পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ......-സ്~ുപ്പുl**~~ -مم-------------- بی بی سی সমাধান ৩৫৩ যে তোমার ভাল লাগে। আর ওখানে ত মেয়েদের আলাদা বসবার জায়গা নেই ? তার চেয়ে থিয়েটারে চল বরং " কালীমোহন বলিল, “ছবির বেহায়াপনাতে যত দোষ, আর আসল মানুষের বেহায়াপনায় দোষ নেই ? তাও যে-চরিত্রের সব মানুষ ! আমাদের দিশী থিয়েটারে মা বোন, স্ত্রী নিয়ে কারো যেতে নেই । ওর হাওয়াতে বিষ আছে ।” লতিক (Fಢಿಟ್ಲ, স্বামী অসন্তুষ্ট হইতেছে, কাজেই রফ করিবার চেষ্টায় বলিল, “তবে বক্সে চল, হাজারটা পুরুষ মানুষের সঙ্গে আমি বসতে পারব না।” কালীমোহন উঠিয় পড়িয়া বলিল, “থাক, তোমার আর গিয়ে কাজ নেই । আমার ত বাপের জমিদারী নেই, বক্সটক্স আমার পোষায় না।” “কথায় কথায় খুব বাপ তুলতে শিখেছ,” বলিয়৷ লতিকা রাগে গরগর করিতে করিতে চলিয় গেল । দিন এইভাবেই কাটিতে লাগিল । লতিকার একটি মেয়ে হইল। চমৎকার সুন্দরী মেয়ে, যে দেখিল সে-ই মুগ্ধ হইল। লতিকার বাপের বাড়ীর লোকেরা বলিল, “লতি, তোকে ত ওর মা মনে হয় না, মনে হয় ঝি । এ যেন জামাইয়ের চেয়েও সুন্দর হয়েছে।” অন্য কারও সম্বন্ধে এমন কথা তাহীকে শুনিতে হইলে লতিকা রক্ষা রাখত না। কিন্তু নিজের পেটের মেয়ে, তার উপর ত আর হিংসা করা চলে না। বরং সে যে সুন্দর হইয়াছে তাহীতে মায়ের প্রাণ আনন্দে ভরিয়া উঠিবার কথা। খুশী সে হইয়াও ছিল, তবে দু-একবার মনের ভিতর একটা রাগের ভাব যেন উকি মারিয়া গেল, এত বেশী সুন্দর না হয় নাই হইত। তাহার মেরে বলিয়া বোঝা গেলে ক্ষতি ছিল কি ? আহলাদ করিয়া মেয়ের নাম রাখিল সে অপাের । ইহ লইয়াও ঝগড়া বাধিয়া গেল। কালীমোহন নাক সিটকাইয়া বলিল, “ও আবার কি শ্রীর নাম হ’ল ? ভদ্রঘরের মেয়ের অমন বিটকেল নাম রাখা উচিত নয় ।” লতিকা চটিয়া বলিল, “সব তাতে খুতধরা তোমার এক স্বভাব হয়েছে। অঙ্গর নাম আমি কত বাড়িতে -ബ~~്.------ത്തും. শুনেছি, তারা তোমার চেয়ে কিছু কম ভদ্র নয়, অপু বলে ডাকলেই হবে।” কালীমোহন বলিল, “তবু হাড়ির ভিতর ঐ অপূৰ্ব্ব নামটি লুকিয়ে রাখা চাই-ই ? কি এমন দায় উপস্থিত হয়েছে ?” মেয়ে যখন আধ অাধ কথা বলিতে শিথিল, তখন নাম জিজ্ঞাসা করিলে বলিত, “আপছারা ।” কালীমোহন হাসিয়া বলিত, “তার চেয়ে বল না কেন 'হাফ ছাড়া ? তুমি না হাফ ছাড়, আমি ছাড়ব বটে, যা না তোমার চমৎকার নাম ।’’ মেয়ে পাচ বছরের হইল। স্ত্রীর সহিত ঝগড়া করিয়া কালীমোহন মেয়েকে স্কুলে ভৰ্ত্তি করিতে চলিল । অপুর কান্নায় ব্যথিত হইয়া তাহার মা বলিল, “এখনি খনা লীলাবতী করে না তুঙ্গলে চলবে না ? মেয়েট যে কেঁদে খুন হ’ল ? দশটা নয় পাচটা নয়, একটা ত মেয়ে । বাড়িটা একেবারে খ খ করবে । আর দু-বছর তর সইল না ?” কালীমোহন বলিল, “থন, লীলাবতী হ’তে সময় লাগষে, একদিনেই কিছু হবে না। বাড়ি বসে বসে ত থালি বোকামী শিখবে, তার চেয়ে স্কুলেই যাক ৷” লতিকা মেয়েকে ঠেলিয়া দিয়া বলিল, “যাও গো বাছা, বিদুষী হও গে । আমার কাছে ত খালি বোকামী শিখবে, তোমার বিদ্বান বাপের পছন্দ হবে না।” অপু কাদিতে কঁাদিতে গাড়ীতে গিয়া উঠিল। স্কুলে ভৰ্ত্তি করিবার সময় কালীমোহন মেয়ের নাম লিখাইল “অপর্ণ ।” অপু খানিকট অবাক হইয় গেল, কিন্তু মস্ত বড় একবাক্স চকোলেট যুস পাইয়। সে এই নামটাই মানিয়া লইল । হঠাৎ একদিন লতিকার মাথায় বাজ ভাঙিয়া পড়িল । খবর আসিল তাহার বাবা সন্ন্যাস রোগে যারা গিয়াছেন। কয়েকদিন পরে মায়ের চিঠিতে আরও জানিতে পারিল যে, বাবা তাহার নামে কিছুই লিখিয়া দিয়া স্থান নাই। * লিখিয়া দিবার একটা কথা ছিল বটে, কিন্তু এমন অসময়ে ७भन इो९ cय उिनि बाहेश्वम स्वाश क्इ भन्न করে নাই । সতীনপোর হাতে তোলার উহাকে ইহার