পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆసి8

প্রবাসী—ফাল্গুন ১৩৩০ [ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড يحيمي يحميه - ه حمــه* AA MMA AeMMMAMA AM AAMMMMSMAM MMMMMMMM MMMMMMMMeeAA MMMMMMMSAASAASAASAASAASAAM AM MM MAM MMMSJAAAM MAMMS SSAAAASA SAA AA ASASASA AMMMMAMMAMS স্বমিত্র তাড়াতাড়ি বাহিরে আসিয়া মাধবীকে দেখিতে* পাইল । দেখিল একটি সতের-আঠার বৎসর বয়সের স্বন্দরী মেয়ে রেলিংএ ভর দিয়া বারাওয়ে দাড়াইয়া রহিয়াছে। দেখা হইতেই উভয়ের প্রতি উভয়ের দৃষ্টি ক্ষণকালের জন্য নিবদ্ধ হইয়া গেল । সুমিত্রা এই স্বদর্শনা অপরিচিত তরুণীর দিকে বিস্মিত নিৰ্ণিমেয নেত্রে চাহিয়া রহিল এবং মাধবী তাহার পরম কৌতুহলের বস্তুটির অপরূপ রূপে মুগ্ধ হইয়৷ বাক্যহার হইয়া গেল । তৎপরে একই সময়ে এই পরস্পর-বিমুগ্ধ দুইটি তরুণীর মুখে প্রতি-প্রসন্ন মৃদু হাস্য ফুটিয়া উঠিল । মাধবীর শাস্ত কমনীয় মূৰ্ত্তি এবং খন্দরের শুভ্র পরিচ্ছন্ন বেশ দেখিয়া মুমিত্রার মন সন্ত্রমে পূর্ণ হইয়া গিয়াছিল। সে সাগ্রহে সহাস্যমুখে বলিল, “এখানে দাড়িয়ে কেন ? আমুন, আস্কন, ভিতরে বসবেন চলুন !” বলিয়া মাধবীকে নিজ কক্ষে লইয়া গিয়া সযত্নে বসাইল । পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলে অস্ববিধায় পড়িতে হইবে, তাই সুমিত্রা তাহাকে পরিচয় জিজ্ঞাসা করিবার অবসর না দিয়া মাধবী বলিল, “আমি এসেছি চরকা বিক্ৰী করতে। যদি দরকার থাকে ত দেখতে পারেন, আমার সঙ্গেই গাড়ীতে চরকা আছে।” সে-কথার কোন উত্তর না দিয়া সুমিত্র পরিচয়ের জন্যই ব্যগ্র হইল। বলিল, “আপনি কোথা থেকে আসছেন ?” : মাধবী মনে মনে সঙ্কল্প করিয়া আসিয়াছিল যে, পারতপক্ষে পরিচয় না দিয়াই চবুক দিয়া যাইবে । তাই মৃদু হাসিয়া উত্তর দিল, “খুব বেশী দূরে নয় ; निकट हे यांभि शांकि ।” “নিকটেই ? আপনার নামটি জানতে পারি কি ?” মাধবী পুনরায় হাসিয়া উত্তর দিল, “নাম আমার জানাবার মত কিছুই নয়। সাধারণ বাঙালী মেয়ের আর পরিচয় কি বলুন ?” মাধবীর এই আত্মগোপনের প্রয়াস দেখিয়া সুমিত্র মনে-মনে একটু বিরক্তি বোধ করিল। বলিল, “তা হ’লেও সকলেরি একটা পরিচয় আছে ত ! অবশ্য পরিচয় দেওয়া না-দেওয়া আপনার ইচ্ছে।” মাধবী একটু চিন্তা করিয়া বলিল, “দেখুন, শুধু ত ইচ্ছেই নয় ; দরকার বলেও ত একটা কথা আছে । আমার পরিচয় দেবার এমন কোনও দরকার অাছে কি ? আমি ত এসেছি শুধু চরকা বিক্ৰী করতে।” এবিষয়ে আর আগ্রহ না দেখাইয় সুমিত্রা বলিল ”ন, দরকার কিছুই নেই, এমনি জিজ্ঞাসা করছিলাম। বাড়ীতে কেউ এলে পরিচয় না নেওয়াটা অভদ্রতা ; আবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরিচয় নেওয়াও সেই অভদ্রতা।” একটু চুপ করিয়া থাকিয়া বলিল, “হ্যা, আমার একটা চরকার দরকার আছে, কিন্তু --*বলিয়াই সুমিত্রা থামিয় গেল । মাধবী সুমিষ্ট হাস্য হাসিয়া কহিল, "তবে জার কিন্তু কি ? আমার কাছে একটা চরকা নিন। খুব ভাল একখানা চত্বক আমার কাছে আছে ; বাজারে আমন একখানা চরকা সহজে পাবেন না।” সহসা স্বমিত্র মাধবীর বামস্কন্ধের উপর একবার তীক্ষ দৃষ্টিপাত করিল। তাহার পর মুখ টিপিয়া একটু হাসিয়া বলিল, “বাজারে পাওয়া যাবে না এমন চত্বক আপনার কাছে আছে ? আচ্ছা, তবে আনান, দেখি কিরকম সে চরকা ।” সুমিত্রা উঠিয় বারাণ্ডায় গিয়া পূৰ্ব্বোক্ত পরিচারিকাকে আহবান করিল, এবং সে উপস্থিত হইলে মাধবীকে সম্বোধন করিয়া বলিল, “একে অক্ষুগ্রহ করে’ বলে’ দিন কোন চরকাটা নিয়ে আসবে।” মাধবী পরিচারিকার দিকে চাহিয়া বলিল, “কালে ংএর বাৰ্ণিশ-করা একটা চরকা আছে, সেইটে নিয়ে এস। আর ছোট একটা ডালা আছে, সেটাও ।” পরিচারিকা প্রস্থান করিলে সুমিত্রা মৃদু হাস্ত করিয়া কহিল, “আপনাকে কোনও কথা জিজ্ঞাসা করতে ভয় হয়, পাছে বলেন সে কথার কোনও দরকার নেই । তবুও একটা কথা জিজ্ঞাসা করি,—আপনাদের কি চবুকার কারবার আছে ?” মাধবী মৃদু হাসিয়া কহিল, “না, কারবার নেই । তবে মাঝে মাঝে ভদ্র পরিবারে আমরা চরকা বিক্ৰী করে বেড়াই ।”