পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հb-b প্রবালী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭ [७०* उां★, २ग्न थरा যব প্রদেশের কাগজে প্রত্যহ পুলিসের প্রতি দোষারোপযুক্ত সংবাদ বাহির হইতেছে। অবশ্ব প্রত্যেক পুলিস কৰ্ম্মচারী দোষী ইহা কেহ বলিতেছে না। কিন্তু কাগজে যে-সব বৃত্তাস্ত বাহির হয়, তাহাতে কোন তারিখে কোন স্থানে পুলিস কি করিয়াছে, তাহ লিখিত থাকে। স্থতারাং কোন কোন কনষ্টেবল ও উচ্চতর কর্মচারীর উপর দোষারোপ করা হইতেছে, তাহা নির্ণয় করা গবন্মেন্টের পক্ষে স্বসাধ্য। কিন্তু গবষ্মেন্ট এই সব দোষারোপ সম্বন্ধে এবং বেসরকারী তদন্তকমিটিসকলের রিপোট সম্বন্ধে কোন অতুসন্ধান করেন কিনা, জান। যায় না। তবে, ইহা দেখা যাইতেছে, যে, যেখানে যেখানে অত্যাচার হইয়াছে বলিয়। কথিত হইয়াছে, বিভাগীয় অতুসন্ধানের ফলে তথাকার কোন হাকিম বা পুলিস কৰ্ম্মচারীর কোন প্রকার শাস্তি হইয়াছে বলিয়৷ খবরের কাগজে সংবাদ বাহির হয় নাই। অতএব, ইহাই মনে করিতে হইবে, যে, তদস্তকমিটিসমূহের সভেরা, তাহদের কাছে র্যাহারা সাক্ষ্য দিয়াছেন তাহার, সংবাদপত্রের সংবাদদাত্তারা এবং র্যাহণদের নিকট হইতে তাহার। সংবাদ সংগ্ৰহ করিয়াছেন তাহার— সকলেই মিথ্যাবাদী কিংবা ভ্রান্ত । কিন্তু ফোটোগ্রাফগুলাও কি মিথ্যা কথা বলে ? ফোটোগ্রাফেও বিচু প্রতারণা চলে জানি, কিন্তু তাহা ধরা দুঃসাধ্য নহে ! ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশের কাগজে ছখম লোকদের ছবি বাহির হইয় থাকে, বঙ্গেও হয়। তাহা না হয় সম্পূর্ণ নির্দোষ ও আইনসঙ্গত নু্যনতম বলপ্রয়োগের ফল। কিন্তু বিধ্বস্ত ও লুষ্ঠিত ঘরবাড়ীর ছবি ফেসব বাতির হয়- যে রকম ছবি কয়েক দিন পূৰ্ব্বেও কলিকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছে—সেই সকল ছবিতে যে বলপ্রয়োগের প্রমাণ পাওয়া যায়, সেইরূপ বলপ্রয়োগের স্বাধ্যতা, আইনাতুযায়িত্ব এবং প্রয়োজন কি ? এই ফোটোগ্রাফগুলি অলীক কাল্পনিক ঘরবাড়ীর ফোটোগ্রাফ বলিয়া প্রমাণ না করিতে পারিলে আমাদের জিজ্ঞাসা মিটিবে না। . . ' পুলিসকে দোষ দিয়া আমাদের স্বখ হয় না, গৌরব বাড়ে না। পুলিসের অধিকাংশ লোক আমাদের স্বদেশবাসী জা’ত ভাই। তাহদের কাহারও সত্য যাহা কলঙ্ক, তাহা অামাদেরই কলঙ্ক । উদরামের জন্য অপকৰ্ম্ম করিবার বিস্তর লোক এদেশে বহুকাল হইতে জুটিয়া আসিতেছে বলিয়াই ত আমাদের জাতির এত দুর্দশ ও লাঞ্ছনা । পুলিসের অনেক লোক জানেন র্তাহারা আমাদেরই ভাই । বোম্বাই ক্রনিক্লে একজন পুলিস ইনস্পেক্টরের সহিত বোম্বাইয়ের সম্ভ্রান্ত মহিলা সত্যাগ্রহী কুমারী মিঠু বেন পেটিটের যে কথোপকথন মুদ্রিত হইয়াছে, তাহ এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। এই ইনস্পেক্টরটির নাম ইস্মাইল দেশাই । তিনি সরভোগ নামক স্থানে গিয়৷ শ্ৰীমতী মিঠু বেনকে ডাকিয়া পাঠান। তাহার পর উভয়ের মধ্যে এইরূপ কথাবাৰ্ত্ত হয়। মিঃ ইসমাইল- আপনার কেন পিকেটিং কচ্চেন । মিঠুবেন-দেশের জন্য। আমাদের কাজে বাধা দেবেন না। বেশী কথা বলার সময় আমাদের নাই। যদি আমাদিগকে গ্রেপ্তার করার পরোয়ান থাকে তবে বের করুন, আমরা প্রস্তুত । মিঃ ইসমাইল- আপনার মেয়েমানুষ, তাই আমার কষ্ট হয়। মিঠুবেন - আমরা এ সময়ে মেয়েমানুষ নই। আমরা পুরুষরূপে দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করব, সুতরাং আপনার যা ক্ষমতা থাকে তা প্রয়োগ করতে পারেন । মিঃ ইসমাইল--আমার সঙ্গেই যখন আপনারা এভাবে কথা বলছেন, তখন পুলিসের অন্য লোকের। আপনাদের কথা সইবে কেমন ক'রে ? মিঠুবেন-তাদের সহিত কোন কথা বলার প্রয়োজন আমাদের নেই । মিঃ ইসমাইল- আমি আপনাদের ভ্রাতাশ্বরূপ, আপনাদিগকে পিকেটিং হ’তে ক্ষান্ত থাকতে অনুরোধ করছি । মিঠুবেন । আমি আপনার ভগ্নীরূপে আপনাকে চাকরীতে ইস্তফা দিয়ে ভগ্নীর পাশে এসে দাড়াতে অনুরোধ করছি । অনুগ্রহ ক’রে আমার ভ্রাতৃবধুকেও আমাদের সঙ্গে পিকেটিং করতে পাঠাবেন। মিঃ ইসমাইল—আপনাদের মত ভিক্ষুকে আমার বেতন যোগাতে পারবে না । মিঠুবেন- দেশের স্বাধীনতা লাভের জন্য কোন বেতনের প্রয়োজন নাই । মিঃ ইসমাইল--আপনাদিগকে যদি কষ্ট দিয়ে খাকি, তা হ’লে ক্ষমা করবেন । ইস্মাইল দেশাইয়ের মত লোকেরা বেতন ভিন্ন আর কিছু বুঝে না। বেতনভোগী লোকদের দ্বারা যদি সত্যাগ্রহের পথে স্বরাজ অর্জন সম্ভবপর হুইত, তাহ হইলে বেতনের অভাবও হইত না। কারণ, বল বাহুল্য, কুমারী মিঠু বেন পেটিট স্বেচ্ছায় দারিদ্র ব্রত