পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা | লীলাভঙ্গী বুঝিবার জন্য, ঐ সম্বন্ধেরই লীলাভঙ্গী উদাহরণের মধ্যে স্পষ্ট করিয়া ধরিবার জন্যই সে বস্তুর আশ্রয় গ্রহণ করিতেছে । তবে ইউরোপীয় সায়ান্সের অথবা Scientific methodএর সঙ্কীর্ণত এইখানে যে সে জিনিষের সম্বন্ধের খোজ করে দেহেরই মধ্যে । স্কুল সম্বন্ধে সস্তুষ্ট না হইয়া যতই সে স্বক্ষ সম্বন্ধের খোজে চলিয়াছে ততই সে শুধু দেহকেই কাটিয়া কাটিয় দেহেরই অণু হইতে অণুর দিকে চলিয়াছে । নূতনতর নিবিড়তর সম্বন্ধ আবিষ্কারের জন্য সে যে-সব বস্তু নাড়িতেছে চাড়িতেছে তাহা সবই দেহাত্মক বস্তু । ছাড়াইয়া উঠিতে পারিতেছেও না, চাহিতেছেও না । সায়ান্সের দৃষ্টি চলিয়াছে বাহিরের দিকে, ভিতরের দিকে ডুবিতে ডুবিতেও তাই আবার ভাসিয়া উঠিয়া পড়িয়াছে। দেহকে কাটিয়া কাটিয়া সে এমন- একটা জায়গায় পৌঁছিয়াছে যে সেখান হইতে আরও চলিলে তাহাকে দেহাতিরিক্ত আর-একটু কিছু বস্তুজগতের মধ্যে যাইয়া - পড়িতে হয়—কিন্তু জড়মন লইয়া ইউরোপীয় সায়ান্স, সে ধাপ আর পার হইতে পারিতেছে না, দূর হইতেই সেই দেহাতিরিক্ত প্রতিষ্ঠানের লীলাখেলা অকুমানে ধরিতে চাহিতেছে, দৈহিক সত্যের ছাচে সেগুলিকে ঢালাই করিতেছে । জ্ঞানের পথে ইউরোপ চলিয়াছে দুইটি আলোকবৰ্ত্তিক। লইয়া—দুইটি বৃত্তির উপর নির্ভর করিয়া (১) স্থল ইন্দ্রিয় আর (২) তর্কবুদ্ধি। স্কুল ইন্দ্রিয় দিতেছে বস্তু বা facts আর তর্কবুদ্ধি দিতেছে বস্তুশৃঙ্খলার স্বত্র । কিন্তু স্কুল ইন্দ্রিয় যে বস্তুরাশি জ্ঞানগোচর করিয়া ধরে তাহা একদিকে সসীম সঙ্কীর্ণ, আর একদিকে কাট-কাট ছাড়া-ছাড়া । স্বভাবতই ও সহজেই তাই ইউরোপ সেগুলির শৃঙ্খলার কাৰ্য্য-কারণ সম্বন্ধের দিকে ঝেণক দিতে পারিয়াছে। ভারত বস্তুর শৃঙ্খলা-স্থত্রের, কাৰ্য্য-কারণ-পরম্পরার রহস্তের দিকে তেমন মনোযোগ দিতে পারে নাই, তাহার কারণ এই যে—জ্ঞানের জন্য সে এমন একটা বৃত্তিকে আশ্রয় করিয়াছে, যাহার সম্মুখে বস্তু অসংখ্য অজস্র ধারায় কেবলই ফুটিয়া উঠিয়াছে। এই নব নব বস্তু আবিষ্কারের \obr—r ইউরোপের বনাম ভারতের জ্ঞানপন্থ। SAeSAAAAAAS AAASASAAAAASA SSASAS SS SS এই দেহাত্মজ্ঞান ইউরোপীয় সায়ান্স, ՀsԳ S S A S A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SS SAAAAA S AAAAA AAAA AAAA S AAAAA SAAAAASA SAASAASSAAAAAASAAAA আনন্দে সে এত মজিয়া মত্ত হইয়া গিয়াছে যে অন্য দিকে তেমন দৃষ্টি দেওয়া তাহার পক্ষে ঘটিয়া উঠে নাই। পূর্বে আমরা বলিয়াছি ভারত জ্ঞানের পথে চলিয়াছে যেন কি একটা স্বক্ষ সহজাত অল্প ভবের প্রেরণায় -সেই কথাটাই একটু বিশদ করিয়! বলিলে আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট হইবে । একট। জিনিষ সকলেরই নজবে পড়িবে -পড়িয়াছেও —যে আমাদের দেশে সকল শাক্স—নিতান্ত আধিভৌতিক বিষয়ের শাস্ব পর্য্যন্ত -আধ্যাত্মিক শাস্থের অন্তর্ভুক্ত করিয়া দেওযা হইয়াছে, সকল বিদ্যাকে—অপর বিদ্যাকেও —ব্রহ্মবিদ্য বা পরা বিদ্যারই উপায় বা সোপান বলিয়৷ নির্দিষ্ট করা হইয়াছে। ন্যায়শাস্ত্রই বল আর জ্যোতিষশাস্ত্রই বল অথবা আয়ুৰ্ব্বিদ্যাই বল—তাহারা কি প্রকারে মোক্ষপ্রদ, এই ভণিত দিয়া সকলেরই ব্যাখ্যান স্বরু করা হয়। ইহার অর্থ এই যে কোন জ্ঞানকেই একান্ত লৌকিক ( secular ) দৃষ্টি দিয়া আমরা দেখি না । সকল জ্ঞানই আমরা লাভ করিতে চাই পার্থিব অকুভব দিয়া নয়, কিন্তু একটা অতীন্দ্রিয় আলোকের ব্যঞ্জনায়। পক্ষান্তরে দেখি ইউরোপ তাহার সায়ান্স কে ইন্দ্ৰিয়বদ্ধ ইহমুখী— যতদূর পারে secularই—করিয়া রাখিতে চায়। অতীন্দ্রিয়ের বা অধ্যাক্সের জগং হইতে বিজ্ঞানের জগৎ সে একেবারে আলাদা করিয়া তবে পরীক্ষণ-পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে চায় । তাহার মতে অতীন্দ্রিয়ের অধ্যাক্সের কোনরকম ভাবভঙ্গী বৈজ্ঞানিক অসুসন্ধানের মধ্যে আনিয়া ফেলা হইতেছে - ভেজাল দেওয়া, দুইটি বিভিন্ন রকমের বস্তুকে মিশাইয়া গোলমাল স্বষ্টি করা। ভারতের পথটি আমরা যে ধরণের বলিলাম, তাহার নিদর্শন দেখি আর-এক ব্যাপারের মধ্যে । ভারতের যাহারা জ্ঞানী তাহার। আবার সাধক অর্থাৎ তাহারা কেবল মস্তিষ্কেরই চালনা বা চর্চা করেন না, তাহারা জীবনকেও কোন না কোন রকম তপশ্চর্য্যা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত গঠিত করিতে চেষ্টা করেন। আমাদের দেশে যোগীঋষিরাই জ্ঞানী। আধিভৌতিক বিষয়েও যাহারা জ্ঞান দিয়াছেন, শাস্ত্র রচনা করিয়াছেন, র্তাহারাও ছিলেন যোগী ঋষি সাধক। আধুনিক কালেও দেখিতে পাই ভারতের