পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ) , جیسےیہ "جمع ہے۔ SAMAeAeSAeeAMMAAAA আমি গরীব। ধনীকে আমি ঘৃণা করি। কারণ जांभां८भग्न शां «थांश्रृंj, नि७१ ट्'cग्नe ८कबलभांख টাকার . জোরে তারা আমাদের কাছ থেকে তা কেড়ে নেয়। অথচ এই কাঞ্চন-কৌলীন্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেও ধনীদের সিংহাসন আমরা একটুও টলাতে পারছি না । রাজতন্ত্র, প্রজাতন্ত্র—যে তন্ত্রই হোক, সৰ্ব্বত্রই কোন না কোন আকারে কাঞ্চন-কৌলীন্য বিরাজ করবেই করবে-এসিয়া, য়ুরোপ ও আমেরিকা—সব দেশেই এ ব্যাপার আছে। - বিফলতার পর বিফলতার ধাক্কায় মন আমার ভেঙে গেছে । আর আমার দেশে ফিরতে সাধ নেই, সমস্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষণ আমি বিসর্জন করেছি। স্থির করেছি, বাকি জীবনটা লক্ষ্যহীনের মত দেশ-বিদেশে ঘুরে যুরে’ কাটিয়ে দেব। আপনার আমাকে যতই স্নেহ করুন, আমি কিন্তু নিজেকে কিছুতেই আপনাদের সমকক্ষ ব’লে ভাব তে পারব না-সমাজও আমাদের মিলনকে সদয়চক্ষে দেখবে না। অতএব আমার পক্ষে তফাতে থাকাই ভালো । আশা করি, আপনি আর পূর্ণিমা দেবী ভালো আছেন। পূর্ণিমা দেবীকে বলবেন যে, তিনি আমাকে চা খেতে শিখিয়েছিলেন বটে, কিন্তু সে শিক্ষণ আমি ভুলে গেছি। তাকে আমার নমস্কার জানাবেন। fইতি ভবদীয় রতনকুমার রায় । আনন্দে অধীর হয়ে আনন্দ-বাবু পত্ৰখানা দু-তিন বার পাঠ করলেন । পূর্ণিমা বললে, “বাবা, রতন-বাবুকে এখনি লিখে দাও যে, কি-ক'রে চা খেতে হয়, আমি আবার নতুন ক’য়ে ক্টাকে শেখাতে রাজি আছি।” মানন্ম-বাবু বললেন, “হঁ্য৷ ই্য,—এখনি লিখে দিচ্ছি। পূর্ণিমা, নিয়ে জায় কাগজ,—নিয়ে আয় কলম।” আনন্দ-বাৰু লিখলেন— "স্নেহাস্পদ রতন, * - আমার একান্ত ইচ্ছ, এই পন্ন পাবা-মাত্ৰ তুমি § 3 e someo S বেনে-জল tyleసి

  • --

মোটমাট বেঁধে যেন কলকাতার টিকিট কিন্‌তে দেরি না কর । অন্তথায় মহম্মদই পৰ্ব্বতের কাছে যেতে বাধ্য ;– এই বুড়ে বয়সে আমাকে আর কটকে টেনে নিয়ে যেও না । x { দেখছি ধনীদের উপরে তোমার রাগ দিন-ধে , ' বেড়েই চলেছে। কিন্তু এবারে নিশ্চয়ই তোমাকে ক্রোধংবরণ করতে হবে-অন্ততঃ চক্ষুলজার অনুরোধে । কারণ, তুমি এখন নিজে ধনী-সমাজের অন্তর্গত এবং এ খবর জানলে তুমি নিশ্চয়ই ও-রকম চিঠি লিখতে পাৰ্বতে ন । কুমারপুরে তোমার যে মামা থাকতেন, তিনি পরলোকে গেছেন। তোমার মাতুলের একমাত্র সস্তানও ইহলোকে নেই। কাজেই তুমিই সমস্ত জমিদারির মালিক হয়েছ। অতএব নিজের দারিদ্র্যের জন্য তোমাকে কল্পনায় আর সঙ্কুচিত হ’তে হবে না। সাক্ষাতে সব কথা বলব, শীঘ্র চলে এস । - তোমার অপেক্ষায় রইলুম। ইতি।” পচিশ সেদিনের দুপুর-বেলাটা কিছুতেই কাটতে চাইছিল না । স্বমিত্রার মনে হ’ল, গ্রীষ্মের অসহ উত্তাপে-সময় যেন আজ মূচ্ছিত হ’য়ে পড়েছে! চুপ ক’রে শুয়ে থাকৃতেও তার ভালে লাগছিল না, বই পড়তেও ভালো লাগছিল नीं । শেষটা নাচার হয়ে অনেক দিন পরে সে আবার তুলি রং, পেন্সিল ও কাগজ নিয়ে বসল। কিন্তু কাগজের উপরে গোটাকতক রেখা টেনেই স্বমিত্রা বুঝলে যে, তার হাতের সে-নিপুণতা আর নেই। পেন্সিল ও কাগজ টেনে ফেলে’ দিয়ে সে আবার ইজি-চেয়ারের উপরে লম্বা হ’য়ে শুয়ে পড়ল । মুমিত্রার চেহারা আশ্চৰ্য্য-রকম বদলে গেছে। এ্যর্থপ্রেমে মাহুষের চেহারা যে খারাপ হ’য়ে যায়, এ-কথা র্যার কবি-কল্পনা ব’লে ভাবেন, তারা মুমিত্রাকে দেখলেই বুঝতে পারবেন যে, কথাটা খুবই সত্যি। স্বমিত্রা بی-۹