পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] বিদ্যমান আছে । মাহাত্ম্যহিসাবে স্থান নির্ণয় করিতে হইলে কোন তীর্থের কোনটি বড় কোনটি ছোট তাহ নিরাকরণ করা সহজ নহে, যেহেতু সকলগুলিই আপন আপন মহিমা ও গৌরবে সমৃদ্ধ । তথাপি এখানকার শ্ৰীরাধাকুণ্ড, শুমকুণ্ড, মানসীগঙ্গা, কুসুম-সরোবর প্রভৃতি সরোবরগুলি মাহাক্সের সহিত আকার ও সৌন্দৰ্য্যসমন্বয়ে অন্যান্যগুলি অপেক্ষা প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে । রাধাকুণ্ড স্ত্রীরাধারাণীর অভিলাষে খোদিত হয় । উষ্ঠ। বহু তীর্থের বারি দ্বারা পরিপূরিত । শ্যামকুণ্ড শ্ৰীকৃষ্ণের ংশী দ্বারা প্রস্তুত হয় এবং তাহার ইচ্ছায় পাতালের লী রাধাকুণ্ড ( বজমণ্ডল ) ভাগবতীর জলে উহু পূর্ণ হয় । বোম্বাইয়ে সমুদ্রের অতি নিকটে একটি পূত সরোবর আছে, উহা ও শ্ৰীবাম চন্দ্রের শরে বিদ্ধ হইয়া পাতালের ভোগবতীর জলে পূর্ণ হয়। সমুদ্রের নিকট থাকিলেও ইহার জল লবণাক্ত নহে । মানসী-গঙ্গাও শ্রীকৃষ্ণের মনেসেই আবিভূতি । চক্রেশ্বর বা চালকেশ্বর این گی নামে এক মহাদেব আছেন । এই হ্রদ গোবৰ্দ্ধনের সন্নিকটে অবস্থিত। শ্রীরাধাকুণ্ডের পথে কুসুম-সরোবর আর-একটি অতি মনোরম সরোবর। প্রাকৃতিক শোভায় ইহা অতুলনীয়। গোবৰ্দ্ধন হইতে দেড় ক্রোশ দূরে চন্দ্রসরোবর নামে আর-একটি স্ববৃহৎ সুন্দর পবিত্র সরোবর আছে। ব্রজধামে উক্ত কয়েকটি ভিন্ন ললিতাকুণ্ড, লুকালুকিকুণ্ড, প্রেমসরোবর, বিশাখাকুগু, ব্ৰহ্মকুণ্ড, ক্ষীরসাগর, ভারতের উপাস্য-বৈচিত্র্য মানস গঙ্গ tে পান ) মানসরোবর, ব্রজমোহনকুণ্ড, মহলারকুণ্ড, শ্ৰীকৃগু, শাস্তনকুণ্ড, কালীয়ত্বদ, গোবিন্দকুণ্ড প্রভৃতি আরও অনেকগুলি কুণ্ড আছে। এইসকলের মধ্যে অনেকগুলি ক্ষুদ্রাকার এবং বৰ্ত্তমানে তাহাদের অবস্থা অতি শোচনীয় হইয়া দ।ড়াইলেও, এখনও ভক্তিমানদের নিকট উহার পরম পবিত্র স্থান । তাহার। বিশেষ-ভক্তিসহকারে উহাদের জল স্পর্শ করিয়া থাকেন এবং পাণ্ডাদের মুগে উত্নাদের উৎপত্তিও মাহাত্ম্যকথা শুনিয়া থাকেন । ললিতাকুণ্ড সেবাকুঞ্জে অবস্থিত। রাত্রিকালে কেহই এখানে থাকিতে পান না। ব্ৰহ্মকুণ্ড প্রজাপতি ব্ৰহ্মার অশ হইতে স্থষ্ট হয়। সেইরূপ বৃষভান্থনন্দিনী মান করিয়া তাহার নয়নজলে মান