পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা 1 بیھ جمعہی* جواميسيس-- কিন্তু সাধারণভাবে বলা যায়, যে, মানব-সমাজে যে-সব বস্তু বা বস্ততুল্য জিনিষ (যথা সেবা, শিক্ষা, আমোদদান, এমন কি স্বর্গে স্থানদান ) সচরাচর বেশী মাত্রায় কেনাবেচা হ’য়ে থাকে, সেগুলি তৃপ্তি দেবে বলে’ই কেনাবেচা হয়, এবং শুধু তাই নয়, তারা কি মাত্রায় তৃপ্তি দেবে, তাও সকলে ভাল রকমেই প্রায় জেনে থাকে। কাজেই চুল চিরে বিচার করা ছেড়ে দিলে * বলা যায়, যে, সচরাচর কেউ একটা জিনিসের দাম যা দিতে চায়, তার থেকে সে তুপ্তি কি পরিমাণ পাবে, ত{ বেশ বুঝিয়ে দেয় । যথা, যদি একটা জিনিসের জন্য আরএকটার দামের দু’গুণ কেউ দিতে চায়, তা হ'লে বল। যায়, দ্বিতীয় জিনিসটার তৃপ্তি দেবাণ ক্ষমতা প্রথমটার দুইগুণ । ( এইখানে বলে’ রাখা দরকার, যে, যে-দাম ক্রেতা দিতে চায়, তা বাজারের দাম অর্থাৎ যে-দামে জিনিসটা বিক্রয় হয়, তার থেকে বিভিন্ন । ) ঈপিাতত ও তৃপ্তিদান-ক্ষমতার বিভিন্নত সম্বন্ধে কেবল একটা কথা বলা দরকার । বৰ্ত্তমানে-ভোগ্য একটা জিনিসের জন্য মানুষের ঈপা, ভবিষ্যৎ-ভোগ্য সেই একই জিনিসের জন্য ঈপার অপেক্ষ অনেক বেশী । জিনিসটি ভবিষ্যতে যখন ভোগ করা হবে, তখন যে সেটা কম তৃপ্তিদান করবে, তা নয়। মানুষের দূরদর্শিতার অভাবের জন্যই, সে, দূর ভবিষ্যতে যা ঘটবে, তাকে বৰ্ত্তমানের ঘটনার মত প্রত্যক্ষ করতে পারে না। তিরিশ বছর পরে কিছু খাব, এই কথা ভেবে মানুষ আনন্দ পায় কমই, এমন কি সে রকম ব্যাপারের প্রতি টান তার খুবই কম। কাজেই বৰ্ত্তমানে ভোগ্য যা, তার জন্য ঈঙ্গ মাহুষের ঢের বেশী। সুদূর ভবিষ্যতে ভোগ্য বস্তু আবার অনেক সময় নিজের ভোগ্য ৪ হবে না, এটা মানুষ জানে। তাতে তার প্রতি টান এবং তার

  • তার প্রয়োজনও খুব নেই ; কেন না, সামাজিক-স্বচ্ছন্দা-বিজ্ঞান সম্বন্ধে যে-সব কথা বলা হয়, সেগুলি কোন অবস্থার গতি সম্বন্ধে মাত্র। ‘চালের দাম কমবার দিকে যাবে’, ‘শ্রমজীবীদের কাজ করবার ক্ষমতা বাড়বার দিকে বাবে’, ‘খরচ বেশী হবে বা কম হবে, এই রকম ভাবেই কথা বলা যায়-তাও, কি কি অবস্থা বর্তমান থাকূলে হবে, তা বলে দেওয়া হয়। অভ্রান্ত সত্য, বা ছটাক ও পাই পয়সার ভাষায় কথা বলা হয় না ।

R-بے ۹4 সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্যের মাপকাঠি @హిలి هادیهای میانه মূল্য মানুষের কাছে অত্যস্ত কমে যায়। ফলে, যেসকল ত্যাগ স্বীকার করলে ভবিষ্যতে তার ফল ফলে, সে-সব ত্যাগ-স্বীকার মাষ্ট্য সহজে করে না। কিন্তু এপ্রকার ত্যাগ-স্বীকার জাতীয় স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য বিশেষ প্রয়োজন। একটা চলিত উদাহরণ নেওয়া যাক—বৃক্ষরোপণ । তালগtছ যে লাগায়, হয় ত তার নাতি করে ফলভোগ । সুতরাং এ-কাজে পিতামহের উৎসাহ বেশী না হ’লে তাকে দোষ দেওয়া যায় না । ভবিষ্যৎ বংশাবলী যে-সব স্থলে ফলভোগ করবে, সে-সব ক্ষেত্রে সংঘীভূতভাবে কাজ করার প্রয়োজন আছে। সরকারী চেষ্টা এ-সব ক্ষেত্রে খুব দরকার । আরও অনেক কিছু যৌথ কোম্পানীরা করতে পারে। কারণ, তাদের মূলধনের অংশ প্রথমতঃ যারা কেনে, শেষ অবধি তারা তা ন৷ রাখতেও পারে ; অর্থাৎ যে-ব্যক্তি মাত্র দশ বৎসর লের মূলধনের ফলভোগ না করে থাকতে পারে, সে দশ বৎসর অংশগুলি রেখে পরে আর-কাউকে বিক্রয় করতে পারে। এই ভাবে কোন কোন মূলধন বহুকাল • কোন ফল প্রসব না করে থাকুতে পারে এবং তাতে সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্য শেষ অবধি যথেষ্ট বাড়ে। নানান লোকের দূরদর্শিত নানান প্রকার। কেউ আজ যার জন্য ( ধরা যাক, কিছু একটা লাভের জন্য ) একশত টাকা দিতে রাজি, সেই জিনিসই সে এক বছর পরে পেলে পচানব্বই মাত্ৰ দিতে প্রস্বত হয় ; আবার অন্য কেউ মাত্র নব্বই । এ-ক্ষেত্রে বলা যায়, যে, প্রথম ব্যক্তি শতকর বার্সিক পাচ টাকা হারে ভবিষ্যৎকে কমিয়ে দেখে ; অর্থাং ( সাধারণভাবে বলতে গেলে ) কুড়ি বৎসর পরে যার ফল ফলে, এর কাছে তার কোনই দাম নেই ; এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি ভবিষ্যৎকে শতকরা বার্ষিক দশ টাকা কমিয়ে দেখে । ভবিষ্যতে যা পা ওয়া যাবে, তাকে যদি ভবিষ্যৎভোগ্য, এবং বৰ্ত্তমানে যা পাওয়া যাবে, তাকে যদি বর্তমান-ভোগ্য বলা যায়, তা হ'লে মানবসমাজে বর্তমানভোগ্যের দাম সাধারণতঃ ভবিষ খ-ভোগ্যের চেয়ে বেশী। সাধারণতঃ বলছি এইজন্য, যে, অনেক লোক আছেন, যারা অসাধারণ দূরদর্শিত, বা ভবিষ্যৎ জীবনে একটা নির্দিষ্ট আয়ের বন্দোবস্ত, বা উত্তরাধিকারীদের প্রতি