১ম সংখf } ফ্রান্সের বন্ধুত্বের বন্ধন খুব দৃঢ় করে এলেন। দেশে ফেব্রুবার সময় তিনি ফ্রা-নরাইয়ের কাছ থেকে তিন জন দূত ও বারোজন মান্দারিনকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে কয়েকজন যুবক ফ্রান্সে লেখা-পড়া শিখতে এসেছিল। শ্যামরাজ ফরাসী পাদ্রিদের তার রাজত্বে বাস করতে এবং সেখানে তাদের ধর্থ প্রচার করবার অধিকার দান করে এক সন্ধিপত্র লিখে দিলেন। এ ছাড়া ক্যাথলিক মাত্রকেই তিনি কতকগুলি কর থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। পরে শ্যামদেশের সঙ্গে ফ্রান্সের ব্যবসা-সম্বন্ধেও এক সন্ধি হয় । এই সন্ধি অনুসারে কাপাঞি দেজ অ্যাদকে (ইণ্ডিয়া কোম্পানীকে) সেখানে ব্যবসার বিপুল স্থবিধ দেওয়া হয়। সন্ধির সপ্ত অল্পসারে মাসিয় দ্য ফোরব্যাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শ্যাম দেশে এক কাজের ভার নিয়ে থাকৃতে হয়েছিল। ফোৰ্বব্যাকে যে পদে নিযুক্ত করা হ’ল সে পদের নাম ফ্রা সাহ দি তুঙ্গক্রম রাজ সেনাপতি ও মীর-বহর । শ্যামরাজ্যের কোনো দিক দিয়েই যেন শক্র আক্রমণ همهی مجسعی দৃত పెనీ ~~^* করতে না পারে এমন ভাবে রাজ্যটিকে স্বরক্ষিত করে তোলবার ভার তার উপর দেওয়া হ'ল। শ্যাম ও ফ্রান্সের বন্ধুত্বের নিদর্শন-স্বরূপ শ্যামদূত ফ্রান্স থেকে তাদের দেশে ফরাসী সৈন্য ও ইঞ্জিনীয়ার নিয়ে এলেন । ১৬৮৭ অব্দে ফিল্ড, মাশীল দেফার্জের অধীনে দুই দল ফরাসী সৈন্য শ্যামরাজ্যে পাঠান হয় । এদের মধ্যে কিছু সৈন্য ব্যাঙ্কক এবং কিছু সৈন্য মাগু"ইতে রাখা হ’ল। এই স্থানটি ঠিক ভারতের পণ্ডিচেরী সহরের বিপরীত দিকে । এই ভাবে তারা নিজেদের রাজ্যের প্রধান দরজার চাবিগুলি ফরাসীদের হাতে বিশ্বাস করে ছেড়ে দিয়েছিল । কিন্তু এই দুই রাজ্যের মধ্যে যখন একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক পাকা হ’য়ে উঠবার চিহ্ন চারিদিক দিয়ে ফুটে উঠছিল, ঠিক তারই ছু-বছর পরে ফ্রান্সের রাজ-দরবারে একটা বিষম হাঙ্গামা বেধে ভবিষ্যতের অনেক আশাই একেবারে নিখুল করে দিল । ঐ পরেশচন্দ্ৰ শৰ্ম্ম দূত ( জামদাস বঘৈলী ) সোনালী পোষাকে হে দূত যখন, । রজনী হইলে ভোর— দেখা দিলে আসি সুরভিত শ্বাসে চিত্ত জাগিল মোর। মধ্য দিনের উজ্জল বেশে আসিলে হে দূত যবে, করিল উদাস মোর তছু মন, তখন কি কথা হবে ? গেরুয়া আকাশে ছড়াইলে ঘবে সন্ধ্যার স্বরজাল, সরণের মত গম্ভীর অতি এল সে রাত্রিকাল । তার পর দূত বিরাট পত্র দিলে মোরে কোন ছলে ; অসিত-বরণ কাগজ তাহার, জ্যোতির আর্থর জলে । তোমারে দেখিয়া ভুলেছিন্ত, দূত, ভ’রেছিল মোর মন, তুমি যার দূত পল দেগিয পৰিব কেমন জন ? ঐ গিরিজানাথ মুখোপাধ্যায়
