পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- আবার নাকি কিশোরগঞ্জের গুণ্ডার উপদ্রব তারম্ভ করিয়াছে । প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩৭ { ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড '8 లీ8 দায়রা সোপর্দা করিবার হাদেশ হইয়াছে । এখনও এগারটি আপলের শুনানী চলিতেছে ।

  • ţe 哆 $or আদালতে যখন এইরূপ নিৰ্ম্মম হতার মামলা চলিতেছে, তথন

প্রকাশ যে, ফরিয়াদী পক্ষেয় যে সমস্ত সাঙ্গী সত্য ঘটনা প্রকাশ করিয়া দিতেছে, কণহণদের উপর গুগুণদের তাক্রোশ বাড়িয়াছে। প্রথমতঃ সাক্ষাদিগকে উীতি প্রদর্শন করা হইয়াছিল । এখন মারধর তারস্ত হইয়াছে । তাহার কয়েকটি দৃষ্টীস্থ দিতেছি – {১ী কয়েকদিন পূর্বে হোসেনপুর থানার অন্তর্গত সাহিদলের অধিবাসী কুলচন্দ্র শীলকে খুন করা হইয়াছে । সে লুঠের মামলায় ফরিয়াদী পক্ষে সাক্ষা দিয়াছিল। [2] ফরিয়াদী পক্ষের অন্যতম সাক্ষী মাঠখলার অধিবাসী শচীন্দ্র গোপও কয়েকদিন হইল প্রহৃত হইয়াছে। মাঠথলার বাজারের মধ্যেই তাহাকে মারধর করা হইয়াছে। [৩] আর একটি সংবাদ এই যে, পাকদিয়া থানার অন্তর্গত স্থানের অধিবাসী শিবেন্দ্র রক্ষিতের ঘরখানি জ্বালাইয় দেওয়া হইয়াছে । [৪। পাকুন্দিয়া থানার অন্তর্গত শেড়িখালীর অধিবাসী গিরীশচন্দ্র সরকার ওরফে গিরীশ মাষ্টার গুরুতর জখম হইয়াছেন । উহার বয়স তিনি এখন হাসপাতালে আছেন। উtহার জীবনের অtণ খুবই কম। তিনি বলিয়াছেন, বসির নামক এক ব্যক্তিই উাহাকে জথম করিয়াছে। এই বসিরের এক ভাই লুঠের মামলায় দুই বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইয়াছে। সেই মামলায় গিরীশ মাষ্ঠীর ফরিয়াদী পক্ষে সাক্ষা দিয়াছিলেন । এই সমস্ত ঘটনা হইতে দেখা যায় যে, যাঙ্গতে স্যায়বিচারের বিঘ্ন হয়, তজ্জস্য একদল গুণ্ডা উঠিয়া পড়িয়া লাগিয়াছে। ইহাদের ধারণা হইয়াছে যে, গুণ্ডার্ম দ্বারাই তাহারণ হ্যায়বিচারের হাত এড়াইতে পরিবে । এই অবস্থার গুরুত্বের কথা জ্ঞাপন করিয়া কিশোরগঞ্জ বার লাইব্রেরীর পক্ষ হইতে বাঙলার গবর্ণর, ময়মনসিংহের জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এবং পুলিশ সুপারিস্টেণ্ডেণ্ট প্রভৃতির নিকট তার করা হইয়াছে। কর্তৃপক্ষ সময় থাকিতে সাবধান হইবেন-ইহাই কিশোরগঞ্জের অধিবাসীরা প্রত্যাশা করিতেছে । ৮০ বৎসর । এই সম্পর্বে অfর একটি কথাও বলা প্রয়োজন । কিশোরগঞ্জের দাঙ্গণয় কম পক্ষে ১০ হাজার লোক লিপ্ত হইয়াছিল। তন্মধ্যে বোধ হয় c • • লোকের বেশী ধৃত হয় নাই। ভূতপূৰ্ব্ব ম্যাজিষ্ট্রেট বলিয়াছিলেন যে, দাঙ্গার সহিত সংশ্লিষ্ট সমস্ত লোককে গ্রেপ্তার করিয়া জেলে আবদ্ধ করিলে কিশোরগঞ্জের কৃষিকার্য বিনষ্ট হইবে । কুষিকাৰ্য্য বিনষ্ট হইলে অধিবাসীদের আর্থিক অবস্থা শোচনীয় হইবে। তাহাতে অশান্তি কমিবে না, বরং বৃদ্ধি পাইবে । তাই পুলিস বাছিয়া বাছিয়া বিশিষ্ট্র অপরাধাদিগকেই বিচারার্থ চালান দিয়াছিলেন । ইহার কল কাৰ্য্যতঃ ভাল হয় নাই। প্রশ্রয় পাইয়া দুষ্ট লোকের প্রবৃত্তি বৃদ্ধি পাইতেছে। উপরে যে সমস্ত ঘটনার কথা বর্ণিত হইল তাঁহাই আমাদের সিদ্ধান্তের প্রত্যক্ষ প্রমাণ । এখন ধানকাটা শেষ হইয়া তাসিল । এ সময়ে প্রকৃত আসামীদিগকে দণ্ড দিয়া পাপপ্রবৃত্তি নিৰ্ম্ম ল করিবার জন্ত কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা করুন। তাহ) ন হইলে কিশোরগঞ্জে গুণ্ডারাই রাজত্ব করিবে । বৃটিশ সাম্রাজ্যের গৌরব এই যে, বাঘে মহিষে এক ঘাটে জল খায়। এই গৌরব বিনষ্ট হইতে দেওয়া উচিত নয় । প্রতিক্রিয়ার প্রকার ভেদ কেহ যদি একটা দেওয়ালে খুব জোরে একটা কীল মারে, তাহা হইলে তাহার হাতে লাগে বটে ; কিন্তু দেওয়ালটা কীল খাইয়। রাগিয়া তাহাকে আঘাত করিয়াছে, এমন বলা যায় না। কারণ দেওয়াল অচেতন পদার্থ। বিছাতি গাছ ছুইলে যন্ত্রণ হয়, কিন্তু অতি পবিত্র বামুনঠাকুরকে অপবিত্র কেহ ছুইলে তিনি যেমন ক্রুদ্ধ হইয় তাহাকে মারিতে চান, বিছাতি গাছ সেইরূপ রাগিয়া কাহাকেও শাস্তি দিল, এমন বলা যায় না । জীবজগতে বোধ হয় কেঁচোকে এবং তদ্বিধ আন্ত কোন কোন প্রাণীকে খুব আঘাত করিলে, বা পিষিয়া মারিয়া ফেলিলেও, তাহারা আঘাতের পরিবর্তে আঘাত করে না । ইহা সাত্ত্বিকত নহে । ইহা এক প্রকার জড়ত, কিম্বা অতি নিক্লষ্ট রকমের জাস্তব স্বভাব । ছোট বড় অন্য অনেক প্রাণী আছে, যাহারা আঘাত করিলে আঘাত করে। যেমন, পিপীলিকা, মৌমাছি, বোল তা কাক, টিয়াপাখী, কুকুর, যাড়, ঘোড়া, বাঘ, সাপ ইত্যাদি । এই যে প্রতিক্রিয়া, ইহা জাস্তব স্বভাব। এই জাস্তব প্রকৃতি কেঁচোর জাস্তব প্রকৃতির চেয়ে কিছু উচ্চ শ্রেণীর। এই উভয় প্রকার জাস্তব প্রকৃতির পরিচয় মানব জাতির মধ্যে দেখা যায় । ইহা অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ স্বভাবের মাতুষ আছে। সেরূপ মাতুষকে বশে রাখিবার জন্য আঘাত করিলে, সে বলে, “আমি তোমার অধীন হইব না, কিন্তু আঘাতের পরিবর্তে তোমাকে আঘাত করিব না, তোমার প্রাণবধ করিতে চাহিব না। অামি তোমার জাস্তবতা নষ্ট করিব, তুমি যে অপরকে তোমার অধীন রাখিতে চাও, তাহাকে তোমার সুখভোগের ও স্বার্থসিদ্ধির উপায় করিতে চাও, তোমার এই নিকৃষ্ট প্রবৃত্তির প্রাণবধ করিব।” এই রকমের মাতুষই শ্রেষ্ঠ মানুষ । কলিকাতায় মন্টেসরি শিক্ষাপ্রণালী কলিকাতায় ব্রাহ্ম বালিকা শিক্ষালয় একটি উৎকৃষ্ট বিদ্যালয় । ইহার নীচের শ্রেণীতে ছোট ছোট ছেলেদেরও