পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હ8 નવn ] হইলে তাষ্ট্রীর কোন অর্থই হয় না। যদি বাদকের মনোগত ভাব জানা যায়, তাহা হইলেই বুঝা যায়, এসমুদয় স্বর পৃথক পৃথকৃ নহে, ইহাদিগের মধ্যে একত্ব রহিয়াছে ; বিশেষ উদ্দেশ্যে এইসমুদয় স্বর উৎপাদিত হইয়াছে এবং এসমুদ্ৰায়ের বিশেষ অর্থ আছে । কিংবা এইসমুদয় বাদ্যযন্ত্রের মৌলিক তত্ত্ব যদি অবগত হওয়া যায়, তাহ হইলে অন্তভাবে স্বর-তত্ত্ব বুঝ। যাইতে পারে। জগতের বস্তুসমূহও এই প্রকার । এক-একটি বস্তুকে পৃথকূ-ভাবে বিচার করিলে ইহার কোন অর্থই হয় না। যদি মনে করা যায়, প্রত্যেক বস্তুই স্বতন্ত্র, তাহা হইলে ইহা উদেশ্ববিহীন ও অর্থশূন্ত হইয়া পড়ে। কিন্তু যখন বুঝা যায় এইসমুদায় বস্তু আত্মা হইতে উৎপন্ন, আত্মাতে প্রতিষ্ঠিত, একসূত্রে গ্রথিত ও পরস্পর সম্পর্কিত ; এবং যখন সেই আত্মীর প্রকৃত তত্ত্ব অবগত হওয়া যায়, তখনই বুঝা যায় এ জগতের এক বিশেষ উদ্দেশু আছে, এবং ইহা গভীর অর্থপূর্ণ। বাদককে কিংবা বাদ্যবস্ত্রকে জানিলে যেমন স্বরসমূহের অর্থ জানা যায়, আত্মাকে জানিলেও তেমনি এ জগৎকে অবগত হওয়া যায় । সৃষ্টি ইহার পরে একটি দৃষ্টান্ত দ্বারা ঋষি বুঝাইতেছেন যে, বেদাদি শাস্ত্রও সেই আত্মা হইতে উৎপন্ন হইয়াছে । “যেমন আৰ্দ্ৰ কাষ্ঠ দ্বার প্রজ্জলিত অগ্নি হইতে পৃথক পৃথক ধূম নির্গত হয়, তেমনি, হে মৈত্রেয়ি, ঋগ্বেদ যজুৰ্ব্বেদ সামবেদ অথৰ্ব্বাঙ্গিরস ইতিহাস পুরাণ বিদ্যা উপনিষৎসমূহ শ্লোকসমূহ স্বত্রসমূহ ব্যাখ্যানসমূহ, অনুব্যাখ্যানসমূহ–এ সমুদায়ই সেই মহদভূত হইতে निर्भेऊ श्ब्रां८छ्, ७ नभूनांग्र झेश श्८उझे निश्वनिउ হইয়াছে।” - আত্মাই একায়ন "একায়ন" শব্দের অর্থ "একগতি" অর্থাৎ গমস্থল বা মিলনস্থল। কয়েকটি দৃষ্টান্ত দ্বারা ঋষি বুঝাইতেছেন যে, আত্মাই বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের একায়ন ।

  • সমুদ্র যেমন সমুদায় জলের একায়ন, ত্বকু যেমন

স্বরকে o পৃথক-পৃথক-ভাবে গ্রহণ করা যায়, তাহ উপনিষদের ব্ৰহ্ম qరీరి AMMSAMSeee SAAAAA SAAAAAAASAAAAMMAMMS ها برای میه٬همیتیه٬۹همین" ম্পর্শের একায়ন, নাসিকাদ্বম্ব যেমন গন্ধের একায়ন, জিহবা যেমন রসের একায়ন, শ্ৰেfত্র যেমন শব্দের একায়ন, মন যেমন সঙ্কল্পের একায়ন, হৃদয় যেমন বিদ্যার একায়ন, হস্তদ্বয় যেমন সমুদায় কৰ্ম্মের একায়ন, পদদ্বয় . যেমন সমুদায় গতির একায়ন, বাকুসমূহ যেমন সমুদায় বেদের একায়ন—তেমন আত্মাও এই সমুদায়ের একায়ন ।” সৈন্ধবের উপমা ইহার পরে যাজ্ঞবল্ক্য বলিতেছেন— “যেমন সৈন্ধবখণ্ড অন্তর-রহিত বাহারহিত এবং একমাত্র রসঘন,—তেমনি এই আত্মা অস্তুর রহিত বাহরহিত এবং একমাত্র প্রজ্ঞানঘন ।” এই বাহাজগৎ ভেদযুক্ত এবং বৈচিত্র্যময় । অস্তুরজগতেও ভেদ রহিয়াছে । মনের মধ্যে কত চিন্তা, কত ভাব, কত ইচ্ছা ! যাজ্ঞবল্ক্য বলিতে ছেন– “আত্মা প্রকৃতভাবে এ প্রকার ভেদযুক্ত নহে। ইহা অন্তর্বাহভেদরহিত, ইহা একী কণর একরস, প্রজ্ঞানঘন ।” আমাদের দেশের দার্শনিক পণ্ডিতগণ এই ভাবকে বিশদ করিবার জন্য নানাপ্রকার দৃষ্টান্ত গ্রহণ করিয়া থাকেন। বৃক্ষের দৃষ্টান্ত গ্রহণ করা যাউক । বৃক্ষ বস্তুটি এক, কিন্তু এক হইলেও ইহার বিভিন্ন অঙ্গ আছে— যেমন মূল কাণ্ড ত্বকু পত্র পুষ্প ফল ইত্যাদি। এই সমুদায় অঙ্গ পরস্পর পৃথক । বৃক্ষ এক হইলেও ইহাতে ভেদ রহিয়াছে। কিন্তু আত্মার কোন অঙ্গও নাই— আত্মাতে কোন ভেদও নাই । আত্মার সংজ্ঞা ইহার পরে যাজ্ঞবল্ক্য বলিতেছেন—“(এই আত্ম ) এইসমুদায় ভূত হইতে ( জীবাত্ম-রূপে ) উখিত হইয়া সেই-সমুদাষেই আবার বিনাশ প্রাপ্ত হয় । মৃত্যুর পর আর সংজ্ঞা ( অর্থাৎ চৈতন্য ) থাকে না।” এস্থলে ঋষি জীবাত্মার উৎপত্তির কথা বলিতেছেন । এখানে স্মরণ রাখা আবশ্বক যে, ঋষি এস্থলে আত্মার উৎপত্তির কথা বলিতেছেন না ; আত্ম জীবাত্মরূপে প্রকাশিত হয় —এই কথাই এখানে বলা হইতেছে। তিনি আরও বলিতেছেন যে, মৃত্যুর পরে জীবাত্মার আর সংজ্ঞা থাকে না। ঋষি যাহা বলিলেন তাহার অর্থ এই যে,