পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩০ واك SMee SAe MAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAA AAAA AAAAAS S S AAAA S AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AMAAA SAAAAA SAAAAA SAAAAA S AAAAA MAAAA দুই জনে দূৰ্ব্বাসনে উপবেশন করিলেন । এমন আসন কোথায় আছে ? ঘুরিয়া ফিরিয়া আবার.সেই কথা ! 'জয়ন্তী, মনে পড়ে ?” "পড়ে !" “সেই বনে প্রথমে দেখা, সেই বনদেবীর আবিভাব ?" “পড়ে ।” “আমার হৃদয় তখনত চঞ্চল হইয়াছিল । তোমার ?" জয়ন্তীর মস্তক নত হইল –নত হইয়া, কোন অপূৰ্ব্ব চুম্বকে আকৃষ্ট হইয়া, বিহারীলালের স্বন্ধে রক্ষিত হইল । স্কুল, তৃপ্ত নিঃশ্বাসের ন্যায় বিহারীলালের কর্ণে শব্ব প্রবেশ করিল, “আমারও" “মনসবদার তোমাকে তাহার বেগম করিতে চাহিয়াছিল ?” “তাহার কথায় কাজ নাই ।” "তুমি আমারই।" “আমি তোমারই ।” বিহারীলালের স্বন্ধে মস্তকের ভার গুরু হইল । “জীবনে মরণে, জন্মে জন্মে, যুগে যুগে তুমি আমার ।” জয়ন্তীর বলয়িত বাহুলত বিহারীলালের কণ্ঠে লগ্ন হইল, কম্পিত কোমল কণ্ঠে উত্তর আসিল, "অনাদি অনন্ত কালে, জীবনে মরণে, জাগরণে শয়নে, মুখে দুঃখে, ভোগে ত্যাগে আমি তোমার! বল তুমি আমার !" - চির পুরাতন, চির নুতন এই প্রথম প্রণয়ের লাল ! সেই একই কথা শত শত বার, সেই কম্পিত করে করে স্পশন, সেই ঢল ঢল সিক্ত নয়নে নয়নে মিলন ! সেই হৃদয়ের আবেগ, সেই গুরু গুরু দুর দুরু থর থর বক্ষ, সেই আশা, সেই ভয়, সেই মিলনের অতৃপ্তি । পুরুষ ও রমণীর প্রথম প্রণয়-সম্ভাষণ ! হৃদয়ের সকল তন্ত্রী একত্রে ঝঙ্কত হইয়া উঠে, নির্গিল বিশ্বে সপ্ত মরে প্রেমসঙ্গীত ভাসিয়া বেড়ায় ! এক মুহূত্তে বিশ্বচরাচরের মূৰ্ত্তি নুতন হইয়া যায়, উদ্বেলিত প্রেমতরঙ্গ সৰ্ব্বত্র আঘাত করে হৃদয় হষ্টতে অঞ্জলিপূৰ্ণ প্রেম দিকে দিকে বিতরণ করে, এক নিমেষে কাঙ্গাল কুবেব হয় ! এই নরনারীর যুগ্ম রূপ, দুইয়ে এক, আর ২৩শ ভাগ; ১ম খণ্ড একাধারে হরগৌরী ! প্রেমের এই আলাপ, মিলনের এই সম্ভাষণ, বহু পুরাতন আবার নিত্য নূতন ! ষড়বিংশ পরিচ্ছেদ পুণ্ডরীকের পদোন্নতি পর দিন প্রভাতে চৌধুরীদের সিংহদ্বারে নহবত বাজিল না, তাহার বদলে ডস্ক বাজিল । সেই দুন্দুভিনিনাদে গ্রামের লোক চমকিয় উঠিল । কত বৎসর, হয়ত দুই এক পুরুষ কেই এ শব্ব শুনে মাই। গুড়, গুড় গুম, গুডু, গুড়, গুম্‌ ! মেঘগর্জনের ন্যায় এ শব্দের অর্থ কি ? পূৰ্ব্বে না শুনিলেও তাহার অর্থ সকলে বুঝিতে পারিল। কেহ জিজ্ঞাসা করিল, “হঁ্যারে, জমীদারবাড়ীতে নাগরা বাজে কেন ?" উত্তর, “কেন আবার জানিস্নে ? যুদ্ধ কি অস্ত্ৰ শস্ত্র আছে, বাহির কর।” বাদশাহের বেটার করিবে, হবে । ঘরে “যুদ্ধ ত তার এখানে কি ?” “আরে পণ্ডিতের পুত, মাঝ দরিয়ায় ঢেউ উঠলে ডাঙ্গায় লাগে কেন ? আর কিনারায় কাছী-বাধা ডিঙ্গীই বা ঝপাস, ঝপাস করে আছাড় খায় কেন? এখন বুঝলে ঢেকিরাম ? বাদশাহী দরিয়া বড় দরিয়া ! সেখানে উঠলে তুফান দেশটা হবে খান খান। কেউ বঙ্গ পাবে না ।" “তাই ত এখন উপায় ?" উপায় যা পূৰ্ব্ব পুরুষে করত তাই । লাঠি সোটা, বশী, ভলওয়ার যা আছে নিয়ে আয় ।" চারিদিকে ভারি হৈচৈ পড়িয়া গেল । দেখিতে দেখিতে সমস্ত জমিদারীতে খবর হইয় গেল । যে যাহা অস্ত্র পাইল লইয়। জমিদার-বাড়ী ছুটিল। ‘যায় প্রাণ যাবে লড়াইয়ে, তা বলে কি পুরুষপদ্ধতি ভুলবে”—মুখে মুখে এই কথা। বিহারীলালের বাড়ীর সম্মুখের বৃহৎ মাঠ ভরিয়া গেল । নায়েব গোমস্ত রসদের সরঞ্জাম করিতে ছুটিল, যন্ত গ্রামের বেনের দোকান খালি হইতে লাগিল । বিকারীলাল মাঠের চারিদিকে ঘুরিয়া প্রজাদিগকে বলিলেন, “তনু আসিয়া পড়িল, অস্ত্ৰ শস্ত্রও আসিতেছে ।