পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] গোয়ালিয়র দুর্গ 8b-Գ حميميجمعايير মহলে পদচারণ করিতে করিতে সহসা , গোয়ালিয়রের মসজিদ--অউরঙ্গজেবেব সময়ে মোতমিদৃ গ৷ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত দুর্গে মাত্র দুইটি তাল বা পুষ্করিণী—“স্থরজকুণ্ড' ’গঙ্গোলতাল’—দেখিয়া সম্রাট দুর্গের বাহিরে অনেকগুলি তাল ও কূপ খনন কুরিয়া স্থানটি অতি মুরক্ষিত করিবার জন্য চতুদিকে উচ্চ প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত করিয়া দিলেন ; ভবিষ্যতে যুদ্ধের সময় যাহাতে কখনও জলাভাব না ঘটে। এই উদ্দেশ্বে তিনি ঐসব জলাশয় করাইয়াছিলেন। বৰ্ত্তমান সময়ের উরবাহি দরজা ও উচ্চ প্রাচীর তাহারই রাজত্বকালের পরিচয় দিতেছে । এইসব পুষ্করিণী ও কুপের জল এমন ঠাণ্ড যে অতি. গ্রীষ্মকালেও বরফের মত থাকে। জল অতি স্বস্বাদু। বাদশাহ দরবারের মীর নিয়াকুব নামক একজন সম্বাস্ত ব্যক্তি “গোয়ালিয়র দুর্গের” কিলেদার নিযুক্ত হইলেন। দিল্লী প্রত্যাগমনের দশ মাস পরে আলতামাশ মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন । ফিরোজ ও তাহার পর অন্যান্য সুলতান দিল্লী-সিংহাসন পূর্ণ করিয়। রাখিলেন, কিন্তু কেষ্টই আর নিজেদের প্রতিনিধি দুর্গে পাঠাইলেন না। তজ্জন্য মীরনিয়াকুবের বংশধরেরাই বেশ আনন্দে দুর্গের কিলেদার হইয়া রহিলেন। যে-সময় আলাউদ্দীন ভারতের ভাগ্যবিধাতা ছিলেন, সেই সময় দুইজন রাজপুত ভ্রাত —পরমলদেব ও অধরদেব—সম্রাটের শরীররক্ষক সিকন্দর থার অধীনে অন্যতম সেনানী ছিলেন। সম্রাটু নিজের একটি খিড়কীর নিকট আসিয়া দাড়াইলেন ও বাহিরের দৃশ্ব দেখিতে লাগিলেন। বাহিরে তখন চতুর্দিকে নিস্তব্ধ ও নিঃঝুমের পাল, সকলেই নিদ্রায় অভিভূত শুধু দুইজন মহলরক্ষক প্রহরায় নিযুক্ত। সম্রাট তাহাদিগকে নিকটে ডাকিলেন ও পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন । যখন দুইজনকেই রাজপুত বলিয়৷ জানিলেন তখন হিন্দুদিগের কৰ্ত্তব্যজ্ঞান দেখিয় সাতিশয় মুগ্ধ হইলেন, প্রীত হইলেন। তিনি আনন্দিত হইয়া র্তাহাদের বলিলেন, “যাহা কিছু তোমাদের আকাঙ্ক্ষ। থাকে প্রকাশ কর, যেমন করিয়াই হউক পূর্ণ করিতে কুষ্ঠিত হইব না।” দুই ভ্ৰাত৷ তখন নিজেদের দুর্ভাগ্যের কাহিনী বর্ণনা করিয়া বলিলেন, তাহাদের পুত্র কন্যা সব গৃহাভাবে জঙ্গলে দিনযাপন করিতেছে । বীর রাজপুতদিগের মতন নিজেদের বক্তব। শেষ করিয়া পরিশেষে তাহারা প্রার্থনা করিলেন যেন তাঁহাদের থাকিবার জন্য “গোয়ালিয়র দুর্গ” পারিতোষিক-স্বরূপ দেওয়া হয়। মুলতান জবাব দিলেন, “কাল দরবারে তোমরা নিজেদের প্রার্থন জানাইও— আমি পূর্ণ করিব।” পর দিবস মহাসভব সম্রাট তাহাদের ইচ্ছ। পূর্ণ করিলেন, দুই ভ্রাতা নিজেদের কার্য্যের উপযুক্ত পুরস্কার পাইলেন । তাহার সম্রাটের আজ্ঞ। দুৰ্গেশ্বর সৈয়দের নিকট আনিলেন–কিন্তু সৈয়দ সম্রাটের কথা গ্রাহ করিলেন না। ইহাতে তাহার। আশাহত হইলেন ন । পাৰ্ব্বত্য দুর্গ জয় করা অসম্ভব মনে করিয় তাহার কৌশলে সৈয়দকে বন্দী করিবার আয়োজন করিতে লাগিলেন এবং তদুদেখাসাধনের জন্যই একটি বৃহৎ ভোজে সৈয়দকে পরিবারবর্গ সহ নিমন্ত্রণ করিয়া পাঠাইলেন। খাদ্যের সহিত র্তাহার মাদক দ্রব্য মিশ্রিত করিয়া সৈয়দবংশের সম্মুখে পরিবেষণ করিলেন ; তাহারা আনন্দের সহিত শেষ নিশির ভোজ