পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

84 Qe প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৭ [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড AeBAAASAAAAS SAAAAAA SAAAAA AAAA M S MeA SAAA AAAAA به جه. به عه «عه همه ۳ سه هایی ه-سمیه AMAMAMMMS SSSSSSS SSAAAAAAS AAAAASJM MM SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS MMM MS MS উপরি উক্ত আদেশ অনুসারে বিচারের আয়োজন হইলে আমি সৈন্যগণ, অধ্যাপকমণ্ডলী ও আদালতের কৰ্ম্মচারীবৃন্দ সমভিব্যাহারে নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হইয়া ফরিয়াদিকে নিরস্ত করিবার জন্য তাহাকে বলিলাম, ‘যদি আসামীর হস্ত দগ্ধ না হয় তাহা হইলে তোমার কারাদণ্ড হুইবে,” কিন্তু সে ব্যক্তি ঐক্কপ ভঃপ্রদর্শনে ভীত না হইয়া প্রার্থিত উপায় অবলম্বন করিতে পুনঃ পুনঃ ইচ্ছা প্রকাশ করিতে লাগিল। তখন তাহার প্রার্থনা মঞ্জুর করিতে বাধ্য হইলাম । অনন্তর পণ্ডিতগণ দেবদেবীর পুজা সাঙ্গ করিয়া অগ্নিতে ঘৃতাহুতি প্রদান করিলেন । তৎপরে গোময় দ্বারা মৃত্তিকার উপরিভাগে নয়টি বৃত্ত অঙ্কিত করা হইলে, আসামীকে গঙ্গা-স্নান করাইয়া সিক্তবস্ত্রেই আনয়ন করা হইল। পাছে কোনরূপ প্রতারণা করে এই আশঙ্কায় তাহার হস্ত দুইখানি পরিষ্কার জলে ধৌত করিয়া একখানি তালপত্রে শাস্ত্রোক্ত মন্ত্র সহ অভিযোগের বিবরণ লিখিয়া তাহার মস্তকে বধিয়া দেওয়া হইল। অনন্তর পণ্ডিতগণ ৭টি পিপল-পত্র, ৭টি দূৰ্ব্বাদল ও কয়েকটি পুষ্প এবং কয়েকটি যব দধিতে ভিজাইয়া ৭টি সাদ| স্বতীয় বাধিয়া আসামীর হস্তদ্বয়ের মধ্যে রাগিয়া দিলেন। তখন একটি লৌহ-বৰ্জুল প্ৰজলিত অগ্নিকুণ্ডে লাল করা হইলে উহা একটি চিমটার দ্বারা ধরিয়৷ সেই হস্তদ্বয়ের মধ্যে স্থাপিত হইল। আসামী বস্তুলটি হস্তে ধারণপূৰ্ব্বক গোময়-অঙ্কিত নয়টি বৃত্তের মধ্যে সাতটি পার হইয়া আসিয়া নবম বৃত্তের মধ্যে উহা নিক্ষেপ কুরিল । উক্ত ৭টি বুন্ত উত্তীর্ণ হইতে আসামীর ৩০ গজ পরিমিত স্থান পদচারণ করিতে হইয়াছিল। তখন পরীক্ষা দ্বারা দুষ্ট হইল যে তাহার হস্তদ্বয়ের কোন স্থলে অগ্নি স্পর্শ করে নাই । পরীক্ষণস্থলে সৰ্ব্বসমেত অম্বুমান পাঁচশত লোক উপস্থিত ছিল । আসামীর হস্ত দগ্ধ হইল না দেখিয়া সকলেই বিস্মিত হইল। আমিও স্তম্ভিত হইলাম। কিন্তু ভাবিলাম হয় ত আসামীর হস্তে কয়েকটি বৃক্ষপত্র ও অন্যান্য পদার্থ থাকা প্রযুক্ত অগ্নির উত্তাপ লাগে নাই। তদ্ভিন্ন আসামী বর্ভুলটি হস্তে ধরিয়া অতি অল্পক্ষণ পরেই উহা ফেলিয়া দিয়াছিল। সে যাহা হউক, হিন্দু ধৰ্ম্মশাস্ত্র উহাব অন্য কারণ নির্দেশ করিয়াছে । হিন্দুশাস্ত্র বলে, এবং পণ্ডিতেরাও বলিয়া থাকেন, যে, যে-ব্যক্তি সত্যকথা বলে তাহার হস্ত অগ্নিতে দগ্ধ হয় না । আসামীর হস্ত দগ্ধ হয় নাই তাহা আমি স্বচক্ষে দেখিয়াছিলাম। আমি একা নহি । সেখানে যে-সকল ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন, তাহারাও দেখিয়াছিলেন। বিচারের ফলে, আসামীর হস্ত দগ্ধ না হওয়ায় তাহাকে অব্যাহতি দেওয়া হইল। ভবিষ্যতে অপর কোন ব্যক্তি এরূপ বিচারের প্রার্থনা না করিতে পারে এইজন্য ফরিয়াদির প্রতি এক সপ্তাহ কারাবাসের আদেশ দিতে বাধ্য হইলাম। আমার বিশ্বাস যে যাহারা দশন-বিজ্ঞানে অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছেন তাহারাই বলিতে পারেন, অগ্নিতে কোন কোন ব্যক্তির হস্ত দগ্ধ হয় এবং কাহারও কাহারও বা দগ্ধ হয় না কেন ? "উত্তপ্ত-ভৈল-পরীক্ষা নিম্নলিখিত প্রকারে হুইয়া থাকে। পরীক্ষার নির্দিষ্ট স্থানটি পরিষ্কার করিয়া তাহাতে গোময় লেপন করা হইলে, পরদিবস স্বৰ্য্যোদয় কালে পণ্ডিতগণ গণেশাদি দেবতার পূজা করিয়া মন্ত্র উচ্চারণপূর্বক একখানি স্বর্ণ-রৌপ্য-তাম্র-লৌহ অথবা মৃত্তিকা-নিৰ্ম্মিত পাত্রে একসের স্কৃত বা তৈল ঢালিয়া অগ্নিতে উত্তপ্ত করেন, তৎপরে একটি বিল্ব অথবা পিপল পত্র তন্মধ্যে নিক্ষেপ করিয়া যদি দেখা যায় যে পত্রটি পুড়িয়া গিয়াছে তাহা হইলে সেই উত্তপ্ত তৈলে একটি স্বর্ণ-রৌপ্য- তাম্র অথব লৌহনিৰ্ম্মিত অঙ্গুরীয় ফেলিয়া উঠা মন্ত্রপূত করা হয় । তথন অভিযুক্ত ব্যক্তি সেই অঙ্গুরীয়টিকে হস্ত দ্বারা উত্তোলন করে ঘদি তাহাতে তাহার হস্ত দগ্ধ না হয়, তাহ হইলে সে নির্দোষী সাব্যস্ত হয় । হস্ত দগ্ধ হইলে সে ব্যক্তি অপরাধী বিবেচিত হয়। কৃষীশ্বর ভট্ট নামক জনৈক ব্রাহ্মণ রামদয়াল নামক জনৈক চিত্রকরের নামে চৌর্য্য-অপরাধের অভিযোগ করিয়াছিল। তদুত্তরে রামদয়াল বলিয়াছিল, “আমি নির্দোষী ।” তখন কিরূপে অভিযোগের সত্যাসত্য নিৰ্দ্ধারিত হইবে তৎসম্বন্ধে বিস্তর তর্ক-বিতর্ক হইয়া পরিশেষে এইরূপ স্থির হইল যে তৈল-পরীক্ষার দ্বারা মোকদ্দমার বিচার হুইবে । আমি পক্ষদ্বয়কে নিরস্ত করিবার নিমিত্ত বিস্তর প্রয়াস পাইলাম। কিন্তু কৃতকাৰ্য্য হইতে না পারিয়া উত্তপ্ত তৈলের সাহায্যে বিচার হওয়ার অনুমতি দিতে বাধ্য হইলাম। বিচার-কালে যে-সমস্ত পণ্ডিত উপস্থিত থাকিয়া