পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] SAASAASAASAASAASAASAA AAAS মনটা কেমন চম্কে উঠল । তা৯াতাড়ি ডাক্তারের বাড়ী-চলে’ গেলাম। ডাক্তার পরীক্ষা করে’ বলে গেলেন ডবল নিউমোনিয়া, জীবনের আশা কম । কল থেকে রস-বের-করা আকের ছিবড়ের মতই আমার মন থেকে কে যেন মুষড়ে তার সকল রস নিঙড়ে বের করে একেবারে শুষ্ক করে দিলে। সে কি তার জীবনযুদ্ধে এই রকম করে’ই আমাকে পেছনে ফেলে’ জয়ী হ’য়ে যাবে। তাকে বলবার ত কিছুই নেই। যুদ্ধে শক্রকে নিষ্পেষিত করাই ত হচ্ছে জয়ীর কাজ। সে ত তখন মনে এতটুকুও দয়া স্থান দেয় না। কিন্তু তা’ হ’লেও সেই হচ্ছে মহৎ যে পরাজিতকেও ক্ষমা করে । জীবনে সে অনেক কষ্ট দুঃখ পেয়েছে বলেই কি সে ক্ষমা করুণ। সব ভুলে গেছে। সেইজন্যেই কি আমার জীবনটাকে এই রকম করে দলি হ্র-মথিত করে’ দিতে চলেছে। ভাবতে ভাবতে সব পেই হারিয়ে গেল । এমন সময় অজিত এসে বললে—ম আপনাকে ভিতরে ডাকৃছেন । দিদি আপনাকে বড় খুজছে। আমি তার সঙ্গে ভিতরে যে ঘরে যুথিকা শুয়ে ছিল সেই ঘরে আসতেই রমেশ-বাবুর স্ত্রী আমাকে সেইখানে বসতে বলে’ ঘর হ’তে বেরিয়ে গেলেন । তিনি ও বেীপ হয় সব বুঝতে পেরেছিলেন বলে এই শেষ সময়ে আর কোনো রকম বাধা দিলেন না, বরং স্থযোগ দিয়ে গেলেন আমাদের একৃলা থাকৃতে । . আমি গিয়ে তার বিছনার উপর বসে আন্তে আস্তে তার ক্ষীণ স্পন্দিত হতেখানি আমার হাতের মধ্যে তুলে নিলাম। তার হাতটা আমার মুঠোর ভিতর একটু কেঁপে উঠল । সঙ্গে সঙ্গে সে চোখ মেলে’ চাইলে । দু’ ফোটা অশ্র শীর্ণ পাওর গালের উপর দিয়ে গড়িয়ে পড়ল, যেন কি বলতে চাইলে । সে আস্তে আস্তে আমার হাতটা তার বুকের উপর চেপে ধরলে তার শক্তি অনুযায়ী খুব জোরে, যেন কোনো পরম-আকাঙ্ক্ষিত বস্তু বহু আরাধনার পর পেয়েছে এমনিভাবে আমার হাতটাকে সে বুকের, সঙ্গে চেপে ধরে রাখলে, কিছু বলতে পারলে না। আমারও চোখের জল ছাড়া আর কিছু দিয়ে তাকে সাত্বনা দেবার ছিল না। ఆ) স্বরের রেশ 8ե 2 AMAMAMAMAMAAAS সেইদিন থেকেই তার কাছে থাকৃতে আর কেউ অমত কবুলেন না। আমিও আমার সকল ক্ষমতাকে এক করে’, তার সেবা করতে লাগ লাম। কিন্তু কিছুতেই কিছু হ’ল না, অক্লাস্ত পরিশ্রম করেও তাকে কিছুতেই ভালর দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারা গেল না । সেদিন তার অস্বগটা খুব বেড়ে উঠেছিল। আমি পাশে বসে ছিলাম। রমেশবাবু ও তার স্ত্রীও একটু দূরে বসে’ ছিলেন, কখন কি হয় এই প্রতীক্ষায় । হঠাৎ যুথিক ধড়মড়িয়ে জোর করে’ উঠে বসে’ আমার গলাটা জড়িয়ে ধরলে, এবং ক্লান্ত হ’য়ে অসাড়ভাবে আমার বুকের ভিতর মাথাটা গুজে চোখ বুজে রইল। আমি কোনো বাধ দিলাম না । পৰ্ব্বতগাত্রনিঃস্থত ক্ষুদ্র স্রোতস্বিনী নিজের আবেগে ঐকে বেঁকে চলতে চলতে হঠাৎ কোনো এক অন্ধকার পৰ্ব্বতগুহায় নিজেকে হারিয়ে ফেলে ; তখন ব্যর্থতার ক্রুদ্ধ অভিমানে ফুলতে ফুলতে হঠাৎ একদিকে পথ পেয়ে নিজেকে মুক্ত করে’ উচ্ছসিত তরঙ্গলীল ভঙ্গীতে কলনাদে পাথরের উপর আছড়ে খেতে গেতে কোন অজানা প্রিয়ের উদ্দেশে চলতে থাকে ; শেষকালে একদিন তার সেই প্রিয়ভ মের সঙ্গে নিজেকে ওতপ্রোতভাবে মিশিয়ে দিয়ে আর তার মধ্যে নিজের কোনো অস্তিত্ব খুজে পায় না, সে তখন তার সেই প্রিয়ময় হয়ে পড়ে। . যুথিকার অবস্থাও এখন ঠিক সেই রকম । তার প্রতি নিশ্বাসের সঙ্গে তার দেহের প্রতি অণু পরমাণু আমার দেহের সঙ্গে মিশে কি এক অজানিত শিহরণ জাগিয়ে তুলতে লাগ ল । হঠাৎ সে বুক থেকে মাথা তুলে আমার মুখের দিকে কি এক আকুল চাহনি ফেলে’ সোজা হ’য়ে বস্ল, যেন তার কোনো অমৃথই হয়নি। কিসের জোরে যে সে সোজা হ’য়ে বসেছিল তা সেই জানে। খানিক এই রকম করে? কাটুবার পর তার মুখের ভাব যেন বদলে গেল। হঠাৎ মাথার কাছে রাখা একটি ঔষধের শিশি তুলে নিয়ে আমার দিকে সজোরে ছুড়ে দিলে। সেটা এসে আমার বুকের উপর লেগে ঝনঝন করে ভেঙে থানিকটা রক্ত বের করে দিয়ে মেঝের উপর পড়ে ছড়িয়ে গেল। সঙ্গে