পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] সুরমা হাসিয়া বলিল, “তা ছাড়া আসলে ধরতে গেলে স্বরেশ্বর-বাৰু স্বমিত্ৰাকেই উদ্ধার করেছেন ; ঠাকুরপোর পাল ত আগেই হয়ে গিয়েছিল। মাগেL! সে কথা মনে পড়লে এখনও গা কেঁপে উঠছে! আর একমিনিট, স্বরেশ্বর-বাৰুর আসতে দেরী হলেই গুগুটি৷ সুমিত্রার গলা থেকে জোর করে. কট্ট। খুলে নিত । সুমিত্ৰা ত আতঙ্কে কেমন হয়ে গিয়েছিল।” e এই সময়ে স্থমিত্র। প্রবেশ করিল । সুরমার কথার শেষ অংশ সে শুনিতে পাইয়াছিল ; স্তরেশ্বরের পায়সের পাত্রে চামচ রাখিয়া হাসিয়া কহিল, “আমার ত কেমন হয়ে যাওয়ার কথাই ছিল, কিন্তু তোমরা ও যে বিশেষ স্থস্থ ছিলে তা ত মনে হয় না।" স্বরমা হাসিমুখে কহিল, “সুস্থ ? আমি বোধ হয় তোর আগেই ফিটু হয়ে যেতাম !” সুরমার এই অকপট আত্মপ্রকাশে সকলে উচ্চস্বরে হাসিয়া উঠিল । - বিমলা বলিল, “আচ্ছ, বিমানদ, সুরেশ্বর-বাৰু না এলে আপনি কি করতেন ? আদ্যকার ঘটনায় বিমানবিহারীর পক্ষে অপৌরুষের যে হীনতাটুকু অপ্রকাশ থাকিয়াও কাহারও নিকট অগোচর ছিল না, বিমলা একটি অসতর্ক প্রশ্নের দ্বার। তাহাকে সহসা এমন প্রকট করিয়৷ দেওয়ায় সকলেই একটু বিত্রত হইয়া উঠিল ; বিশেষতঃ বিমানবিহারী স্বয়ং । তিনটি স্ত্রীলোকের রক্ষক হইয়া বিপংকালে সে এমন কিছুই করে নাই যাহা তাহার করা উচিত ছিল । শুধু তাহাই নহে, তাহার যে কি করা উচিত ছিল তাহা ঘটনাস্থলেই একজন অপরিচিত নিঃসম্পর্ক ব্যক্তি দেহ বিক্ষত এবং জীবন বিপন্ন করিয়া প্রমাণ করিয়া দিল । সৰ্ব্বাপেক্ষা পরিতাপের ব্যাপার এই যে যাহার সহিত অদূর ভবিষ্যতে তাহার বিবাহ হইবার কথা চলিয়াছে, দলের মধ্যে সে ছিল, এবং বিশেষ করিয়া তাহাকেই উদ্ধার করিবার অবস্থা উপনীত হইয়াছিল, কারণ সে-ই নিপীড়িত হইতেছিল। স্বরেশ্বরের পরিবর্ভে তাহার হস্ত বিক্ষত হুইলে আজ সকলের চক্ষে সে কতটা প্রশংসাভাজন হইতে পারিত তাহ জুবিয়া সে মনে মনে 4-سيستاج: 寶* S AAAAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMA AMA AMA AMAMAMAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMAAA AAASS Xፃፃ - حمام حاجیے،ہم سے۔ ষথেষ্ট ক্ষুব্ধ ছিল, তাহার উপর বিমলা এমন স্পষ্ট করিয়া কথাটা উত্থাপিত করায় সে বিমূঢ় হইয়া গেল । বিমানবিহারী মানাইয়া গুছাইয়া একটা-কোনও কথা বলিবার পূৰ্ব্বেই স্বরেশ্বর বলিল, “হঠাৎ আক্রান্ত হলে প্রথমটা একটু অভিভূত হয়ে পড়তেই হয় ; সেটা কেটে গেলে তখন উনিই গুণ্ডাটাকে আক্রমণ করতেন ।" আর ৪ একটু ছেলেমান্তৰ্মী করিয়। বিমল কহিল,

  • “বিমানদ ধে রকম ভালমাকুম । তিনি কি গু গুটিার সঙ্গে

পেরে উঠতেন ?" বিমলার কথায় সুরেশ্বর হাসিয়া উঠিয়া কহিল, “তা হলে কি বলতে চান যে আমি একজন গুগু, তাই তার সঙ্গে পেরে উঠেছি ?” এবার সকলে--এমন কি বিমানবিহারী পৰ্য্যন্ত হাসিয়া উঠিল, এবং বিমল যে অসুবিধার অবস্থা কৃষ্টি করিয়াছিল, এই হাসির উপলক্ষ্যে তাহা অনেকট। কাটিয়া গেল । হাসির কল্পোল থামিলে জয়ন্তী কহিলেন, “তুমি গুণ্ডাটাকে জানিয়ে দিলে না কেন বিমান, যে তুমি একজন ম্যাজিষ্ট্রেট ? তা হলে পালাতে পথ পেত না ।" স্বামীর পদোল্লেখের সময়ে ও জয়ন্ত্রী “ডেপুটি” শটি সঙ্কু বাদ দিয়া চলিতেন । - •. সহধৰ্ম্মিণীর এই বিচিত্র প্রশ্ন ও আত্মপ্রকাশে भरमझम লজ্জিত হইয়া প্রমদাচরণ মৃদু মৃদু ফুলিতে লাগিলেন, এবং স্বরেশ্বর ম্যাজিষ্ট্রেটের অলীক মহিমার প্রতি জয়ন্তীর এই একান্ত বিমুগ্ধভাব দেখিয়া যথেষ্ট পুলকিত হইল। সত্যের অনপলপি ও জয়ন্তীর অভিমান, উভয়ের মধ্যস্থত করিয়া বিমান কহিল, "গুণ্ডারা আজকাল আর হাকিম-টাকিম মানে না। দিনকাল একেবারে বলে গিয়েছে ।” 亨 কাহাদের অবিমূৰ্য্যকারিতায় দিনকাল পরিবর্তিত হইয়। গিয়াছে তদ্বিযয়ে একটু বকৃত দিতে জয়ন্তীর লোভ হইতেছিল, স্কুরেশ্বরের উপস্থিতির জন্য ইতস্ততঃ করিতেছিলেন, এমন সময়ে কক্ষে একজন দীর্ণকায় সাহেৰবেশধারী ব্যক্তি প্রবেশ করিল এবং মস্তক নত করিয়া সহাস্য মুখে কছিল, “গুড়-ইভনিং, কই আমার রুগী কোথায় ?—” &