পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] পেশা শিখিবার জন্য কলিকাতা ক্যাম্বেল মেডিক্যাল স্কুলে ডাক্তারী পড়িতে ভৰ্ত্তি হন। নিষ্ঠার সহিত পাঠ করিয়া ১৮৮৩ অব্দে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। স্বাধীন জীবিকা-উপার্জনকরী বিদ্যা শিক্ষা করিয়াও কোন কাৰ্য্যে মনোনিবেশ করিতে র্তাহার প্রবৃত্তি হইল না । কেবল কি করিয়া বাঙ্গালীর তুল্লভ যুদ্ধবিদ্যা শিক্ষা করিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে যাইতে পারেন তজ্জন্য মন উৎকণ্ঠিত হইল । হরিনারায়ণ বাবুর এইরূপ মানসিক চঞ্চলত দেখিয় তাহার মাতা ও মাতুল র্তাহাকে কলিকাতায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করিলেন । র্তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার ৪ এই সময় বিবাহ হইল । জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা এলাহাবাদে প্রত্যাবর্তন করিলেন এবং তিনি মাতুলাপ্রয়ে গোয়াড়ী-কৃষ্ণনগর গেলেন । কিন্তু কিছু দিন পর তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার অসুস্থতার সংবাদ পাইয়। তিনি এলাহাবাদে যান। জ্যেষ্ঠ ভ্রাত আরোগা লাভ করিলে মিরাটে বদলী হইলেন এবং সেই সঙ্গে হরিনায়ণ বাবু অন্যান্য পরিবারবর্গের সহিত মিরাটে আসেন এবং কিরূপে সৈন্যদলে যোগদান করিয়া যুদ্ধবিদ্যা শিখিত পারেন তাহার চেষ্টা করিতে থাকেন। ১৮৮৪ সালে সৌভাগ্যক্রমে মিরাট জেলার প্রধান সেনানায়কের অফিসে ৩০ ত্রিশ টাকা বেতনে দ্বিতীয় কেরাণীর পদ লাভ করিলেন । ইহার কিছুকাল পর, ১৮৮৬ সালে, তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার অকাল মৃত্যু ঘটিলে র্তাহার উপর সমস্ত সংসারের ভার পড়িল । ১৮৮৮ সালে র্তাহার কার্য্যকুশলতায় তিনি বড়বাবু অর্থাৎ প্রধান কেরাণীর পদে উন্নীত হইলেন। তদানীন্তন ষ্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন রবার্ট দেশী অশ্বারোহী পণ্টনের নায়ক ছিলেন । হরিনারায়ণ বাবুর কার্য্যপটুতায় সন্তুষ্ট হইয়া এবং তাহাকে সুস্থ সবলকায় দেখিয়া এক দিন জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি সৈনিকদলে সৈনিকরূপে ভৰ্ত্তি হইতে চাও?” এই অযাচিত ও অপ্রত্যাশিত প্রশ্ন শুনিয় তিনি মনে করিলেন যে, ভগবান তাহার মনের ঐকান্তিক ইচ্ছা এত দিনে পূর্ণ করিবার জন্য এই প্রশ্ন ক্যাপ্টেন রবার্টের স্বারা উত্থাপিত করিয়াছেন। পরমেশ্বরকে আন্তরিক ধন্যবাদ দিয়া কাপ্তেন সাহেবকে আননের সহিত সন্মতি জ্ঞাপন করিলেন। এক সপ্তাহ মধ্যেই চীনযুদ্ধে দফাদার হরিনারায়ণ বস্থ დაფ' SAAAAAA AAAAS AAASASAAAAASA SAASAASAASAASAASAASAAM eeASMSeAAA SAAA SS SSJJSJAAAS র্তাহার নাম কেরাণী হইতে সৈনিকরূপে পরিবর্তিত হইল। তিনি প্রথম বেঙ্গল ল্যান্সার সৈন্যদলে সন্নিবিষ্ট হইলেন। সৈন্যদলে ভৰ্ত্তি হইবার সময় তাহাকে বাধ্য হইয়৷ একটু কৌশল অবলম্বন করিয়া নাম ধাম কিছু অজ্ঞাত রাখিতে হুইয়াছিল। কারণ খাটি বাঙ্গালী যোদ্ধারূপে ভৰ্ত্তি হওয়া তখন একপ্রকার অসম্ভব ছিল । তিনি সৈন্যদলে, মৈনপুরী জিলা অধিবাসী রাজপুত হরনারায়ণ সিং হইলেন। এবার তার আন্তরিক ইচ্ছা পূর্ণ হুইবার সুযোগ ঘটিল । সৈনিকদলে তাহার সংখ্যা হইল ১১৩৭। অন্ততঃ তিন বৎসর কার্ষ্য করিতে হইবে এবং ভারতে বা ভারতের বাহিরে যেখানে সৈন্যদল যাইবে সেইখানেই যাইতে হইবে এইরূপ সৰ্ত্তে আবদ্ধ হইতে হইল। অতঃপর হরিনারায়ণ বাবুর নিজের ভাষাতেই র্তাহার চীন যাত্রার বৃত্তান্ত দিতেছি । * ১৯০০ খৃঃ যখন চীনদেশে অশাস্তি উপস্থিত হয় তখন আমাদের সৈন্যদলকে চীন-অভিযান ফৌজের সঙ্গে যাইবার জন্য প্রস্তুত হইতে হইল। যুদ্ধক্ষেত্র দেখিবার যে আমার সাধ ছিল তাহা এতদিনে পূর্ণ হইবার স্থযোগ দেখিয়া ভগবানকে মনে মনে ধন্যবাদ দিতে লাগিলাম। ডাক্তারী পরীক্ষায় যোগ্য সাব্যস্ত হইয়। আমি কোমর বাধিলাম । আমার বুদ্ধা মাতা ও পরিবারবর্গ এই সংবাদ পাইয়া মহা অনর্থ বাধাইলেন । যুদ্ধযাত্রায় নিরস্ত করিতে অনেক চেষ্টা করিলেন কিন্তু আমার স্থির প্রতিজ্ঞা হইতে কেহই আমাকে টলাইতে পারিলেন না। অনেক প্রবোধ দিয়া যুদ্ধযাত্রা করিলাম। ১লা জুলাই লক্ষ্মেী হইতে রেলযোগে কলিকাতা পহুছিয়া ৩রা জুলাই খিদিরপুর ডকে জাহাজে আরোহণ করিলাম। চারিখানি জাহাজ আমাদের রেজিমেন্টকে লইয়া রওনা হইল। ১১ই জুলাই বৈকালে চারটার সময় জাহাজ সিঙ্গাপুর বন্দর ছাড়িয়া মাকাও বন্দরের কাছাকাছি আসিলে, হংকংস্থ ব্রিটিশ পাইলট বোট হইতে বিপদস্থচক সঙ্কেত পাইয়া জাহাজকে আবার নোঙ্গর করিতে হইল। চীনারা তথাকার সমূত্রে লামাইট ছড়াইয়া রাখিয়াছিল। ব্রিটিশ পাইলট-ধেী যখন उद्देनाभाइँझै७जिब्र उत्व काग्नि बाख्रा ब्रिक कमि निज उशैन थांबाब्र छांशंछ अश्वगब्र श्ल, ७ष५ इश्कर