পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇe e ও কনোজিয়া ব্রাহ্মণ লেখক তাহাকে কনোজিয়া ব্রাহ্মণ প্রমাণ করিবার চেষ্টা করিয়াছেন, অর্থাৎ অনেকেই এই প্রসিদ্ধ ভক্ত-কবিকে আপনার জাতির লোক প্রমাণিত করিবার চেষ্টা করিয়াছেন। মারবার ( যোধপুর ) ইতিহাস-বিভাগের রাজকৰ্ম্মচারী কায়স্থ-কুলোম্ভব স্বৰ্গীয় মুনশী দেবীপ্রসাদ “বশ শাশ” রাজপুতানার ইতিহাস সম্বন্ধে একজন সচল এনসাই:গ্ল'পিডিয়া ছিলেন । তিনি জীবনব্যাপী অনুসন্ধানে অনেক সত্য আবিষ্কার করিয়া গিয়াছেন । তিনি কবি সুরদাস প্রণীত একটি পদ “দৃষ্টিকূট” নামক গ্রন্থে ཨོཾfཨོཾ་ཨཱ་༔ পাইয়াছেন, ও তাহাকে প্রক্ষিপ্ত সন্দেহ করিবার কারণ খুজিয়া পান নাই । তাহাতে কবি আপনার বংশ-পরিচয় লিখিয়াছেন, অতএব এই পরিচয়ই বিশ্বাস্য বোধ হয়। দেবীপ্রসাদ এই কবিতা প্রকাশিত করিলে গ্রিয়রসনও ইহাকে সুরদাসের রচনা বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন । কবি স্বয়ং লিখিয়াছেন,— চোহান-সম্রাট পৃথ্বীরাজের সভাতে “ব্রহ্ম ভট্ট” বা "রাও” অর্থাৎ ভাট-জাতীয় বরদাই কবি চন্দ রাজসভাসদ ও রাজকবি ছিলেন । সম্রাট তাহাকে জালা দেশ [ পঞ্জাবের আধুনিক জলন্ধর জেলায় জালামুখী পৰ্ব্বতের চারিদিকের দেশ ] দান করিয়াছিলেন, ও তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্রকে সেখানকার রাজা করিয়া দিয়াছিলেন । চন্দের চার পুত্রমধ্যে দ্বিতীয় পুত্র গুণচন্দ্র, তাহার পুত্র শীলচন্দ্র, তাহার পুত্র বীরচন্দ্ৰ পৃথ্বীরাজের বংশধর, রণথম্বের রাজা বীরবর হাম্মীরের বাল্যসহচর ছিলেন । “তাস্ব বংশ অনূপ ভয়ো হরিচন্দ অতি বিখ্যাত।” অর্থাৎ তাহার বংশে অতি বিখ্যাত হরিচন্দ্র জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তিনি আগ্রাতে আসিয়া বাস করিয়াছিলেন। এখানে বীরচন্দ্রের কয় পুরুষ পরে হরিচন্দ্র তাহ লেখা নাই, কিন্তু দু-এক পুরুষের বেশী হইবে না, কেননা, হাম্মীর যুবক অবস্থায় ১৩০১ ঈশান্ধে অলাও-উদ্দীন খিলজীর সহিত যুদ্ধে নিহত হইয়াছিলেন, ও সুরদাসের জন্ম ১৫০ • ঈশান্ধের কাছাকাছি কোনো সময়ে হইয়াছিল। যাহা হউক, হরিচন্দ্রের পুত্র বীর রামচন্দ্র গোপাচলে [ গৈায়ালিয়রে ] ৰাস করিয়াছিলেন। রামচন্দ্রের সাতপুত্র উৎপন্ন হইয়া প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭ ^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^ [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড JJJJJSJeJYASMMAMASAMASASASJSMMMSJES SAAAASAASAASAASAAAS ছিল, প্রথম ছয় পুত্র কৃষ্ণচন্দ্র, উদারচন্দ্র, রূপচন্দ্র, বুদ্ধিচন্দ্র, দেবচন্দ্র ও সংস্থতচন্দ্র দেশের রাজা লোদী পাঠানদের অধীনে যোদ্ধা ছিলেন, বিদেশী আক্রমণকারী মোগল বাবরের সহিত যুদ্ধে তাহারা সকলেই বীরগতি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । সে সমর করি শাহিসেবক, গয়ে বিধি কে লোক । রহে সুরঙ্গচন্দ, দৃগর্তে হীন, ভর বর শোক । কেবল সৰ্ব্বকনিষ্ঠ দৃষ্টিহীন স্বরজচন ( বা স্বরদাস । শোকাকুল হইয়া জীবিত রহিলেন । গোপাচল বা গোয়ালিয়র সেকালে সঙ্গীত-বিদ্যার কেন্দ্র ছিল, বোধ হয় রামচন্দ্র এই বিদ্যাতে পারদশী হইবার আশাতেই সেখানে বাস করিয়াছিলেন । তিনি ইহার পর উচ্চশ্রেণীর গায়করূপে প্রসিদ্ধ হইয়াছিলেন । রামচন্দ্র বৈষ্ণবধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়া রামদাস নাম গ্রহণ করিয়াছিলেন। আইন-ই-আকবরীতে আবুলফজল তাহাকে “বাবা রামদাস গোয়ালিয়ারী, গোয়েন্দা” লিথিয়াছেন । গোয়েন্দা অর্থে “গায়ক” । সম্ভবতঃ তিনি সাধুদের মত জীবনযাপন করিতেন বলিয়া লোকে “বাবা রামদাস* বলিত,কিংবা অতিবৃদ্ধ ছিলেন বলিয়া লোকে সম্মান করিয়৷ “বাবা রামদাস” বলিত । এ প্রথা এ অঞ্চলে এখনও প্রচলিত অাছে। আকবরের সময়ের প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক বদাউনীও তাহার উল্লেখ করিয়াছেন । যাহা হউক রামচন্দ্রের সপ্তম ও সৰ্ব্বকনিষ্ঠ পুত্রের নাম স্বৰ্য্যচন্দ্র, স্বৰ্য্যদাস, সুরদাস বা সুরপ্তাম, এই চার প্রকারে কবির নাম ভিন্ন ভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়। সুরদাস অন্ধ ছিলেন, তিনি ঐ পদে লিখিয়াছেন, আমার ছয় ভ্রাত বীরগতি প্রাপ্ত হইলেন, কেবল আমি অন্ধ, শোক করিতে বাচিয়া রহিলাম। পরে কৃপ, পুকার কাহ, শুনি না সংসার। शाङ८ग्न प्लिम जांग्र शृठूथ्रठि कौन अॉ" ऎकांग्र ॥ একদিন আমি কূপে পড়িয়া গিয়াছিলাম, পড়িয়া অনেক চেচাইলাম, কিন্তু কেহ শুনিতে পাইল না । সপ্তম দিবসে স্বয়ং ভগবান ধন্থপতি আসিয়া আমাকে উদ্ধার করিলেন। এ পদের এরূপ অর্থও হইতে পারে, যে, আমি সংসার-রূপ কুপে পড়িয়াছিলাম, আমি অনেক কাদিলাম, কিন্তু সংসার আমার ডাক শুনিল না, তখন