বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

షిణ ఫి প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড ফার্সী ভাষাও অল্প-বিস্তর জানিতেন । র্তাহার বাল্যাবস্থায়, অথবা জন্মের কিছু পূৰ্ব্বে, যুক্তপ্রদেশের ও পঞ্জাবের হিন্দুর-বিশেষতঃ কায়স্থ ও খেত্রীরা—লোদী সম্রাটদের উত্তেজনায় ফাসী ভাষা শিক্ষা করিতে আরম্ভ করিয়াছিল, ও রাজসরকারে লেখকদের পদে নিযুক্ত হইতে আরম্ভ করিয়াছিল। এইরূপ ফাঁসী-শিক্ষিত হিন্দু যুবকদের মধ্যে আকবরের রাজস্ব-বিভাগের মন্ত্রী ও সেনাপতি খেত্ৰী-কুলোদ্ভব রাজা টোডর মল্ল টল্পন সৰ্ব্বাপেক্ষ বেশী উন্নতি লাভ করিয়াছিলেন । আকবরের মোগল-সামন্তর আপনার আপনার জায়গীরের হিসাব রাথিতে হিন্দু দেওয়ান নিযুক্ত করিতেন । ইহার পূৰ্ব্বে স্নেচুের ভাষা শিক্ষা করিয়া সমাজে পতিত ও অপবিত্র হবার ভয়ে ব্রাহ্মণরা, মণিদ্বারা জীবিকা অর্জন করিয়া দ্বীরত্বনাশের ভয়ে অসিজীবী ক্ষত্রিয়রা ফাসী ভাষা শিক্ষা করিতেন না । অন্য জাতীয় লোকেও আপনার আপনার জাতীয় ব্যবস লইয়াই সস্তুষ্ট থাকিত । “স্বধৰ্ম্মে নিধনং শ্রেয়ঃ পরধৰ্ম্মো ভয়াবহঃ” উক্তির সমর্থন করিতে সকলে ব্যস্ত থাকিত । একান্ত নিরূপায় না হইলে কেহ চাকরি করিতে চাহিত না, চাকরিকে সকলেই দাসত্ব, কষ্টকর ও হীন ব্যবসায় মনে করিত। অতএব রাজসরকারের লেখকদের কাজ বিদেশী ইরানীদের একচেটে ছিল। বিদেশী বলিয়া তাহদের যেমন বেশী বেতন দিতে হইত, সেইরূপ তাহারা এ কাজে দক্ষ, ও প্রকাশ্যে উৎকোচ বা নজরানা গ্রহণ করিতে সিদ্ধহস্ত ছিল । তিনি “স্বরসারাবলী” পুস্তক সমাপ্ত করিয়া লিখিয়াছেন— শুরু প্রসাদ হোৎ ইয়হ দরসন, সরসঠি বরস প্রবীণ অর্থাৎ ৬৭ বৎসর বয়সে এই পুস্তক শেষ করিলাম। এই গ্রন্থখানি তাহার বৃহত্তম গ্রন্থ “সুরসাগরের” সংক্ষিপ্ত সংস্করণ । ইহার পর, তিনি সুরসাগরের কতকগুলি কুট পদ একত্র করিয়া “সাহিত্য-লহরী” নামে প্রকাশিত করিয়াছিলেন। সাহিত্য-লহরীর প্রণয়নকাল যে-শ্লোকে ব্যক্ত করিয়াছেন তাহ দেখিয়া অনেকে ১৬০৭ সম্বৎ স্থির করিয়াছেন, কিন্তু আমার বিবেচনায় তাহার পাঠে কিছু ভুল আছে, একটু পরিবর্তন করিলে র লেখার সামান্য ভুল থাকিলে সম্বৎ ১৬৩৭ দাড়ায়, ও অন্য ঐতিহাসিক ঘটনার সহিত • অনেকটা মিলিয়া যায়। ১৬৩৭ ঠিক হইলে, ও সে সময়ে ৬৭ বৎসর বয়স হইলে তাহার জন্মকাল সম্বৎ অথবা ১৫১৩ ঈশাদ হয়। কিন্তু এরূপ শ্লোকে তিথি নক্ষত্ৰ থাকিলেও ঠিক সময় জানা যায় না, কেন না একখানি পুস্তক রচনা করিয়া তাহাতে তারিখ দিয়া প্রকাশকের হাতে তুলিয়া দিবার প্রথা সেকালে ছিল না। পুস্তক শেষ হইবার ও তারিখের শ্লোক-রচনার পরও যতকাল কবি রচনাক্ষম বা জীবিত থাকিতেন, পুস্তকের, পরিবর্তন ও পরিবর্দ্ধন চলিত, কিন্তু তারিখ আর বদলান হইত না। কবি বিহারীলাল প্রণীত “সতসঈ” ইহার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ঐ পুস্তকখানি শেষ হইয়াছে সম্বৎ ১৭১৯ চৈত্র কৃষ্ণযষ্ঠ সোমবার [ মার্চ .৬৬৩ ঈ ] কিন্তু তাহাতে ১৬৬৭-৬৮ ঈশাদের ঘটনা বর্ণিত আছে । অতএব ১৬৩৭ সম্বতে যে র্তাহার ৬৭ বৎসর বয়স ছিল তাহা নিশ্চয়রূপে বলা যায় না। সুরদাসের গুরু বল্লভাচার্য্য শেষবয়সে কয়েক বৎসর কাশীতে ছিলেন। তিনি বৃন্দাবন বাসকালে ১৫২৮ ঈশাদের পূর্বে সুরদাসকে দীক্ষিত করিয়া থাকিবেন । তিনি ১৫৩০র শেষে বা ১৫৩১ আরম্ভে দেহরক্ষা করিয়াছেন। ১৫১৩ স্থরদাসের জন্ম হইলে দীক্ষার সময়ে ১৫ বৎসরের বেশী বয়স হয় না ; অতএব “শিব বিধান তপ করেউ বহুত দিন” এই কথার অর্থ হয় না । আবার ১৬০৭ ঠিক হইলে তাহার জন্ম ১৪৮৩ ঈশাঝে হয়। বেরমের সময়ে ( ১৫৬• ঈশান্ধে) তাহার বয়স ৭৭৷৭৮ হয়। তিনি আপনার পিতার সপ্তম ও শেষ পুত্র, অতএব সে সময়ে তাহার পিতা বাচিয়া থাকিলে তাহার বয়স এক শত হইতে অনেক বেশী হইয়া যায়। ওরূপ বৃদ্ধের গান শুনিয়া লক্ষ টাকা দান করা বিশ্বাস হয় না। অতএব এ সকল উক্তির সামঞ্জস্য হইতেছে না । আবুলফজল লিখিত আইন-ই-আকবরীতে আকবরের সময়ের কবি, সাধু, গায়ক, বাদক ইত্যাদির নামের তালিক আছে, কিন্তু তাহাতে কেবল এরূপ লোকেরই নাম আছে যাহার রাজকোষ হইতে কোন প্রকার বৃত্তি পাইত। ঐ তালিকাতে তুলসীদাসের নাম নাই, কিন্তু እ¢ ግጭ