পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిఫిళి কিছু বিচার করিবার ক্ষমতা আজ নাই, তাই সরলভাবে অস্তরের কথা খুলিয়া বলিলাম, আপনার যাহা ভাল মনে হয় করিবেন । ...অস্তরের উপর জবরদস্তি চলে না, সব দিক বিবেচনা করিয়া আমাকে আপনার ইচ্ছা অনিচ্ছা জানাইবেন।” চিঠিখানা ডাকে না দিয়া নিজের হাতেই মমতাকে দিবে স্থির করিয়া বাহির হইল। মমতা তখন ঘরে বসিয়া একখানা সিস্কের চাদরে কি একট। হাতের কাজ করিতেছিল। নীচে কিরণের কণ্ঠ শুনিয়া তাড়াতাড়ি বারান্দায় রেলিঙের ধারে আসিল । কহিল –আস্থন, সবাই ওপরে রয়েচেন । কিরণ উপরে উঠিয়া গেল । মমতার বাবা সস্নেহে কহিলেন-তোমাকে আজকাল আর দেখতেই পাই না। কি হ’ল তাই ভাবি । কাজের চাপ পড়েছে বোধ হয় ? খবর কি ? চেহারাও খারাপ দেখচি। অস্থখ করেছিল কি ? কিরণ মাথা নাডিয়া কহিল—অস্থখ, না অমুখ করেনি, মমতার মা বসিয়াছিলেন । একটু হাসিয়া তিনি বলিলেন,—ব্যবসা কেমন চলছে ? নীরেন বললে খুব নাকি কাজ পড়েছে ? একটু মন দিয়ে কাজ কর। এইত তোমাদের সময়। কিরণ বলিল,—কাজ ? তা আছে। অনেক কাজই ; আসে। কিন্তু কি জানি কেন পেরে উঠি না । ঐ ত তোমার দোয—বলিয়া মমতার মা মান একটু হাসিয়া মুখ ফিরাইলেন, একটু বিরক্তি ও অবজ্ঞ যেন সেই হাসির গা ঘেষিয়া আছে । কিরণের সেদিকে মন ছিল না। ভাবিতেছিল কি ক্ষরিয়া মমতাকে চিঠিখান দিবে। স্থবিধাও হইয়া গেল । মমতার যা কি একটা কাজে চলিয়া গেলেন। দুই একটা কথা বলিয়া তার বাৰাও শেষে উঠিলেন। ঘর পুঁকিরণ মমতার প্রতীক্ষায় বসিয়া রহিল। মমতা প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭ [ ریo i ভাগ, ২য় 학한 আসে না । পিন্ধের চাদরে পাড় তৈরি করা তখনও চলিয়াছে। খানিকক্ষণ একভাবে বসিয়া থাকিয়া কিরণ উঠিয়৷ দাড়াইল । মমতা বোধ হয় লক্ষ্য করিয়া থাকিবে, তাড়াতাড়ি আসিয়া বলিল-ওকি—চলে যাচ্ছেন যে ? বসুন । হাতের এই কাজটা একটু,—এই এক্ষুনি অসূিচি,—একটু বম্বন। না, যাই,—বলিয়া কিরণ তার হাতের ওপর চিঠিখান। একরকম ছুড়িয়া ফেলিয়াই চলিয়া যাইতেছিল । মমতা চমকিয়া উঠিল । বলিল,—একি ! এটা ? যাইতে যাইতে কিরণ মুখ ফিরাইয়া কহিল,—পড়ে দেখবেন,—তারপর সিড়ি দিয়া নামিয়া চলিয়া গেল । জবাব আসিল না । কিরণের মনটা আশায় ও আশঙ্কায় দুলিয়া দুলিয়া ক্লাস্ত হইয়া উঠিল । দিন-দুই কোনরকমে কাটিয়া গেল । তারপর মমতার ভাই আসিয়া খবর দিল, তার বাবা একবার যাইতে বলিয়াছেন । চিঠির জবাবে চিঠিই আশা করিতেছিল । আবার ডাকিয়া পাঠাইবে,—মনেও ভাবে নাই। লজ্জ ও কুষ্ঠায় মনটা কি রকম হইয়া উঠিল । পরদিন সকালবেলা চা না থাইয়াই বাহির হইয়। পড়িল । কি জানি দেরীই যদি হয় ! বাড়ীর দরজায় দাড়াইয়া অভ্যাসমত একবার দুইবার ডাকিল। সেই ছেলেটি দরজা খুলিয়া দিয়া কহিল— আসুন। উপরে উঠিয়া ঘরে ঢুকিতেই পাশের ঘরের দরজাটি বন্ধ হইয়া গেল। হাতখানি দেখিয়া বুঝা গেল, ভিতর হইতে মমতার বোন বন্ধ করিয়া দিয়াছে। বৃদ্ধ কাজ করিতেছিলেন, খাতাপত্র হইতে মুখ তুলিয়া অস্বাভাবিক গষ্ঠীর কণ্ঠে কহিলেন—বস । কিরণ বসিল । ঘরখানা নিস্তব্ধ । দীর্ঘকাল কাটিয়া গেল কোন কথাবার্তা নাই। মমতার মা-ও কি-একটা হিসাবের