরোপ আমেরিকা জাপানে শিক্ষালাভ করিয়াছে ও করিতেছে, বিস্তর ভারতীয় বিদেশে ব্যবসা করিতেছে, তদপেক্ষ অনেক বেশী ভারতীয় আফ্রিকায় আমেরিকায় ফিজিতে মরীচদ্বীপে মালয়ে শ্রমিকের কাজ করিতেছে। প্রাচীন ভারতের লোকদের নিজের জাহাজ ছিল । তাহাতে তাহারা বহু দূর দেশে যাইত। কোম্পানীর আমলের কিছুদিন পর্য্যন্তও ভারতীয়দের জাহাজ ছিল । ইংরেজরা স্বার্থপরতা-বশতঃ ভারতীয় জাহাজের উচ্ছেদ সাধন করে। এক শূকরমাংস ছাড়া অন্য খাদ্য মাংসে অন্ততঃ ভারতীয় মুসলমানদের ত আপত্তি নাই। হিন্দুরা সামুদ্রিক জীবনের অযোগ্য বিবেচিত হইলেও অন্ততঃ ভারতীয় মুসলমানেরা যোগ্য হইয়৷ . উঠিলেও আমরা আনন্দিত হইব । তাহারা ত সেরাং লস্কর প্রভৃতির কাজ দক্ষত ও সাহসের সহিত কুরিয়া থাকেন। ইংরেজ তরফের আর এক ধাচের সাক্ষ্য এই, যে, নাবিকের জীবন বড় ঝঞ্চাট বিপদ ও কষ্টের জীবন ; মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেণীর ভারতীয়রা কি এরূপ আটপিঠ্যে, সাহসী, ও কষ্টসহিষ্ণু হইতে পারিবে ? অতএব, আগে কতকগুলি যুবককে জাহাজে করিয়া নানা দূর দেশে লইয়া যাওয়া হউক। যদি তাহাদের এরূপ জীবন ভাল লাগে, যদি তাহীদের নানা মাত্রার শীতাতপ সহ হয়, যদি দীর্ঘপ্রবাস সহ হয়, তাহা হইলে না হয় তাহাদিগকে জাহাজের অফিসারের শিক্ষণ দিতে আরম্ভ করা যাইতে পারে । আমরা বলি, আমাদের যুবকেরা যদি গৌরীশঙ্করের সৰ্ব্বোচ্চ চূড়ায় এখন উঠিতে নাই পারে, তাহা হইলে কি নিম্নতর শৃঙ্গেও তাহারা উঠিবে না ? মুমেরু বা কুমেরুগামী জাহাজে তাহারা যাইতে পারিবে না বলিয়া কি জাপান ফিলিপাইন পৰ্য্যন্তও যাইতে পারিবে না ? করাচী হইতে রেজুন পৰ্য্যন্তও জাহাজ চালাইতে পারিবে না ? প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩০ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড JJJA AMSJJMSJAJAAA AAAASS SAA AAAA AAAAJJJSAAAAAA AAAA SAAAAAS AAAAAMM AMMAMM MMJMSMSMSeAMSMe S SJSAAAS বাণিজ্যজাহাজের ব্যবসাকে দুটা ভাগে ভাগ করা যায় ; ভারতীয় নদীর এবং ভারত-উপকুলের ব্যবসা, এবং দুরবিদেশগামী জাহাজের ব্যবসা। আমরা উপকুলের ও ভারতীয় নদীর ব্যবসা হইতে আরম্ভ করিতে চাই । অন্ত অনেক সভ্য দেশে আভ্যন্তরীন নদীর এবং উপকূলের ব্যবসা আইন দ্বারা তত্তদেশীয় ও জাতীয় লোকদের একচেটিয়া করিয়া রাখা হইয়াছে। ভারতেও আমরা সেইরূপ চাই । এবং তাহার জন্য সরকারী সাহায্য ও উৎসাহ বাহ প্রয়োজন, তাহা দিবার মত টাকা ভারতীয় রাজকোষে আছে ও থাকা উচিত । অপব্যয় নিবারণ করিলে সদ্ব্যয়ের টাকা সব সময়েই পাওয়া যায় । ইণ্ডিয়ান মাৰ্কেণ্টাইল মেরীন কমিটি নামক এই কমিটির সমক্ষে বাংলা দেশের মি: এস্ এন্‌ বন্দ্যো এবং মিঃ যোগেন্দ্রনাথ রায় বেশ স্পষ্ট কথা বলিয়াছেন । র্তাহারা দেখাইয়াছেন, কেমন করিয়া ইংরেজরা দেশী বাণিজ্য-জাহাজের ব্যবসা নষ্ট করিতে চেষ্টা করে ও নষ্ট করে। মিঃ বন্দ্যোর সত্য কথা কমিটির সভাপতি স্যার আর্থার ফ্রমের মতে আপত্তিজনক হওয়ায় তাহাকে জেরা করা হয় নাই । রায় মহাশয়ের কোন একটি উক্তি আপত্তিজনক মনে হওয়ায় ফ্রম তাহাকে উহা প্রত্যাহার করিতে বলেন। রায় মহাশয় তাহা করেন মাই। ঠিকই করিয়াছেন । তোমাদের মনের মত কথা না বলিলেই তাহা আপত্তিজনক হয় । নেপাল ও ভারত-গবর্ণমেণ্ট, ভারত-গবর্ণমেণ্ট, নেপালের সহিত এক নূতন সন্ধি করিয়াছেন। ইহার উদেশ্ব নেপালের নিকটবৰ্ত্তী রাজ্যসমূহে শাস্তি রক্ষণ । নেপাল ভারতের ভিতর দিয়া যত ইচ্ছা অস্ত্র-শস্ত্র লইয়া যাইতে পারিবে । তাহাতে নেপাল খুব সামরিক বলশালী হইবে । চীনে এখনও গৃহবিবাদ আছে বটে ; কিন্তু কালক্রমে চীন স্থশূঙ্খল ও সবল হইবে । তিব্বত স্বয়ং কিম্বা চীনের অধীন বা সহযোগীরূপে সামরিক সজায় সজ্জিত থাকিলে ভয়ের কারণ হইতে পারে। রুশিয়ার বলশেভিকু গবর্ণমেণ্ট, ত চায়ই, যে, সব দেশে রুশিয়ার মত সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় । এই-প্রকার নানা কাবণে ভারতগবর্ণমেণ্ট, দেশের উত্তর দিক হইতে শত্রুর আক্রমণ নিবারণ করিবার জন্য নেপালের সহিত এই সন্ধি করিয়া থাকিবেন । নেপালের গুর্থ সৈন্যের সাহায্যে, কল্পিত ভবিষ্যৎ ভারতবিপ্লব-দমনেচ্ছাও ইহার মূলে থাকিতে পারে । কিন্তু যে গবর্ণমেণ্ট, ভয়প্রযুক্ত নিজের প্রজাদিগকে উচ্চতম সামরিক শিক্ষায় ও সজ্জায় বঞ্চিত রাখিয়া