পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যl | g বলিদান ృరి दक्लिमांना এক খাদের নীচে সমস্ত দিন কয়লা কাটিয়া গোধূলি-ধূসর অপরাহ্ল বেলায় লাকু মাঝি ধাওড়ায় ফিরিতেই দেখিল, তাহার স্ত্রী টগরী শিশু সন্তানটিকে একটা পত্রবিহীন শীর্ণ কুলগাছের নীচে শোয়াইয়া রাখিয়া, আড়ষ্টর-ক্ষেতের পানে একদৃষ্টে তাকাইয়া আছে। লাকু কাছে আসিয়া দাড়াইতেই, টগরী ক্ষেতের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া বলিল,—দ্যাগ মাঝি, ক্ষেতের বোঙ ( দেবতা ) আমাদের উপর রাগ করেছে, তা না হ’লে বল্ দেখি গাছে একটিও গুটি ধরলে নাই কেনে ? ছেলেটা এতক্ষণ মাটিতে পড়িয়া ঘুমাইতেছিল, হঠাৎ কাদিয়া উঠিতেই টগরী তাহাকে কোলে তুলিয়া লইয়। কহিল,—কাল বোঙাকে মুরগী না দিলে সে ঠাণ্ডা হবেকৃ নাই, বুঝলি মাঝি ? সারাদিন পরিশ্রমের পর লাকু বেশ পরিশ্রান্ত হইয়। পড়িয়াছিল, কুল গাছটার নীচে সবুজ ঘাসের উপর বসিয়। পড়িল। বলিল,--তাই হবেক্‌ টগরী। অদূরে ক্ষেতের পাশে ছোট বড় কয়েকটা মোরগ ইতস্তত ঘুরিয়া ঘুরিয়া আহারের অঙ্গুসন্ধান করিতেছিল, তাহাদেরই মধ্যে বড় মোরগটা দেখাইয়া বলিল,—তুর ওই লছ মনিয়াকে কাটুলেই হবেক,-কি বলিস্ ? লছ মনিয়ার নাম করিতেই টগরী হঠাৎ ক্রুদ্ধ-ভাবে উত্তর দিল,—ই, তা বৈ কি ? উয়াকে কার্টুবি নাই কেনে ?—বাহারে ?.. বোঙালুঙির পুজায় লছমণিয়াকে বলি দিবার প্রস্তাব করাটাই যে তাহার অন্যায় হইয়াছে তাত সে বুঝিল । কারণ সে জানিত, দুই বৎসর পূৰ্ব্বে তাহাদের একটা পুত্রসন্তান হইয়া মারা যাইবার পর হইতে টগরী আদর করিয়া তাহার মৃতপুত্রের নামানুসারে এই মুরগীটার নামকরণ করিয়া তাহাকে ছেলের মতই পালন করিতেছিল। মায়ের প্রাণে এ আঘাতটা যে কত বেশী লাঞ্জিলে জাহ। সে বঝিতে না পণবিফক্ট কথাটি বন্সিগ্ন। ফেলিয়াছিল। কথাটা পাণ্টাইয়ু লইয়া লাকু বলিল,—তবে তুর যাকে খুলী, তাকেই দিস ।...চারটি ভাত দে দেখি, —বড় ক্ষিদা লেগেছে.আমি চট্‌ করে গা ধুয়ে আসি। ধাওড়ার পাশেই খাদ-পুকুরে স্নান করিয়া ভিজ৷ কাপড়ের এক প্রান্ত দিয়া বড় বড় ক্টোকৃড়ানো একমাথা চুল মুছিতে মুছিতে লাকু উঠানে আসিয়া দাড়াইল । ধূলিমলিন প্রান্তরের উপর গাছগুল তখন সন্ধ্যার অন্ধকারে অস্পষ্ট হুষ্টয়া আসিতেছিল। শীতের সন্ধ্যায় স্নান করায় তাহার সর্বাঙ্গে কাপন ধরাইয়া দিয়াছিল। কাপড়টা ছাড়িয়া ধীরে ধীরে পরিষ্কার উঠানের একপাশে লাকু ভাতের অপেক্ষায় বসিয়া রহিল। তিন নম্বর খাদের আগুন হু হু করিয়া জলিতেছিল। ধ্বসিয়া যাওয়| স্থানগুলার উপর চালের পাথরগুল। পৰ্য্যন্ত পুড়িয়া পুড়িয়া রক্তের মতন লাল হইয়া উঠিয়াছে। অগ্নি ও ধূমের সর্পিল গতি ঘুরিয়া ঘুরিয়া উদ্ধে উঠিয়া দূরে আম, অৰ্জ্জুন ও বোয়ান ঝোপের সারির উপর প্রতিফলিত হইতেছিল। টগরী ফেনসমেত ভাতের থালাটা তাহার স্বমুখে ধরিয়া দিয়া, একটা কেরোসিনের ল্যাম্প, জালিয়া, কোলের ছেলেটাকে আদর করিতে করিতে তাহার নিকট বসিয়৷ পড়িল । পেটের জালায় লাকু ফেন মাথাইয়া তুন দিয়া ভাতগুলা গোগ্রাসে গিলিতেছিল ; টগরী ছেলের মাথার কুঞ্চিত কেশের উপর একবার হাত দিয়, একবার তাহার স্বগোল, হাত-পায়ের দিকে তাকাইয়। বলিল,-মাঝি, দ্যাথ, দ্যাথ, আমার সোনিয়ার হাত-পায়ের কেমন গড়ন ।..... দেপে লিস্, ই মাল্‌-কাটার সদ্ধার হবেক্‌ ৷ পিতার স্নেহ-কোমল দৃষ্টি লইয়। লাকু একবার পুত্রের হাস্তোজ্জল মুখের পানে তাকাইল, বলিল,—না টগরী, মাল কাটার যে কত কষ্টত তুই জানিস্ না। উয়াকে কয়ল। কাটুতে দিব নাই’...লেখাপড়া শিখাব,—দেখবি উ ಇಶಸrtäfäå ಸrtz Brāh | ... .. ಹೌH r೫ /ಾಗfar1 o!