পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ভারতের ইতিহাসে প্রকৃতির প্রভাব SAASAASAASAA AAAA AAAAJAAA AAAA AAAASAASAASAASAAASJ AJAASAAMMAMAMMMAMAAA AAAA AAAA AAAA AAAAA ogo ছিলেন, কিন্তু তাহার লোহার ব্যবহার জানিতেন এবং ভিন্ন আর কিছুই নহে। তবু, পারস্তের অধীনতা হইতে র্তাহাদের আর একটি প্রবল যুদ্ধ-সহায় ছিল অশ্ব। এই অশ্ব ও লৌহান্ত্রের সহায়তায় আৰ্য্যগণ দ্রাবিড়গণকে উত্তরাপথ হইতে হটাইতে লাগিলেন। কিন্তু দ্রাবিড়গণ কি সহজে পরাজয় স্বীকার করিয়াছিলেন ? দ্রাবিড় ও আর্য্যগণের ভয়ঙ্কর সঙ্ঘর্ষের কোলাহল আজিও ঋগ্বেদে অমর হইয়া আছে। ভারতবর্ষে বাসহেতু দ্রাবিড়গণ অপদার্থ হইয় পড়েন নাই। প্রাণপণে লড়িয়া প্রবলতর আর্য্যগণকে র্তাহারা উত্তরাপথ ছাড়িয়া দিতে বাধ্য হইলেন বটে, কিন্তু দক্ষিণাপথ হইতে আর্য্যগণ র্তাহাদিগকে বিতাড়িত করিতে সমর্থ হন নাই । আজ পর্য্যন্ত দক্ষিণাপথে দ্রাবিড়গণই প্রবল । - ভারতবর্ষ কালক্রমে আর্য্যগণের নিজ বাসভূমি ভূইয়া উঠিল। আৰ্য আক্রমণের পরে প্রায় দুই হাজার বছর পর্য্যন্ত বাহির হইতে আর কেহ এই দেশ আক্রমণ করিয়াছেন এমন কথা ইতিহাসে পাই না। দুই হাজার বছরে ভারতের জলবায়ুর প্রভাবে আর্য্যগণের স্বভাবের কোনো পরিবর্তন হইয়াছে কি না খ্ৰীষ্টপূৰ্ব্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে তাহা জানিবার সুযোগ উপস্থিত হয়। ৫১৮ খ্ৰীষ্টপূৰ্ব্বাবে *বলপ্রতাপ পারস্ত-সম্রাট দরায়ুস পঞ্জাব আক্রমণ করিয়া উহার কতক অংশ অধিকার করেন । মগধে তখন শৈশুনাগ বংশ রাজত্ব করিতেছিল । তাহদের রাজত্ব পঞ্জাব পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। আলেকজাণ্ডার যখন ভারত আক্রমণ করিতে আসেন, তখন এই অঞ্চল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজগণের অধিকারে ছিল। দরায়ুসের আক্রমণকালেও সম্ভবতঃ পঞ্জাবের অবস্থা ঐ প্রকারই ছিল। পঞ্জাবের ছোট ছোট রাজাদিগকে পরাজিত করিয়া পঞ্জাব অধিকার প্রবল প্ৰতাপ পারস্যসম্রাটের পক্ষে একটা অসাধারণ বীরত্বের কাজ বলিয়া গণ্য হইতে পারে না। পারস্ত-সম্রাট কর্তৃক আক্রাস্ত হইয় পঞ্জাবের রাজগণ কি করিয়াছিলেন, কতখানি বাধা দিতে পারিয়াছিলেন, তাহ জানিবার উপায় নাই । দুই শতাব্দী পরে আলেকজাণ্ডার পারস্য-সাম্রাজ্য আক্রমণ করিয়া অধিকার করিলেন। তাহার ভারত আক্রমণ পারস্যের ভারতীয় রাজ্যখও অধিকার করিবার চেষ্টা মুক্ত হইবার পর এত অল্পকাল মধ্যে যে পঞ্জাবের ক্ষুদ্র রাজগণ জগদ্বিজয়ী আলেকজাণ্ডারকে এতটা বাধা দিতে পারিয়াছিলেন, তাহ দেখিয়া পঞ্জাবের এই ক্ষুদ্র রাজগণের প্রতি শ্রদ্ধায় হৃদয় ভরির উঠে । ক্ষুদ্র রাজা পুরুর সহিত জগদ্বিজয়ী আলেকজাণ্ডারের যুদ্ধ গ্রীক ঐতিহাসিকগণ এবং আধুনিক বিদেশী ঐতিহাসিকগণ সকলেই সমান শ্রদ্ধার সহিত বর্ণনা করিয়াছেন এবং কেহই পুরুর বীরত্বের সমাদর করিতে ক্রটি করেন নাই । ভারতে বাস করিয়া আৰ্য্যগণ ভারতের প্রাকৃতিক অবস্থার দৌরাত্ম্যে বলহীন হই। পড়িয়াছিলেন কি না এই দ্বন্ধ-কাহিনীতে অতি স্পষ্টরূপে তাহা বুঝা যায় । জগদ্বিজয়ী আলেকজাণ্ডার ক্ষুদ্র রাজা পুরুকে অধীনতা স্বীকার করিবার জন্য দূতমুখে আহ্বান করিলেন। দপিত পুরু উত্তর দিলেন, “যুদ্ধক্ষেত্রে তরোয়ালের মুখে এই আহানের উত্তর দিব।” সিন্ধুনদের দুই শাখা চিনাব ও ঝিলামের মধ্যস্থলে পুরুর ক্ষুদ্র রাজ্যটি অবস্থিত ছিল। রাজ্যটির আয়তন ৫০ x ১০০ মাইলের বেশী নহে । বাঙ্গালী পাঠক এই বলিলেই ভাল বুঝিবেন যে, এই রাজ্য আয়তনে বাঙ্গালার একটি জেলা, মেদিনীপুর জেলার প্রায় সমান এবং ময়মনসিংহ জেলা অপেক্ষ ছোট ছিল । বাঙ্গালা দেশে বারভূঞার আমলে দুইএকজন ভূঞার রাজ্যও ইহার অপেক্ষ অনেক বড় ছিল। এই ক্ষুদ্র রাজ্যের রাজা যে সাহস করিয়া পৃথিবী-বিজয়ী সেন ও সেনাপতিগণ সহায় অদ্বিতীয় বীর আলেকজাণ্ডারের সম্মুখীন হইতে সাহসী হইয়াছিলেন, ইহাতেই বুঝা যায় যে প্রকৃতির প্রভাবেই যে ভারতবাসী অমানুষ হইয়া বায় বলিয়। কোনো কোনো ঐতিহাসিক মত প্রকাশ করিয়া থাকেন, তাহা একেবায়েই মিথ্যা । পুরু ও আলেকজাণ্ডারের দ্বম্বের বিচিত্ৰ কাহিনী আমর গ্রীক ঐতিহাসিকগণের প্রসাদেই জানিতে পারিয়াছি । ক্ষুদ্র রাজ্যের অধিপতি পুরু কোনরকমেই জগদ্বিজয়ী বীর আলেকজাণ্ডারের সমকক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী মহেন। তবু