পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& δb SAMAMAAA AAAA AAAA SASAASAAAS প্রাচীন জ্ঞান লইয়। যাহার। আছেন, ভারভের প্রাচীন জ্ঞানের পথে যাহারা চলিতেছেন, সেই ব্রাহ্মণদিগের ( এবং কবিরাজদিগের ) মধ্যেই পূৰ্ব্বতন ধারার চিহ্ন কিছু বৰ্ত্তমান আছে। সেখানেও অন্তরের সাধনা বোধ হয লোপ পাইয়াছে, কিন্তু বাহিরের আচার ক্রিয়া এখনও তাহারাই বজায় রাগিয়া চলিয়াছেন ; এব" শ্রেণী হিসাবে এখনও বোধ হয় তাহণদেরই মধ্যে বেশী ও বিশেষ ভাবে পাই একটা শুদ্ধ সাত্ত্বিকতার আভাস । আমাদের জ্ঞানীরা ছিলেন আচারসম্পন্ন, ক্রিয়াবান নিষ্ঠাবান । তাছাদের মধ্যে র্যাঙ্গর আবার শ্রেষ্ঠ তাহার ছিলেন যোগী ও সাধক। তাই তাহার ছিলেন শুদ্ধসত্ত্ব অর্থাৎ তাহাদের আধার পৌত পরিষ্কৃত হইয়। উঠিয়াছিল, র্তাহীদের মনবুদ্ধি একটা প্রশাস্ত স্বচ্ছতায় ভরিঘ গিয়াছিল, তাই সেখানে দেখা দিয়াছিল একটা স্বক্ষতর বৃত্তি, বাহিক ইন্দ্রিয় বা যন্ত্রের সাহায্য বিনাও যাহা সহজে ও সোজাস্বজি ভাবে জিনিষের তথ্য নির্ণয় করিয় দিত । এই স্বাক্ষভর #fgh wigsaw at: oo Psychic perception —বাংলায় আমরা বলিতে পারি "তন্মাত্রিক অনুভূতি” অথবা শুধু স্বক্ষদৃষ্টি। ইহা অধ্যাত্মিক দিব্যদৃষ্টি নয়, ইহ। হইতেছে এক-রকম একাগ্র চেতন, তীক্ষ্ণ ধারাল মননশক্তি। এই রকমের একটা জিনিষ এখনও মাঝে মাঝে আমরা দেখিতে পাই মাহাদিগকে বলা হয় Prol gies ব। বালক জ্ঞানী ভাঙ্গাদের মধ্যে এমন শিশু বা বালকের কথা আমরা অনেক শুনিয়াছি সাহার অঙ্কশাস্ত্রে কোনরকম শিক্ষা ন পাইয়াও—এমন কি অপরিণত বুদ্ধি লইয়া ও —শুধু মূপে-মূপে বা মনে-মনে কঠিন এবং বৃহৎ অঙ্ক সব অবলীলাক্রমে কমিয়া দিয়াছে। তাহারা অঙ্কের ফলট। অল্প সময়ের মধ্যে হুবহু ঠিক বলিয় দিতে পারে—কিন্তু প্রণালীর বেলায় চলে একটা অভিনব সংক্ষিপ্ত পথ পরিয়া। witHi Sizzo psychic perception as fossifs, আমাদের জ্ঞানীরা জ্ঞানের জন্য যে পথে চলিতেন তাহারও ধরণ কতকটা ঐ রকমেরই ছিল । র্তাহীদের অনুভূতি সোজাস্বজি, যেন তড়িৎ-বেগে, জ্ঞানের ফলের দিকে ধাইয়া চলিত ; এই চলার একটা বিশেষ ہے - یے ۔۔ م ۔ --م.--------۔ --م۔ & - उभांशां, > SOS) e SSASAS AAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AA AASASSAAAAAAS AAAAA AAAAJAJAAAS AAAAA AAAA AAAAA ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড ধারা ( process) থাকিত সন্দেহ নাই, কিন্তু সেটা থাকিত wysta sa statą Ts (concentrated and involved ) । তাই সেপানে জোরটা পড়িত ফলের বা বস্থর উপর, প্রণালীর বা চলনের উপর নয়। আমরা এমন কথা বলিতেছি ন! মে আমাদের প্রাচীন জ্ঞানীর সব জ্ঞানই আহরণ করিতেন এই সূক্ষ্ম অন্তভূতির সাহায্যে। আধিভৌতিক অর্থাং বৈজ্ঞানিক বিষয়েও এই বৃত্তিটির আশ্রয় তাহারা লইতেন বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে হাতে-কলমেও পরীক্ষণ পরীক্ষাদি ( observation and experiment ) নে করিতেন ন| তাহ নয় । এ বিষয়েও র্তাহাদের যথেষ্ট কতিত্ব ছিল । তবে আমাদের বক্তব্য এই যে স্বক্ষ অনুভূতির ধারা ও ধৰ্ম্ম তাহাদের মনের উপর এমন একটা ছাপ দিয়া গিয়াছিল যে হাতে-কলমের স্থল ক্ষেত্রেও তাহারা সেই ধারায় ও সেই ধৰ্ম্মে অল্পপ্রাণিত হইয় চলিতেন। এ-ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পথেও তাই তাহাদের দৃষ্টি ফলের উপর যতখানি গিয়া পড়িয়াছে, সেই ফলট যে আসিল কেমন করিয় তাহার প্রণালীর উপর ততখানি পড়ে নাই । তাই তাহণদের সিদ্ধি দেখিয়া আমরা চমকিত হইয়া পড়ি, কারণ সাধনার ধারার রহস্যটি তাহারা একেবারে লুকাইয। রাখিয়াছেন, লোপ করিয়া দিয়াছেন । ইউরোপীয় বৈজ্ঞানিক পন্থা হইতে ভারতের এইটুকু শিথিবীর, আয়ত্ত করিবার আছে । ইউরোপের বিজ্ঞানের মত জড়মুখী ইন্দ্রিয়াবলম্বী হইয়। ভারতের কোন লাভ নাই। ভারতের সেই প্রাচীন স্বল্প অনুভূতি সজাগ রাখিতে হইবে—কিন্তু তাহার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করিতে ইষ্টবে ইউরোপীয় বিজ্ঞানের সেই কাৰ্য্য-কারণ-পরম্পরা ধরিবার-প্রকট করিবার—প্রতিভা । বৈদিক ঋষিগণ যাহাকে ঋতম্ বলিতেন অর্থাং জিনিষের নামরূপ নয়, এমন কি তাহার সত্যটিও নয়, কিন্তু নামরূপের পিছনে সে সত্যের যে সত্য ছন্দ, যে নিবিড় গতিভঙ্গী তাহাকে বিশ্বলীলার মধ্যে বিধুত করিয়া রাখিয়াছে সেইখানেই রহিয়াছে সকল উত্তম রহস্য । এই দিব্য ছন্দতত্ত্ব অধিকার করিতে হইলে চাই ভারতের অস্তদৃষ্টি আর সেই অন্তদৃষ্টির মধ্যে চাই ইউরোপের বৈজ্ঞানিক ভঙ্গী। শ্ৰী নলিনীকান্ত গুপ্ত