পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Ե օ ఇ^^^^ মধ্যেও একটা হর্ষের উচ্ছ্বাস তুলে দিত। একটা গজানিত কিসের ধাক্কায় আমাকে যেন তায় মনের কি একটা গোপন কথা বরাবরই জানাতে চেয়েছে। কি একটা কথার আভাস তার ঠোঁটের ভিতর পুপিত হয়েই ফোটবার আগেই ঝরে পড়েছে। হঠাৎ মনে হ’ল সে কি আমাকে ভালবাসে ? সে কি আমাকেই তার অন্তরের সকল ভালবাসা দান করে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চায়। কই এত দিন ত এসব কথা তলিয়ে বুঝতে চেষ্টা করিনি। আজ তার প্রতিদিনকার প্রত্যেক খুঁটিনাটি বিষয় বেশ পরিস্ফুট হ’য়ে আমার কাছে তার ভালবাসার নিদর্শন ফুটিয়ে তুললে। আমার মনের কোন অজানা স্তরে কি একটা বেদন কাটার মত খচখচ করতে লাগল। তার প্রতিদিনকার প্রত্যেক তুচ্ছ বিষয় দিয়েও ত সে জানিয়ে দিতে চেয়েছে যে সে ভালবাসে-আমাকে ভালবাসে । কিন্তু আমি কি তাকে ভালবাসি ? বাসি বই কি ; না বলে অস্বীকার করবার উপায় ত নেই। অস্বীকার কবুলে ষে নিজেকে নিজের কাছে ঘৃণ্য ছোট করা হয়, ছলনা করা হয়। এর জাগে এ-সব কথা মনেও হয়নি—আর মনে করবার সময়ই পেয়েছিলাম কোথায় । কিন্তু আমার কি উচিত, যে নারী তার হৃদয়ের বুভূক্ষ মেটাবার আবেগের বিরুদ্ধে নিজেই নিজের সঙ্গে সৰ্ব্বদা দ্বন্দ্বে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছেতার সাম্নে এসে দাড়ানো। যে তার জীবনের কামনাকে কণ্ঠরোধ করে চেপে মারতে চায় আমার কিউচিত তার সেই কামনাকে জারে দৃপ্ত উত্তেজিত করা। তার কি দোষ। লতা যেমন অবলম্বন ভিন্ন থাকৃতে পারে না—যখনি সে একটু বড় হয় তখনি সে তার মুখ বাড়িয়ে অবলম্বন খুঁজতে থাকে, প্রথমেই সামনে যে অবলম্বন পায় তাকেই নিৰ্ভয়ে জড়িয়ে ধরে বাড়তে থাকে, নারীর স্বভাবও ঠিক সেই রকম। সে যখন অবলম্বন খুজে বেড়ায় তখন তার সামনে যে এসে পড়ে তাকেই তার অবলম্বন-রূপে নির্ভাবনায় আপনার নির্ভর कृब्रि । জামারি ত দোষ । আমি কেন তার বুভুক্ষিত খোলা দোরের কাছে এসে দাড়িয়েছি— ^^్క*^^^^^^^ ‘প্রবাণী—শ্রোবণ, 9లిe

  • A^^

[ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড هجایی تحصیه حجیمی حیعی যদি না তার দানের প্রতিদান করতে পারব । সমস্ত ভাবনাগুলো একসঙ্গে তাল পাকিয়ে ঘুলিয়ে ধোয়ার মত হয়ে আমার চোখের সাম্নে ভেসে বেড়াতে লাগল। আগ্নেয়গিরির অতল তলে তরল অগ্নি-স্রোত বইতে থাকে, কেউ তার ভীষণত ধারণা করতে পারে না। তার পর হঠাৎ একদিন সেই অগ্নিস্রোত ভীষণ দৈত্যের আকার ধারণ করে সকলকে ধ্বংস করতে উদ্যত হয় । আৰও সেই রকম একটা প্রবল অগ্নির উচ্ছ্বাস আমাদের দগ্ধ করতে উদ্যত হয়েছে। সেদিন কি জানি কেন খুব ভোরেই ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। তখনো বাড়ীর আর কেউ ওঠে নি। দোর খুলে বাইরে আসতেই যুলকার উপর চোখ পড়ল। আমার দোরের কাছে দাড়িয়ে সদ্যস্নাত যুথিকা যেন আমারই প্রতীক্ষায়। দোর খুলে বাইরে আসতেই যুথিকা আমার পায়ের কাছে এসে প্রণাম করে দাঁড়াল। আমার মুখের দিকে তৃপ্তির হাসিভর দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললে—আজ আমার জন্মদিন। কি বলে আশীৰ্ব্বাদ করবেন বলুন ত ?—বস্তে বলতেই তার সেই হাসি ঠোঁটের মধ্যেই হারিয়ে গেল মরুভূমির ভিতর হারিয়ে-যাওয়ু নদীর মত। সে চোখ নমিত করে কোনো উত্তরের প্রতীক্ষণ না করেই চলে’ গেল । আমার চোখ সজল হয়ে উঠল। সে কি আমাকে স্বেচ্ছায় প্রথম প্রণাম করে” জানিয়ে দিয়ে গেল তার নারীত্বের শ্রেষ্ঠত্ব ও আমার অপৌরুষের হীনতা। নারী তার হৃদয়ের সকল অশ্র ও বেদনাকে এক করে আমায় ডালি দিতে আসছে, আমি কিন্তু এমুনি হতভাগ্য যে তার সেই দুঃখের ডালিও সাদরে গ্রহণ করবার ক্ষমতা—এমন কি মনুষ্যত্বটুকুও আমার নেই। আমি মূঢ়ের মত সেইখানে দাড়িয়ে রইলাম । এই ঘটনার দিন চারেক পরে একদিন সকাল বেলা রমেশ-বাৰু আমাকে ডেকে বললেন—বাবা, তোমায় একবার স্বর্ঘ্য ডাক্তারের কাছে যেতে হবে যুর্থীর বড় জর। আজ ছুদিন জর একেবারেই ছাড়েনি। কেমন বেইস হয়ে পড়ে' আছে, ভুল বকৃছে জার যেন কাকে খুঁজছে।