পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇఎ8 SAASAASAASAASAASAASAASAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAS SSAS SSAS -- - *-* আপ্ত-বাক্যই যেখানে প্রধান প্রমাণ, প্রমাণের হেতুবাদটা যেখানে তেমন গণ্য করা হয় না, সেখানে জ্ঞানবিজ্ঞানের অবস্থায় দুটি লক্ষণ আমরা দেখি। প্রথমতঃ সে জ্ঞান-বিজ্ঞানে ফুঠিয় উঠে একটা স্থিতিশীলতার ভাব (static)-নূতন নূতন আবিষ্কার, প্রতিদিন নব নব রহস্তের উদঘাটন আর সম্ভব হয় না ; যে সত্য একবার পাইয়াছি তাহারই প্রয়োগে চৰ্ব্বিত চৰ্ব্বণে, তাহার যে-সকল উপসত্য এমন কি যে-সব সত্যাভাস তাহাদের মধ্যেই ঘুরিয়৷ ফিরিয়৷ চলি—অভিনব পথ একটা কাটিয়া আর সহজে বাহির হওয়া যায় না। দ্বিতীয়তঃ দেখি জ্ঞান-বিজ্ঞান সৰ্ব্বসাধারণে ছড়াইয়া পড়ে না, তাহ আবদ্ধ থাকে একটা বিশেষ শ্রেণীর বা সত্তেঘর মধ্যে গুপ্তবিদ্যারূপে—ফলে ক্রমে সেট লুপ্ত বিদ্যা হইয়া পড়ে। ভারতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ইতিহাসে কতটা যে এই রকম ঘটিয়াছিল, তাহার হিসাব প্রত্নতাত্বিকের দিতে পারিবেন । ইউরোপও তাহার মধ্য যুগে এই ধরণের অবস্থার ভিতর দিয়া আসিয়াছে— তখন সকল জ্ঞান-বিজ্ঞান ছিল অরিস্ততলের বাক্যের অনুবাদ টীকা ভাষ্য, আর জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চ। আবদ্ধ ছিল খষ্টীয় চর্চের যতীদের মধ্যে । কিন্তু ইউরোপের মনের উপর এই কালোপদ রেনাসেন্স আন্দোলন আসিয় এক ফুৎকারে উড়াইয়া দিল—ইউরোপ পাইল তাহার নিজের প্রকৃতি। ইউরোপে যেটা ছিল ব্যতিক্রম, ভারতবর্ষে দেখি সেইটাই ধেন নিয়ম । ইউরোপের স্বভাব এই যে ক্লোন সত্যকে বস্তু হিসাবে চিরন্তন সনাতন বলিয়া ধরিয়া থাকিতে পারে না। আমরা একটা সত্যকে পাইলে, তাহাকে অঁাকড়িয়া ধরিয়া রাখিতে চাই, তাহাকে প্রতিষ্ঠিত দেখিতে চাই যাবচ্চন্দ্রদিবাকরেী; ইউরোপ কিন্তু তাহাকে মানিয়া লয় আপাততঃ zfsfo SfL working hypothesis fFIL 1 (-1সত্যকে পাকাপাকি করিয়া লইবার ব্যস্তত ইউরোপের নাই ; সে আনন্দ পায় কেবল যেন experiment করিতে, সত্যকে নিত্য ভাঙ্গিতে চুরিতে, সে চাহিতেছে সত্যের রূপ নয়, কিন্তু সত্যের ভঙ্গীটি। গীতার বাক্য “কৰ্ম্মণোবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন” ভারত অপেক্ষা ইউরোপই ধেন সম্যক্ পালন ۔ ۔ --۔ -.۔ --یہ. -- حصے ہ পরিশ্ন আসিতেছে । আমাদেল লোভ প্রবাসী—আষাঢ় ১৩৩০ --عمیم- عمر هم [ ২৩ ভাগ, ১ম খণ্ড S AAAAAA AAAA AAAA AAAA AAASA SSASAS SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS ফলের দিকে, একটা ধরাবাধা সতের দিকে, একটা কিছু স্বম্পষ্ট বা নিরেট বস্তুর দিকে, যাহাকে ভর করিয়া চলা-ফেরা যায়—সে সত্য নিভুল হইলে ত কথাই নাই, নিভুল না হইলেও একেবারে বিষম প্রমাদ না হইলেই আমরা সেটিকে যথেষ্ট বলিয়া মানিয়া লই । বাহিরে হাজার pragmatic হইলেও ইউরোপের মন কিন্তু ঠিক সে ধরণের নয়, ফল সম্বন্ধে পরিণাম সম্বন্ধে নিত্য সত্য সম্বন্ধে, ইউরোপের মন সম্পূর্ণ খোল, ফলে পরিণামে নিত্য সত্যে কি করিয়া পৌছান যায় সেই মাঝের কথাটা, উপায়ের, কম্মের কথাটাই তাহার পক্ষে আসল । এই যেমন আমাদের তীর্থস্থান সব—fক দুর্গম দুরাসাদ্য স্থানে সে-সকল প্রতিষ্ঠিত— তীর্থস্থান আমরা করিয়াছি কিন্তু সেখানে পৌছিবার রাস্তাটা সম্বন্ধে আমরা একেবারে উদাসীন, রাস্তাটা কিছুই নয়, যেন তেন প্রকারেণ একবার লক্ষ্যে পৌছিলেই সব গোল চুকিয় গেল । ইউরোপের ধরণ কিন্তু অন্যরকম, সে দেখে আগে রাস্তাটা, দেখিয়া শুনিয় জরীপ করিয়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করিয়া আগে সে তৈয়ার করিয়| লয় পাক সড়ক--গতিবিধির স্থবিধ করিয়া লইয়া তবে সে শহরের গম্যস্থানের দিকে নজর দেয় । যে দিকে ভাল রাস্ত চলে না, সে দিক্ হইতে বরং সে শহর উঠাইয়া লষ্টবে, কিন্তু ভাল রাস্তা বিনা শহর বসাইবে না। জ্ঞানসম্বন্ধে, সত্য-সঙ্গন্ধেও তাহার সেই এক কথা—তাহাতে পৌছিবার রাস্তাট। বেশ অঁাটাবাধা কি, না সেখানে ঝম্প দিয়া পৌছিতে হয় ? যে জ্ঞানে যে সত্যে চলিবার নিবিড় নিরেট কার্য্যকারণ ধারা নাই বা দেখান হয় নাই, সে জ্ঞান সে সত্য যত বড় জ্ঞান যত বড় সত্য হউক না কেন--তাহ ব্রহ্মেরই হউক আর স্তম্বেরই হউক সে জ্ঞান সে সত্য ভারতের জ্ঞান ভারতের সত্য হইতে পারে, কিন্তু ইউরোপের জ্ঞান ইউরোপের সত্য নয় । শুধু অপরাবিদ্য৷ আধিভৌতিকের জ্ঞান নহে, এমন কি পরাবিদ্যা অধ্যাক্সের জ্ঞান—যেটা হইতেছে ভারতের প্রতিভার বিশেষ দান—সেখানেও পর্য্যন্ত ভারতের যে মনের ধারার কথা আমরা বলিলাম তাহার যথেষ্ট প্রমাণ দেখিতে পাওয়া যায় । ভারতীয় অধ্যাত্মবিদ্যার ভাণ্ডার যে উপনিষদ সমস্পানিষ্ট ষ্টভেঙ্গে উপলব্ধির ফল