পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- م و سوم برای جمعیت ۶۹میته ۶۳۹ مینماید حبیبیه۹-بیتی۶۹میت আগেকার চেয়ে রোগ হ’য়ে ত গেছেই—বিশেষ ক’রে মলিন হয়ে গেছে তার সেই জ্যোংস্কার মতন স্নিগ্ধমধুর জা লাবণ্যটুকু • চো ের তলায় কালে কালে দাগ င္ဆို উঠেছে এবং কপোলের গোলাপী আভাও অদৃশু .gadং। তার যে-মুখ আগে হাসি-খুসিতে উজ্জল হ’য়ে থাকৃত, সে-মুখে এখন সৰ্ব্বদাই কেমন-একটা শ্রাস্ত বিরক্তির ভাব মাখান থাকে। খানিকক্ষণ চুপ করে শুয়ে থেকেই স্থমিত্ৰ আৰার উঠে' দাড়াল। তার পর ঘরের যে একটিমাত্র জানূল খোলা ছিল, সেটা বদ্ধ করে দিয়ে আবার সে শুয়ে পড়ল । একটু পরেই দরজা খুলে সন্তোষ এসে ঘরে ঢুকে ব্যস্তভাবে বললে, “মূমি, ওঠ, ওঠ ।” স্বমিত্ৰা জিজ্ঞাসা করলে, “কেন ?” —“রতন-বাৰু তোর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন।” স্বমিত্রী কিছুমাত্র ব্যগ্রতা না দেখিয়ে আস্তে আস্তে উঠে বসল। রতন যে কাল কলকাতায় ফিরেছে আর সে ষে এখন মস্ত বড় জমিদারির মালিক, এ-খবর মূমিত্র। আগেই শুনেছে । কিন্তু রতন যে আবার তার সঙ্গে দেখা করতে আসবে, এটা সে মোটেই ভাবে-নি । সন্তোষের দিকে তাকিয়ে স্বমিত্রা সন্দেহপূর্ণস্বরে বললে, “দাদা, রতন-বাৰু কি নিজেই আমাদের বাড়ীতে এসেছেন ?” —“না, জমি আর বাবা আনন্দ-বাবুর বাড়ীতে গিয়ে তাকে সঙ্গে করে' এনেছি।” —“রতন-বাৰু তা হ’লে পূর্ণিমাদের বাড়ীতে এসেই উঠেছেন ?” “হঁ্য ......আমি যাই, রতন-বাবুকে এখানে পাঠিয়ে দিই। ততক্ষণে ঘরের জানলা তুই খুলে দে, ভারি অন্ধকার”—বলতে বলতে সন্তোষ বেরিয়ে গেল । কিন্তু স্বমিত্ৰা উঠলও না, ঘরের জানলাও খুলে’ দিলে না। স্তন্ধ হ’য়ে ব’লে ব’েল ভাব তে লাগল। খানিক পরেই রতন এল। ঘরের ভিতরে ঢুকেই সহজস্বরে সে বললে, “একি স্বমিত্ৰা ! অন্ধকারে ব’লে আছ কেন r" —“আলে ভালো লাগছে প্রবালী—চৈত্র, ১৩৩০ ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড - സ്പ -l. —“তুমি ভালো জাছ ত ?” * \ riنجاه ساسএত দিন পরে দেখ, অথচ স্বমিত্রার এই চাঞ্চল্যইন উদাসীন ভাব-ভঙ্গী, এই নীরস সংক্ষিপ্ত উত্তর রতনের কাছে কেমন অস্বাভাবিক ৰ’লে মনে হ’ল । রতন ভেবেছিল, সে ঘরে ঢুকতে না চুকতেই স্থমিত্ৰা প্রশ্নের পর প্রশ্নে ও চটুল বাচালতায় ঠিক আগেকার মতোই তাকে একেবারে অস্থির করে তুলৰে ......একটু বিস্মিত হয়ে রতন একখানা চেয়ার টেনে এনে স্বমিত্রার সাম্নে গিয়ে বসল। তার পর ভালে ক’রে তাকে দেখে’ই সে ব’লে উঠল, “কুমিত্ৰা ! তোমার এ কী চেহার। হ’য়ে গেছে !" স্বমিত্র মাধ। নামিয়ে নিরুত্তর হয়ে রইল। -“নিশ্চয় তোমার অন্ধখ করেছে ।” —“all” —“অন্থখ করে-নি ত তুমি এমন শুকিয়ে গেছ কেন ?" —“জানি না”—ব’লে সুমিত্রা শ্রাস্তভাবে চোখ মুদলে । রতন বুঝলে, তার সঙ্গে কথা কইতে স্বমিত্রার ভালো লাগছে না। এর কারণ কি ?••••••ভার মনে পড়ল সেই শেষ-দিনের দৃষ্ঠ ! তার পায়ের তলায় মাটির উপরে লুটিয়ে পড়ে স্থমিত্র সেদিন অশ্রুসিক্ত মুখে কী করুণ আবেদনই জানিয়েছিল । কিন্তু সে আবেদনে কর্ণপাত ন ক’রে সে নিষ্ঠুরের মত চলে এসেছিল।......স্বমিত্রা কি তাই তার উপরে অভিমান ক’রে অাছে ? কিন্তু মুমিত্রার বালিকাজলভ তরল মনের উপরে অভিমান যে এমন স্থায়ী রেখাপাত করবে, এটা সে কিছুতেই ভেবে উঠতে পারলে না । সুমিত্র তখনে ইজিচেয়ারে হেলে পড়ে দুই চোখ মুদে আছে। তার মুখের পানে খানিকক্ষণ নীরবে তাকিয়ে থেকে রতন মৃদ্ধস্বরে ভাকুলে, “শ্বমিত্ৰা ।” স্বমিত্রার সাড়া নেই। —“স্থমিত্ৰ, তোমার কি ঘুম পেয়েছে ?” সুমিত্র ঘাড় নেড়ে জানালে, না । خميني يجمعهم.