পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१>० অধ্যাপকের প্রতি অত্যন্ত অবিচার হইতেছে । ইহঁাদের নাম- পণ্ডিত রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ ; ডাক্তার মহেন্দ্রনাথ সরকার, এম এ, পিএইচ ডি ; শ্ৰীক্ত খামাচরণ মুখোপাধ্যায় এম এ ; শ্ৰীযুক্ত ফকিরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এম্‌ এ, এবং পণ্ডিত ধীরেশচন্দ্র শাস্ত্রী এম এ, পি আর এস্ । পণ্ডিত রাজেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ প্রাচ্য বিভাগে (Oriental Departmento) কাব্য শ্রেণীর ভারপ্রাপ্ত অধ্যা ক ছিলেন, এবং তাহাতে গড়ে একজন ছাত্রও উপস্থিত হইত না বটে, কিন্তু তিনি আই এ ও বি এ ক্লাসও পড়াইতেন। তিনি কুড়ি বৎসর চাকরী করিতেছেন। র্তাহাকে ছাড়াইয়া দিবার হুকুম যদি ব্যয়সংক্ষেপের জন্য হইয়া থাকে, তাহা হইল ঠিক ন্যায়বিচার হইয়াছে মনে হয় না ; অন্ত কোন কারণে হইয়া থাকিলে, তাহা না জানা পৰ্য্যন্ত কিছু বলিতে পারি না। শ্ৰীযুক্ত মহেন্দ্রনাথ সরকার, শ্যামাচরণ মুখোপাধ্যায়, ও ধীরেশচন্দ্র শাস্ত্রীকে ১৯২০ সালে প্রাদেশিক সাভিসে লওয়া হয়। ইহার চাকুরিয়ারা দুই বৎসর পরীক্ষাধীন থাকেন। ১৯২৩এর জানুয়ারী পৰ্য্যন্ত সংশোধিত সিবিল লিষ্টে ইহঁাদের নামের পাশে পরীক্ষাধীন কৰ্ম্মচারী ( probationer ) বলিয়া লেখা নাই। নির্দিষ্টকাল পরীক্ষাধীন থাকিবার পর ইহারা ২৫০ হইতে ৩০০ টাকার শ্রেণীতে উন্নীতও হইয়াছিলেন। পরীক্ষাধীন বলা যাইতে পারে, এবং সেই ওজুহাতে štgiftstą fagforsi rifft:H ( subordinate educational services ) c-FTA fol STATS FIT Rf ! পণ্ডিত ধীরেশচন্দ্র শাস্ত্রীর মত যোগ্য লোককে ৭৫ টাকা বেতনের কাজে অবনত করা বড় অবিচার। এই তিন জনের সংস্কৃত কলেজের পদগুলি উঠাইয়া দিলেও, বঙ্গীয় প্রাদেশিক সাভিসে ইহঁাদের যে যে স্থান ছিল, সেই স্থানগুলি বজায় থাকা উচিত । তাহা না হওয়ায়, ব্যাপারটি এখন এইরূপ দাড়াইতেছে, যে, যেহেতু ইহারা (স্ব-ইচ্ছায় নহে) গবর্ণমেণ্ট কর্তৃক সংস্কৃত কলেজে নিযুক্ত হইয়াছিলেন, তজন্ত ইষ্ঠার অবনমিত হইতেছেন, অথচ ডাক্তার মহেন্দ্রনাথ সরকারের নীচের একুশ জন কৰ্ম্মচারীর এবং ঐযুক্ত হামাচরণ মুখোপাধ্যায়ের নীচের বার জন কৰ্ম্মচারীর প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩e এখন তাহাদিগকে কি প্রকারে - [ ২৩৭ ভাগ, ১ম খণ্ড পদ, শ্রেণী ও বেতন ঠিক থাকিতেছে! গবর্ণমেণ্টের সব বিভাগে এইরূপ নিয়মই আছে, যে, কোন কারণে কোন সার্বিসের কয়েকজনের অবনমন প্রয়োজন হইলে নিম্নতম কয়েকজনকেই নীচের সার্বিসে যাইতে হয় ; কিন্তু শিক্ষাবিভাগ দেখিতেছি কতকটা উন্ট রাজার দেশ ! এখানে কাটা ছাট উপরের দিক্ হইতেই আরম্ভ হয় ! শ্ৰীযুক্ত ফকিরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় কুচবিহারের যে চাকরী করিতেন, তাহাতে পেন্স্যন আছে। তাহাকে এখানে কাজ দিবার সময় বলা হইয়াছিল, যে, তাহার কাজ স্থায়ী হইবে । সে কথা এখন কেন তুলিয়া যাওয়া হইতেছে ? ইহঁাদের সকলের প্রতি ন্যায়বিচার প্রার্থনীয়। গবর্ণমেণ্ট সংস্কৃত কলেজের ইংরেজী বিভাগ রাখিবেন কি না, তাহা বিবেচনা করিবার সময় যেন ইহা মনে রাখেন, যে, কেবল মাত্র সংস্কৃত কলেজেই পণ্ডিত শ্রেণীর লোকদের ছেলেরা মাসিক দুই টাকা বেতনে উচ্চ ইংরেজী শিক্ষা পাইয়া আসিতেছেন, আর কোথাও এই সুবিধা নাই । অবৈতনিক শিক্ষাদান ও প্রাপ্তি আমাদের দেশের একটি চিরন্তন রীতি। সংস্কৃত কলেজের রীতি ইহার সদৃশ ছিল। তাহা রদ করা ঠিক হইবে না। নব নব পত্রিক প্রতিবৎসরই দেখা যায়, বাংলা দেশে কতকগুলি নূতন খবরের কাগজ ও মাসিক পত্রিকার আবির্ভাব হয় । তাহার মধ্যে সকলগুলি বেশী দিন টিকিয়া থাকে না । বাংলাদেশেই যে এইরূপ দেখা যায়, তাহা নহে ; ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রদেশেও এইরূপ হয়, বিদেশেও হয় । যাহাদের নূতন কিছু বলিবার আছে, চিন্তার উন্মেষ করিতে, মানুষকে নূতন প্রেরণা দিতে, নূতন পথে চালিত করিতে, যাহারা ইচ্ছুক ও সমর্থ, নূতন আনন্দ যাহারা মানুষকে দিতে চান, তাহারা যদি পুরাতন খবরের কাগজ ও মাসিক পত্রিকাগুলির দ্বারা তাহা করিবার অবাধ বা যথেষ্ট স্বযোগ না পান, তাহা হইলে তাহাদের পক্ষে নিজেদের কাগজ বা মাসিক পত্র বাহির করিবার ইচ্ছা স্বাভাবিক । সমাজসংস্কার, ধৰ্ম্মসংস্কার, নৈতিক সংস্কার, প্রভৃতির