পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ও অর্ধনিমীলিত নয়নে এমন এক মন্দর স্নিগ্ধ ভাব যে দেখিলে নয়ন মন তৃপ্ত হয়। মুখটি স্বর্ণপ্রতিমতাম্র-নিৰ্ম্মিত ; অবশিষ্ট দেহ বোধ হয় মাটীর । চারিদিকে নাগ-নাগিনীরা করযোড়ে উপাসনা করিতেছে। সন্ন্যাসী বলিলেন যে ইনিই আদি বদরী । দেওয়ালের গায়ে বিচিত্র ছবি, তাহাতে ভারতীয় শিল্পেরই বিশেষ প্রভাব লক্ষিত হয় । তার পর আর-একটি কক্ষে প্রবেশ করিলাম । এখানে মধ্যে চতুমুখ ব্ৰহ্মা ও চারিদিকে অন্যান্য দেব-দেবীর মূৰ্ত্তি দেখা গেল। মৃন্ময়-মূৰ্ত্তি বটে, কিন্তু বড় ভাগীরথী ও অলকানন্দীর সঙ্গমস্থলে দেব-প্রয়াগো ঝিল স্বন্দর কাজ। এই কক্ষের চারিপারে ছোট ছোট ধর । সেগুলিতে আরও অনেক দেবমূৰ্ত্তি আছে। এখানে বীণাপাণির এক চমৎকার বিগ্রহ নয়নগোচর হইল । র্তাহার পার্শ্বে বনমালা-গলে সম্ভবতঃ শ্ৰীকৃষ্ণের প্রতিমূৰ্ত্তি । দুই একটি বঙ্গপাণি মূৰ্ত্তিও দেখা গেল—সবই মনোরম ও স্বত্র। এইসকল কক্ষের প্রাচীর-গাত্রেও নিপুণ তুলিকায় আঁকা ছবি আছে । একটি বোধ হইল রাধিক ও পশ্চিম তিব্বতে ૭g૧ দেব-প্রয়াগ, (মন্দাকিনীর ও অলকনন্দীর সঙ্গমস্থলে ) গোপীদের লীল । অজস্তার ‘আর্টে’র সহিত এ-সকল চিত্রের বিশেষ সাদৃশু দেখিয়া আমরা বিস্মত হইলাম। আজ পয্যন্ত যত তিব্বতী গুম্ফায় ( monasলাসা-শিল্পীর অঙ্কিত চিত্র দেখিয়াছিলাম তাহাতে চীনের প্রভাব বেশ লক্ষিত হইত। থোলিঙ্গে কিন্তু ভারতীয় প্রভাবই বেশী । কবে ও কিরূপে এই দুৰ্গম স্থানে ভারতীয় উচ্চ শিল্পের আবিভাব হইয়াছিল বোধ হয় সে তথ্য আর জানিবার উপায় নাই ! মন্দিরের পরিক্রম৷ অতিক্রম করিয়া অনেকুগুলি ছোট ছোট কক্ষ । সেগুলিতে ক্ষুদ্র ক্ষুত্র, পিতল ও তাম্রনিৰ্ম্মিত অনেক বৌদ্ধ ও হিন্দু দেব-দেবীর মূৰ্ত্তি। কতকগুলি জৈন বলিয়। বোধ হইল । বাস্তবিক বৌদ্ধ, হিন্দু ও বোধ হয় জৈন ধৰ্ম্মের এরূপ অদ্ভুত সমাবেশ অন্য কোথা ও নাই । এই কক্ষগুলিতে অনেক প্রাচীন পুথির পাতা ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত দেখা গেল। এইখানকার তিববতী লামার নিতান্তই অলস, কারণ অন্যান্য গুম্ফাতে পুথি সকল কাঠে বাধাইয়া অক্তি tery )