পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هي e وانة [ २०* छाँग,, २ग्न थस eMAMMMMAMAMMMMMA AMMMAAA AAAASAAAAMAAA SA SA A ASMMA MMMMSJMA MMM MA AAeSJJJAJJAMMMAMAMA AJMi - معیارهای مجتیه به محمصیه محمر পেরেছি। তাই "আমি একূল চলেছি এ * ভবে ' আমার জীবন কয়েদীর জীবন নয়, আমি বাতাসের মতন স্বাধীন, আর.এই বিশ্ব আমার স্বদেশ !” —“রতন, তুমি দেখছি ঠিক তেমনিটিই আছ, একটুও বদলাওনি । কিন্তু ছন্নছাড়ার মত এমন দেশবিদেশে ছুটে বেড়ান, সেইটেই কি বড় ভালো ?” —“বললুম ত, আমার দেশ-বিদেশ নেই— ‘সব ঠাই মোর ঘর আছে, আমি সেই ঘর মরি খুজিয়া ! দেশে দেশে মোর দেশ আছে, আমি সেই দেশ লব যুঝিয়া !" " দুজনে চলতে চলতে অনেক দূর এগিয়ে পড়েছিল । অক্ষয় বললে, “বেশ, তা হ'লে আপাততঃ কটকে আমার ওখানে গিয়ে দিনকতক ঘর বাধবে চলে না ! কতকাল তোমাকে দেখিনি, আজ তোমাকে পেয়ে আমার ভারি श्रांनब्स ट्छ !* রতন বললে, “তা হ’লে আমাকে পেয়ে খুসি হয়, পৃথিবীতে এমন বন্ধু আমার এখনো আছে! ভাই অক্ষয়, তোমার প্রস্তাবে আমার কোনই আপত্তি নেই।” —“তবে আজই আমার সঙ্গে এস। তোমাকে আমি ছাড়ব না, তুমি অনায়াসেই আবার ডুব মারতে পার।” রতন হেসে বললে, “এ প্রস্তাব আরো ভালো। কারণ পুরীর বাসু আমি তুলে দিয়ে এসেছি।”...... অক্ষয়, আর রতন বাল্যবন্ধু—স্কুলে ও কলেজে একসঙ্গে পড়েছে। মাঝে অনেকদিন ছাড়াছাড়ির পর এই তাদের প্রথম দেখা । তেইশ একটি মামুষেব অভাবে আনন্দ-বাবুর আর পুরী ভালো লাগছে না। এমানুষটির ভিতরে যে কি মধু ছিল,—তার সঙ্গে যে একবার মিশেছে আর সে তাকে ভুলতে পারেনি। গানে গল্পে, আলোচনায় ও নির্ভীক স্পষ্ট মতামতে সকলকেই সে মুগ্ধ ক'রে রেখেছিল, প্রবাসের দীর্ঘ অবকাশকে মধুর ক'রে তুলেছিল, হঠাৎ আজ মাঝখান থেকে অদৃশ্ব হ’য়ে vসকলের মনকেই সে বিমর্ষ ক'রে দিয়েছে। করে ! . রতন চলে যাওয়াতে আনন্দ-বাবুর মনে হ’ল, তিনি যেন এক নিকট আত্মীয়ের অভাব অনুভব করছেন। সেদিন মেয়েকে ডেকে তিনি বললেন, “পূর্ণিমা আমার আর পুরীতে থাকৃতে ইচ্ছে নেই।” পূর্ণিমা বললে, “আমারও নেই, বাবা ” —“কেন মা ?” —“দিনগুলো ভারি একঘেয়ে লাগছে!” — “লীগ বেই ত মা, রতন নেই—এই একঘেয়ে দিনগুলোকে বিচিত্র করে তুলবে কে ? ছি, ছি, এমন অন্যায় করে তাকে তাড়ালে !" —“বিনয়-কাকা ত তাকে এমন কিছু বলেননি, রতন-বাবু যে নিজেই ভুল বুঝে চলে গেছেন, বাবা!” —“না, এব্যাপারে বিনয়ের ততটা দোষ নেই বটে ! আমি বেশ বুঝছি, রতনের বিরুদ্ধে একটা রীতিমত ষড়যন্ত্র হয়েছে ।" —“ষড়য়ন্ত্র ? সে কি, বাবা ?” —“হু, যড়যন্ত্র। এ ঐ চ্যাটো আর কুমার বাহাদুরের কীৰ্ত্তি না হ’য়ে যায় না। তারা রতনকে দু'চোখে দেখতে পাবৃত না । বিনয়ের উচিত ছিল, রতনকে কিছু বলবার আগে আমার সঙ্গে পরামর্শ করা। রতন অভিমানী ছেলে, একটুতেই আহত হয়, কাজেই বিনয়ের সামান্য ইঙ্গিতও সে সহ করতে পারেনি।” পূর্ণিমা কিছুক্ষণ চুপ ক’বে থেকে বললে, “কিন্তু আমাদের সঙ্গে দেখা না ক’রে চলে যাওয়া কি রতন-বাবুর উচিত হয়েছে বাবা ?” —“মা, তুমি রতনকে বুঝতে পারনি। সে যে গরীব, আর গরীবরা যে ধনীদের আলাদা জাত ব’লে মনে সে ভেবেছিল, আমার এখানেও সে ভালো ব্যবহার পাবে না, কিন্তু এই ভেবে আমি অবাকু হচ্ছি, সে গেল কোথায় ?” —“আমার ত মনে হয় তিনি কলকাতায় গিয়েছেন। কিন্তু বাবা, তার সম্বন্ধে যে-সব কথা শুনছি—” আনন্দ-বাবু বাধা দিয়ে উত্তেজিতভাবে বললেন, “সব মিথ্যে, সব মিথ্যে । এ-সব কথার এক বর্ণও আমি বিশ্বাস করি না। পুলিশ নিশ্চয় ভুল ক'রে তাকে ধ’রেছিল,