পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] • * ه “ م .د مرن: স্ত্রী পুত্ৰ ঐশ্বৰ্য্যাদি যেগুলি গৃহস্থের পক্ষে ভূষণ, সেইগুলিই সাধুর পক্ষে দূষণীয়। গৃহস্থানাম যদু ভূষণম্ স্তং সাধুনাং দূষণম্।” ইহার পর আচাৰ্য্য শ্রাবকদের অনেকগুলি নিয়ম বলিয়া শেষে বলিলেন—“সকল শ্রাবক হয়ত নানা কারণে সকল নিয়ম পালন করিতে পারে না, কিন্তু তাঙ্গার অর্থ এরূপ হইতে পাবুে না যে যখন একটি নিয়ম ভঙ্গ করিতেই হইল, তখন আর অন্য নিয়মগুলি পালন করিবার প্রয়োজন নাই। শ্রাবক যতগুলি নিয়ম পালন করিতে পারে তাহাই তাহার পালনীয়, যাহা পালন করিতে অশক্ত তাহ সে সময়ে ত্যাগ করিবে । পরে যদি কোনও সময়ে পালন করিতে পারে, তবে সে সময়ে অবশ্য পালন করিবে ।” একদিন কথা-প্রসঙ্গে সম্রাট জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমি লোকের মুখে শুনিয়াছি হস্তিন তাড্যমানোইপি ন গচ্ছেজ, জৈন-মন্দিরম্ । এ বচনটি কিরূপে উৎপন্ন হইল ?” আচাৰ্য্য হাসিয়া বলিলেন, “রাজন, এটা কোনও শাস্ত্রের বচন নহে । যেমন একজন এইরূপ বচন স্বষ্টি করিয়াছে, সেইরূপ প্রত্যুত্তরে অন্য ব্যক্তি বলিতে পারে, সিংহেন, তাড্যমানোহপি ন গচ্ছেচ ছৈব-মন্দিরম । উভয় বচনের উৎপত্তি একই প্রকারে ও একই স্থানে । সে-স্থানের নাম দ্বেষ ও পরনিন্দ । এ সকল বিষয়ে তর্ক করিবার ফল হাতাহাতি মারামারি ইত্যাদি ছাড়। আর কিছুই নহে ।” - সম্রাট, আচাৰ্য্যকে ধন রত্ন জাগীর ইত্যাদি অন্ততঃ কিছু ভেট স্বীকার করিতে অনেক অনুরোধ করিলেন । কিন্তু আচাৰ্য্য কোনমতেই স্বীকার করিলেন না । সম্রাটের কাছে পদ্মশ্বন্দর নামক এক তাপস বিদ্বানের ংগৃহীত অনেকগুলি সংস্কৃত পুস্তক ছিল । অগত্য। তিনি আচাৰ্য্যকে তাহাই স্বীকার করিতে অনুরোধ করিলেন। শেখ আবুল ফজলও এই পুস্তকগুলি স্বীকার করিতে অনুরোধ করিলেন । কিন্তু গৃহহীন পরিব্রাজক এত পুস্তক রাখিবেন কেমন করিয়া ? ইহা ছাড়া জৈন সাধুরী পুস্তক ও সঙ্গে রাখেন না, কেনন। এরূপ করিলে মমৃষ্যের পুস্তকে ও আসক্তি জন্মিতে পারে ? আচার্য্য এ-পুস্তকগুলি স্বীকার করিলেন বটে, কিন্তু আপনার কাছে R-سب سے e اج সম্রাট, অকৃবর ও জৈনাচাৰ্য্যগণ JJJMMMAMMMM eAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAMMMMA AMAMMeMMA AA AMAMMAAA S SAAAAAA MAMAMMAAA AAAA AAAMMMJS 2○○ AAAMSJAAA AAAA SAAAAA SAAAAA AAAA AAAA SAAAAA SAAAAAM MAAA AAAA AAAA S AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAASS রাখিলেন না। আগ্রাতে সম্রাটের নামে এক ভাণ্ডার স্থাপন করিয়া সেইখানে রাগিয়া দিলেন । এ ভাণ্ডারের পরে কি দশ হইল বলা যায় না । আমি চৈত্রের প্রবাসীতে (৮৫৫ পৃ: ) লিখিয়াছিলাম যে জৈন সাধুর ভেট ও রাজসম্মান গ্ৰহণ করিয়া পতিত হইয়াছিলেন, এখন আবার সে প্রথা ত্যাগ করিয়াছেন । আমার এক জৈন বন্ধু আমার ভ্রম দেখাইয়া দিয়া উপকৃত করিয়াছেন । জৈনদের সাধু ও যতি দুইটি ভিন্ন বস্তু । সাধুরা কেশর দিয়া রঞ্জিত ঈষৎপীতাভ বক্স ব্যবহার করেন । তাহার কোনও কালে রাজসন্মান বা আড়ঙ্গর স্বীকার করেন নাই, এখনও করেন না । যতির শুভ্ৰ শ্বেত বস্ত্র ব্যবহার করেন, তাহার রাজসন্মান মোহান্তদের মত গর্দী ইত্যাদি স্বীকার করিয়াছিলেন ও এখনও করিয়া থাকেন। তাহারা রেল-গাড়িতে ভ্রমণ করেন। ইহাদের সম্মানেও যথেষ্ট প্রভেদ আছে। শ্রাবকেরা যতিকে দেখিলেই “বন্দনা” শব্দ উচ্চারণ করিয়া অভিবাদন করে, কিন্তু সাধুকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করিতে বাধ্য। কিন্তু যতিরা সাধুদের অন্য সকল কঠোর নিয়ম পালন করিয়া থাকেন । কিছু কাল ফতেপুরে অবস্থানের পর আচাৰ্য্য সম্রাটুকে বুঝাইলেন যে সাধুদের বেশী দিন এক স্থানে বাস করিতে নাই । জৈনদের শেষ তীর্থঙ্কর মহাবীর স্বামী গ্রামে এক বাত্রি ও বড় নগরে পাচ রাত্রির বেশী থাকিতেন না। অবশু বর্ষাকালের চতুৰ্ম্মান্স ছাড় । আচাৰ্য্য সম্রাটের অনুমতি লইয়া আগ্রী চলিয়া গেলেন। ফতেপুরে বাসের সময় প্রায় সকল রাজসভাসদের সহিত র্তাহার আলাপ হইয়াছিল ; কিন্তু আবুল ফজলের সহিত আলাপে তিনি যত আনন্দ লাভ করিয়াছিলেন তত অন্ত কাহারও সহিত আলাপে লাভ করেন নাই । আগ্রাতে তিনি চাতুৰ্ম্মান্ত যাপন করিলেন । চাতুৰ্ম্মান্সের মধ্যেই জৈনদের পযুষিণ পৰ্ব্ব হয় । এই সময়ে ফতেপুরের জৈন অধিবাসীরা আচার্য্যের নামে সম্রাটুকে বলিলেন, “পযুTষণ-পৰ্ব্ব জৈনরা অতি পবিত্র বিবেচনা করে । এ কয়দিন তিনি ষে নগরে বাস করিতেছেন সেখানে জীবহত্য নিবারণ করিতে অনুরোধ করিতেছেন।” সম্রাট তৎক্ষণাৎ ফর্মান