পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] বললেন—ম, তুমি তোমার দাদার খাবার করে নিয়ে এস তোমার মাকে বলে’ । ভদ্রা নিষ্কৃতি পেয়ে ঘর হতে চলে গেল। যুথিকাও সঙ্গে গেল । তারা চলে যেতেই রমেশ-বাৰু বালকটিকে কোলের কাছে টেনে নিয়ে আমায় বললেন—বাবা, তোমাকে আমার এই ছেলেটির পড়া-শোনার ভার নিতে হ’বে। আর তোমায় এইখানেই থাকতে হবে, নইলে অজিতকে দেখাশোনা ভাল হবে না । তোমার চাকরি যেমন কবৃছ তেমুনি করবে।—বলে’ জিজ্ঞাস্ব দৃষ্টিতে আমার দিকে চাইলেন। তিনি বে ধ হয় বুঝতে পেরেছিলেন যে আমায় শুধু থাকৃতে বললে বোধ হয় নাও রাজী হ’তে পারি, তাই এই ছেলে-পড়াবার অছিলায় আমায় বাড়ীতে রাখতে চান । আমার মন তার বিরুদ্ধে দাড়াতে চাইল না। তবু মুখে বললাম—জেঠামশায়, আমার সঙ্গে ত ফু মিনিটের পরিচয়, আপনি ত জানেন না আমি কি চরিত্রের লোক । আমায় চটু করে" ছেলে-পড়ানর ভার দিয়ে বাড়ীতে রাখাটা কি ঠিক হবে ? তিনি হো হো করে হেসে উঠলেন, বললেন-পাগল আর কি ! লোক চিনতে কি আর দ্ব’ দশ বছর যায় রে বাব, দু মিনিটেই চিনতে পারা যায়। এই বুড়ে বয়সেও যদি লোক একবার দেখেই না চিনতে পারবো তবে এই মরণের দোরে এসে দাড়ানই যে মিথ্যে —বলেই তেমনি করে আবার হাস্তে লাগলেন। আমার আর প্রতিবাদ করবার ক্ষমতা রইল না। আবার কি একটা সম্বমে আমার মনটা ভরে উঠল। ভাববার পর্য্যন্তু সময় পেলাম না যে, সেখানে থাকা ভাল কি মন্দ । ( R ) তার পর প্রাম দু' বছর পরের ঘটনা বলছি। এই দু’ বছরে আমার জীবনটা এই পরিবারের স্থখদুঃখের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে গেছে যে তাকে ছাড়াবার চেষ্টা করেও কোনো ফল পাই নি। আমি এখন এই পরিবারের একজন হ’য়ে পড়েছি । আমার সকল সঙ্কোচ লজ্জা স্বরের রেশ MAMAMAMeAMAeMMMeeAMMMeMM MMA MMS MMS MMS MMeMAe MMM MMAeMMAMMeMMeMAeMeMMMeeAAA AAAA AAAAMA AeMMAM MAMAeeAMA AMMeMAMAMeAAMAMMAMAAAS ৪৭১ কাটিয়ে এই পরিবারের দলভুক্ত হতে আমাকে বিশেষ বেগ পেতে হয়েছিল । ভদ্র। আর যুথিকা এখন বেশ নিঃসঙ্কোচে আমার সঙ্গে মেশে। এতে কেউ কোনো আপত্তি করেন না। কেবল রমেশ-বাবুর স্ত্রী মধ্যে মধ্যে আপত্তি করেন যুথিকাকে মিশ তে দিত্তে— অবশু সেটা আমার আড়ালে। তারাও আমার কাছে মধ্যে মধ্যে পড়া বলে' নেয়। আমারও আর তাদের কাছে কোনো সঙ্কোচ নেই। ভদ্রা আর যুথিকা দু জনে ছিল ঠিক উন্টে। ভদ্রার তরুণ দেহের উপর যৌবন যেন স্বথের আবেশে ঢলে’ পড়েছে—তার সৰ্ব্বাঙ্গ জড়িয়ে ধরে' যেন তার উচ্ছ্বসিত লীলার তরঙ্গ তুলে খেলা করে বেড়াচ্ছে। অথচ সে স্থির ধীর। একটু ছিপুছিপে গড়ন। আর যুথিকা ছিল চঞ্চল সদা-হাস্যময়ী । যৌবন তাকে ছুই-ছুই করেও যেন নাগাল ধরতে পারছিল না। - রমেশ-বাবুর স্ত্রী ছিলেন র্তার স্বামীর ঠিক উণ্টে । রমেশ-বাবু যেমন সম্পূর্ণ একেলে লোক, তার স্ত্রী ঠিক তেমনি সেকেলে ধরণের। এইজন্যে এদের দুজনের ঠিক খাপূ খেত না, প্রায়ই মতের অমিল হ’ত-বিশেষতঃ যুথিকাকে নিয়ে। রমেশ-বাবু চাইতেন যে যুথিকাও ঠিক ভদ্রার মত অবাধে সকলের সঙ্গে মিশুক, কোনো রকমেই সে যেন বুঝতে ন পারে যে সে বিধবা আর সে অন্ত সকলের থেকে কোনো রকমে স্বতন্ত্র । রমেশ-বাবুর স্ত্রী চাইতেন যুথিকাকে সব অধিকার হতে বঞ্চিত করে' ব্রহ্মচারিণী করতে। তাতে যে তিনি নিজে মনে মনে কষ্ট অনুভব কবৃতেন না তা আমি মনে করি না। কষ্ট বোধ করলেও তিনি কৰ্ত্তব্যের খাতিরে তাকে সকল রকম বিলাস-বাসনা থেকে দূরে রাখতে চাইতেন। এর জন্যে প্রায়ই র্তার রমেশ-বাবু ও ভদ্রার সঙ্গে মন-কযকফি হত। ভদ্রা ছিল তার বাপের মত। সে সৰ সময়েই যুথিকাকে নিজের কাছে কাছে রাখত। যেখানে যেত বা ষা করত সব তাতেই তাকে সঙ্গী কবুত। কোনো রকমে এদের সামলাতে না পেরে রমেশ-বাবুর স্ত্রীর মেজাজটা কেমন খিটুধিটে হ’য়ে পড়েছিল। মানুষের মন সরল-শাস্ত-ভাবে চলতে চলতে যখনই